৩০ বছর ধরে নরসুন্দরের কাজ করছেন রনজিৎ শিল। অর্থের অভাবে নির্দিষ্ট স্থানে দোকানের পজিশন নিতে না পারায় খোলা আকাশের নিচে একটি চেয়ারে বসিয়ে চুল-দাড়ি কাটার কাজ করেন তিনি। 

এক সময় গ্রামবাংলায় দেখা যেত বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাপিতরা মানুষের চুল ও দাড়ি কেটে দিয়ে যেত। বর্তমানে বাজার-ঘাটে সেলুনের দোকান হওয়ায় আগেকার সেই দৃশ্য দেখা যায় না। কিন্তু আধুনিকতার এই যুগেও ঝালকাঠিতে দেখা মিলল ভ্রাম্যমাণ এই সেলুনের।

সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ সেলুন বসিয়ে চুল-দাড়ি কাটার কাজ করছেন রনজিৎ শিল। তিনি শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়া এলাকার মৃত বিরাজ শিলের ছেলে। 

ভ্রাম্যমাণ সেলুন সম্পর্কে জানতে চাইলে রনজিৎ বলেন, “টাকা না থাকায় দোকান দিতে পারিনি। তাই এভাবেই মানুষের চুল-দাড়ি কাটার কাজ করছি।”

তিনি আরো বলেন, “খোলা আকাশের নিচে মানুষের চুল-দাড়ি কাটার কাজ করি। যার যা ইচ্ছে তাই দিয়ে যায়। সারাদিন কাজ শেষে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন হয়। এই টাকা দিয়েই চলে আমার সংসার। রাস্তার পাশে চুল কাটি সেজন্য লোকজন তেমন আসেন না। তাছাড়া বৃষ্টি হলে আর এ কাজ করতে পারি না।”

ওই এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন সিকদার, কুদ্দুস খলিফা, জসিম উদ্দিন বলেন, চুল কাটার দোকানে গিয়ে চুল কাটলে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা লাগে। কিন্তু তার কাছে ৩০ টাকাতেই চুল কাটা যায়। রাস্তার পাশে একটি চেয়ার বসিয়ে তিনি মানুষের চুল-দাড়ি কাটেন। তার একটি সেলুনের ব্যবস্থা হলে খুবই উপকার হবে।

ঢাকা/অলোক/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এক সেলিব্রিটিকে সবাই ধুয়ে দিচ্ছে

আগের পর্বআরও পড়ুনআজকে তুমি কোনো কথা বলবা না২২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ