বিকট বিস্ফোরণে উড়ে কয়েক হাত দূরে গিয়ে পড়েন তরুণ, ঘটনাস্থলে মৃত্যু
Published: 9th, July 2025 GMT
সময় তখন ভোর চারটা। অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক কাজ করছিলেন গ্যারেজকর্মী মো. ফাহাদ (২০)। যন্ত্রের সাহায্য লরির চাকায় দিচ্ছিলেন হাওয়া। তবে মুহূর্তেই ঘটে বিপত্তি। চাকা থেকে যন্ত্রের পাইপ খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে আশপাশ। বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ফাহাদ উড়ে গিয়ে কয়েক হাত দূরে পড়েন।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের নিমতলা এলাকায়। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে নিহত হন মো.
১ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায়, গ্যারেজের পাশেই একটি লরি দাঁড়ানো রয়েছে। এক পাশে যন্ত্র দিয়ে লরির খোলা চাকায় হাওয়া দেওয়া হচ্ছে। লরি ও গ্যারেজের শ্রমিক মিলে ছয়জন সেখানে ছিলেন। একপর্যায়ে ফাহাদ চাকা থেকে হাওয়ার সংযোগ-পাইপ খুলতে যান। টান দিতেই বিকট শব্দে চাকাটি বিস্ফোরিত হয়। এতে চাকাসহ ফাহাদ অন্তত পাঁচ ফুট উঁচুতে উঠে কিছুদূরে গিয়ে পড়েন।
ফাহাদ যে গ্যারেজটিতে কাজ করতেন, এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নিচু জমিতে অবস্থিত। এই গ্যারেজ থেকে সিঁড়ি দিয়ে মহাসড়কে উঠতে হয়। ওই মহাসড়কের এক পাশে চাকায় হাওয়া দিচ্ছিলেন ফাহাদ। বিস্ফোরণে সড়ক থেকে উড়ে গ্যারেজের সিঁড়ির কাছে পড়েন তিনি। আতঙ্কে অন্য কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরে যান। এর এক মিনিট পর এক যুবক এসে ফাহাদকে খুঁজতে থাকেন। পরে অন্য চারজন এসে ফাহাদের নিথর দেহ খুঁজে পান।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি তাঁর কাছে খুবই মর্মান্তিক লেগেছে। টগবগে ওই যুবক বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে মুহূর্তের মধ্যেই মারা যান।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদা পারভীনের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড, আশাবাদী চিকিৎসরা
লালনসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন কয়েক দিন ধরে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কালেজ ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত ইউনিভার্সেল হাসপাতালে বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নোমানী সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বোর্ডের সভায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
বোর্ড সভা শেষে চিকিৎসরা বলেন, ‘ফরিদা পারভীনের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। শিল্পীর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই উন্নতির দিকে। তবে তার শরীরে কিছু ইনফেকশন আছে, আমরা তা দূর করার চেষ্টা করছি। তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন।’