যশোরে এসিড নিক্ষেপে শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ ৩
Published: 3rd, July 2025 GMT
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনের ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গদখালীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- গদখালী গ্রামের জামাত আলীর স্ত্রী রাহেলা খাতুন (৪৮), তার মেয়ে রিপা খাতুন (২৬) ও ছেলে ইয়ানূর রহমান (৮)।
ভুক্তভোগী রিপার চাচা আব্দুর রহমান জানান, চার বছর আগে স্বামীর সঙ্গে রিপার বিচ্ছেদ হয়। স্বামীর বাড়ি ছেড়ে আসার পর ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। পাশের মঠবাড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের গৃহপরিচারিকা জসিম দীর্ঘদিন ধরে রিপাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। রিপা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জসিম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানালা দিয়ে রিপাকে লক্ষ্য করে এসিড ছোড়ে।
আহত রিপা জানান, ঘরের মধ্যে তিনি ছাড়াও তার ভাই ইয়ানূর ও মা রাহেলা খাতুন। জসিমের ছোড়া এসিডে তারা তিনজনই দগ্ধ হন।
তাদের চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসক আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জুবায়ের আহমেদ, তিনজনের মধ্যে শিশু ইয়ানূরের অবস্থা গুরুতর। তার পা’সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া তার মা ও বোনের শরীরের আংশিক দগ্ধ হয়েছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা ও পুরো ঘটনাটি তদন্ত চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র এস ড ন ক ষ প
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা
নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে।
বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ
কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।
সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’
ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে।
উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।
ঢাকা/সিথুন/বকুল