সোহাগকে হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব: পুলিশ
Published: 12th, July 2025 GMT
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে উপ- কমিশনার জসিমউদদীন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ৯ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে একদল দুর্বৃত্ত সোহাগকে এলোপাথারি আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরদিন ১০ জুলাই নিহত সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য তা মর্গে পাঠায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ ১১ জুলাই ঘটনাস্থলের পাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব এর আগে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে ছোট মনিরকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে। সর্বশেষ, ১১ জুলাই দিবাগত রাতে এজাহারভুক্ত আরেক আসামি মো.
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, এর সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার এবং ভিকটিম কেন এই হামলার শিকার হলো, তা জানতে একটি চৌকস তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/এমআর/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
চাপাতি ধরে ফোন-মানিব্যাগ-ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে গায়ের জামা-জুতাও নিল ছিনতাইকারীরা
রাজধানীর শ্যামলীতে চাপাতি ধরে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ নেওয়ার পর তাঁর গায়ের কাপড় ও জুতাও নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে শ্যামলীর একটি গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার শিমিয়ন ত্রিপুরা (৩০) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ছিনতাইয়ের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে আজ শনিবার একটি মামলা করেছেন তিনি।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শ্যামলীতে এক বেসরকারি চাকরিজীবীকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ভয় দেখিয়ে মুঠোফোন ও টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর পরনের জামা ও জুতাও নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ছিনতাইয়ে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে ওসি ইমাউল হক জানিয়েছেন।
ছিনতাইয়ের শিকার শিমিয়ন ত্রিপুরা মামলায় বলেছেন, তিনি ধামরাইয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন, থাকেন শ্যামলীতে। গতকাল সকাল ছয়টার সময় সাভারের উদ্দেশে তিনি শ্যামলীর বাসা থেকে রওনা হন। তিনি যখন শ্যামলীর মেরি গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পূর্ব পাশে আসেন, তখন পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে থামে। মোটরসাইকেল থেকে নেমে আসা তিনজন চাপাতির ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন, মানিব্যাগ, ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, টাকাপয়সা, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার পর ছিনতাকারীরা ওই ব্যক্তির পরনে থাকা জামা ও জুতা খুলতে বাধ্য করে এবং সেগুলো নিয়ে যায় তারা।