বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সহকারী বেদিকা প্রকাশ শেঠিকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাইয়ের জুহু পুলিশ। অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সই নকল করে তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে বেদিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।  

এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আলিয়া ভাটের সই নকল করে ৭৬.৯ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৯ লাখ টাকার বেশি) তুলে নেন বেদিকা। পাঁচ মাস আগে অর্থ জালিয়াতির অভিযোগে বেদিকার বিরুদ্ধে মামলা করেন আলিয়ার মা সনি রাজদান। বেঙ্গালুরু থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বেদিকাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত বেদিকাকে ১০ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।   

বিএনএস-এর ৩১৬(৪) এবং ৩১৮(৪) ধারায় বেদিকার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে জুহু পুলিশ। তবে এ বিষয়ে আলিয়া ভাট কিংবা তার টিম থেকে কোনো ধরনের বিবৃতি দেননি।  

আরো পড়ুন:

রণবীরের জোড়াতালির ভাইরাল শার্টের দাম কত?

আমি হৃদয় থেকে গৌরির সঙ্গে বিবাহিত: আমির খান

২০২২ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্টের মধ্যে আর্থিক প্রতারণা হয়। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আলিয়ার মা পুলিশে অভিযোগ করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপরই বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় এবং পুলিশ তদন্তে নামে। 

২০২১ সালে প্রোডাকশন হাউজ চালু করেন আলিয়া ভাট। ইটারনাল সানশাইন প্রোডাকশনস শুরুর দিন থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বেদিকা আলিয়ার সঙ্গেই কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সময়ে অভিনেত্রীর আর্থিক নথিপত্র ও টাকা তার হাতেই থাকত। আলিয়ার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও প্রোডাকশন হাউজের অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ৮৯২ টাকা সরিয়েছেন বেদিকা। 

তবে পুলিশের বরাত দিয়ে অন্য একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বেদিকা শেঠি জাল বিল তৈরি করে আলিয়াকে দিয়ে সই করিয়ে টাকা তুলেছিলেন। অভিনেত্রীকে তিনি ওই বিলগুলো তার ভ্রমণ সংক্রান্ত খরচ ও অন্যান্য খরচ বলে ভুল বুঝিয়ে সই করানো হয় বলে অভিযোগ। জালিয়াতি করা টাকা দিয়ে বেদিকা শেঠি পেশাদার কিছু সরঞ্জাম কিনেছিলেন। বাকি টাকা তার বন্ধুর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন; যা পরে আবার তার অ্যাকাউন্টেই ট্রান্সফার করা হয়।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আল য় ভ ট র অ য ক উন ট আল য় র

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা