রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি হতে এসে জালিয়াতির অভিযোগে মো. আব্দুল্লাহ আল ইমরান নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থীর জালিয়াতি ধরা পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আটক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরানের বাড়ি রংপুর জেলায়। ভর্তি ফরমে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন তিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে রাবি প্রশাসন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আরো পড়ুন:

৭২ বছরে প্রথম রুয়া নির্বাচন: সভাপতি রফিকুল, সম্পাদক নিজাম

রাবির শিক্ষক নিয়োগে প্রথমবারের মতো লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি ড.

শাহনাজ পারভীন বলেন, “ভর্তির জন্য ওই ছাত্র আসার পর তার কাগজপত্র দেখছিলাম। কিন্তু কাগজে আমার সীল ও স্বাক্ষর ঠিক ছিল না। ফলে সন্দেহ হলে তাকে প্রক্টর দপ্তরে পাঠিয়ে দেই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “দুই-তিন দিন আগে ফার্মেসি বিভাগে ভর্তির জন্য আসা এক শিক্ষার্থীর ফরমে সভাপতির স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। তখন বিভাগকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়।”

তিনি বলেন, “আজ ইমরান নামে এক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে এলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সে জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাজশাহীর মতিহার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, “অভিযুক্তকে থানায় নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলতি মাসের ২৭ নভেম্বর আয়োজনের দাবি জানিয়েছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বরাবর এ দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।

আরো পড়ুন:

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

জবি প্রশাসনের কাছে ২০ দাবি জানাল ইউটিএল

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর এই প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের পর প্রশাসন নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের নীলনকশা শুরু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা।

এতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন না করলে তা হবে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের সামিল। কারণ ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২১তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং পরবর্তী শীতকালীন ছুটির কারণে ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

এ সময় সংগঠনটির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। নির্বাচন বিলম্বের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ