ব্যবসা-মুনাফা দুটোই কমল হাইডেলবার্গের
Published: 27th, July 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট কোম্পানি হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালসের ব্যবসা কমেছে। গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ব্যবসা কমেছে ৫৩ কোটি টাকা বা ৭ শতাংশের বেশি। আজ রোববার কোম্পানিটি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি–জুন ছয় মাসে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস ৭৬৯ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮২২ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরে কোম্পানিটির বিক্রি ৫৩ কোটি টাকা বা ৭ শতাংশের বেশি কমেছে। হাইডেলবার্গ ম্যাটারিয়ালস মূলত স্ক্যান ও রুবি সিমেন্ট—এ দুটি ব্র্যান্ড নামে বাজারে সিমেন্ট বিক্রি করে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির কর–পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২২ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরে এই কোম্পানির মুনাফা ২০ কোটি টাকা বা ৪৮ শতাংশ কমেছে।
এদিকে মুনাফা কমে যাওয়ার খবরে আজ প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালসের প্রতিটি শেয়ারের দাম সাত টাকা বা পৌনে ৩ শতাংশ কমেছে। দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কমে হয় ২৪৭ টাকা ২০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির প্রায় ৪০ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।