আতশবাজি নিয়ে কটাক্ষের শিকার প্রিয়াঙ্কা
Published: 6th, July 2025 GMT
তারকারা যখন যা করেন তা নিয়ে যে আলোচনা-সামালোচনা হবে, এই কথা সবারই জানা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বেলায়ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি এই বলিউড ডিভা নেটিজেনদের বাক্যবাণে জর্জরিত হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা নিয়ে।
সংবাদ প্রতিদিনসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ৪ জুলাই আমেরিকার [যুক্তরাষ্ট্র] স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে উদযাপনে মেতেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। ইনস্টা স্টোরিতে সেলিব্রেশনের একাধিক মুহূর্ত শেয়ারও করেছেন এই বলিউড অভিনেত্রী।
সেখানেই দেখা গেছে, বহু মানুষের ভিড়ে নিক জোনাসের হাত ধরে মার্কিন মুলুকের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মাতোয়ারা তিনি। একের পর এক আতশবাজি ফাটছে। সেই ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে আকাশ। সেই ভিডিও শেয়ার করে দেশি গার্লখ্যাত অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘৪ জুলাইয়ের শুভেচ্ছা সকলকে।’ প্রিয়াঙ্কার এমন উদযাপনের ঝলক দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন ভারতীয় নেটিজেনদের একাংশ।
তাদের কথায়, ‘দিওয়ালির সময়ে ভারতীয়দের আতশবাজি পোড়াতে নিষেধ করে এবার নিজেই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে আতশবাজি পোড়াচ্ছেন!’ কেউ কেউ আবার সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীকে ‘হিপোক্রিট’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। নেটিজেনদের একাংশ আবার আতশবাজি পোড়ানোর ভিডিও দেখে প্রিয়াঙ্কাকে বায়ুদূষণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাদের প্রশ্ন, ‘আর দিদি এবার বায়ুদূষণ নিয়ে আপনার লেকচার কোথায় গেল?’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এক ভিডিও বার্তায় সকলকে আতশবাজি না পোড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। সে সময়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমার হাঁপানি রয়েছে। দয়া করে আমার শ্বাসরোধ করবেন না। তাই দিওয়ালিতে বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’
শুধু তাই নয়, ওই ভিডিওতে প্রিয়াঙ্কা আর্জি জানিয়েছিলেন যে, এবার থেকে দীপাবলি শুধু আলোর উৎসব হোক। এখানেই শেষ নয়, তার পরের বছর ২০১৯ সালে দিওয়ালির পর পর দিল্লিতে শুটিং করতে গিয়ে সেখানকার বায়ুদূষণ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। বলেছিলেন, ‘ভাগ্যিস আমাদের কাছে এয়ার পিউরিফায়ার আর মাস্ক রয়েছে। এখানে শুটিং করাই এত কঠিন, মানুষজন যে কীভাবে বাস করেন দিল্লিতে কে জানে?’
পেছনের দিনগুলোর এসব কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এবার প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে ট্রল শুরু করেছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে বাজি পোড়ানোয় বিষয়টি এতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা হয়তো প্রিয়াঙ্কা নিজেও বুঝতে পারেননি। যে কারণে নেটিজেনদের নানা রকম মন্তব্যের পরও এখনও মুখে কুলুপ এঁটে আছেন প্রথম সারির এই বলিউড অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, বিয়ের পর থেকে মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা হয়ে গেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বর্তমানে হলিউডে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। চুটিয়ে কাজ করছেন পশ্চিমী সিনে দুনিয়ায়। তবে লস অ্যাঞ্জলেসে থাকলেও এখনও দেশীয় রীতি পালন করে চলেছেন। বলিউড সিনেমায় কাজ করার বিষয়েও আগের মতোই সমান আগ্রহী তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ট জ নদ র র স ব ধ নত আতশব জ
এছাড়াও পড়ুন:
জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ জাপার কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি রাশেদ খাঁনের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। তিনি বলেন, হাসিনার আমলে আমরা মামলা খেয়েছি। এখনও যদি মামলা খেতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আজকে নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ইট খুলে আনতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তাদের এই নির্দেশনা দিতে পারি না। কিন্তু পদক্ষেপ না নিলে কতসময় তাদেরকে থামিয়ে রাখবো।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে বলবো, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিন। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন। অন্যথায় জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে নুরুল হুদার মতো মব নেমে আসলে, তখন তার দায় জনগনকে দিতে পারবেন না। সুতরাং, জনগণ আইন হাতে তুলে নেওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ, জাপা ও ১৪ দলের কালপ্রিটদের ধরুন।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টন আলরাজি কমপ্লেক্স সামনে আয়োজিত মশাল মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশালে আদালতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির মামলা গ্রহণের নির্দেশের প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন, পানির টাঙ্কি ঘুরে এসে পুনরায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘‘এখনও কেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে না? কারা জাতীয় পার্টি ও জিএম কাদেরকে প্রটেকশন (সুরক্ষা) দিচ্ছে। জিএম কাদের কি হাসিনার চেয়েও শক্তিশালী? হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেছে, আর ভারতের এজেন্ট জিএম কাদের বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জনগণ স্লোগান শুরু করেছে, ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে।’ মানে জাপাকে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে মামলা গ্রহণের নির্দেশদাতা ম্যাজিস্ট্রেটকেও প্রত্যাহার করতে হবে। জাপা ও আপার দোসর না হলে ২৪–এর বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে এই মামলা নেওয়ার কথা তিনি বলতে পারতেন না। আমি ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টাকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অবহিত করেছি।’
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দের দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, রবিউল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস প্রমুখ।