খেলাধুলার সিনেমা মানেই টান টান উত্তেজনা, শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্ত, আর শেষ পর্যন্ত নায়কের জয়—এমনটাই আমরা দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু কিছু সিনেমা এই চেনা ছক ভেঙে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। এমনই এক চলচ্চিত্র ‘মিলিয়ন ডলার বেবি’—যেখানে বক্সিং আছে, কিন্তু সেটি শুধু বাহানা। মূল গল্পটা আসলে জীবনের।

পরিচালক ক্লিন্ট ইস্টউড এখানে বক্সিংকে ব্যবহার করেছেন এক অসামান্য মানবিক ট্র্যাজেডির পটভূমি হিসেবে। গল্পটা মূলত এক মানুষের উত্থান-পতন, সংগ্রাম আর নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার। যেখানে জয় নেই, পরাজয়ও নেই—আছে শুধু বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি, আর শেষ পর্যন্ত নিজেই নিজের জন্য একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ার সাহস।

সিনেমায় উঠে এসেছে সম্পর্কের জটিলতা। রক্তের সম্পর্ক সব সময় আশ্রয় দেয় না, অনেক সময় তারাই হয় আঘাতের উৎস। আবার একেবারে অপরিচিত কেউ হয়ে ওঠে সবচেয়ে আপন। এই দুই বিপরীত বাস্তবতাই সমান মমতায় তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ম্যাগি ফিটজগার্ল্ড, অভিনয়ে হিলারি সোয়াংক। তাঁর চোখ, মুখ, শরীর—সব মিলিয়ে তিনি যেন ম্যাগির আত্মা হয়ে উঠেছেন পর্দায়। জীবনযুদ্ধে লড়াই করে উঠে দাঁড়ানো মেয়েটিকে দেখে মনে পড়ে আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সেই লাইন: “মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু হার মানে না।”

আরও পড়ুনসিলভেস্টার স্ট্যালোন ও রকি: হতাশ তরুণদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা২২ জুলাই ২০২৫

ম্যাগিও হার মানেনি। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবনকেই ছেড়ে দিয়েছিল সে, তবু হারেনি। এমনকি বক্সিং রিংও তাকে পরাজিত করতে পারেনি—প্রতিপক্ষকে নিতে হয়েছিল প্রতারণার আশ্রয়। সিনেমার একপর্যায়ে সোয়াংকের সংলাপ না বলেও অনেক কিছু বলে ফেলা, শুধু অভিব্যক্তির মাধ্যমে—সেই মুহূর্তগুলো দর্শককে তাড়া করে বেড়ায় অনেক দিন।

চলচ্চিত্রের একটি মুহূর্তে ম্যাগি ও ডান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ