বঙ্গোপসাগরে একটা লঘুচাপ আছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাব তো আছেই। এই দুটি মিলে দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোয় দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবারও এলাকাগুলোয় বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বাকি বিভাগগুলোর কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার জন্য দুই দিন আগে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, আজ সারা দিন সেই সতর্কসংকেত বহাল থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা ইসলাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল (বুধবার) সতর্কসংকেত উঠে যেতে পারে। আজও দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোয় বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি গতকালের চেয়ে কম হবে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় কুষ্টিয়ায়, ৪৬ মিলিমিটার। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দুই দিন ধরে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বেড়েছে মূলত লঘুচাপের কারণে। তবে দেশের অন্যত্র, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে খুব বেশি বৃষ্টি হচ্ছে না।
গত জুন মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও পরবর্তী সময়ে তা কমে আসে। মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুই দিন টানা বৃষ্টির পর তা অনেকটাই কমে যায়। মাসের শেষ দিকে কিছু স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্ষাকালে যেমনটা একটানা বৃষ্টি হয়, তা কয়েক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা: চিন্ময়সহ ৩৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে এটি জমা দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করে আইনজীবী হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ৫ মে আদালত চিন্ময়কে আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখান পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, চিন্ময়ের উসকানি ও নির্দেশে আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।