ফোনে ডেকে নিয়ে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। গতকাল রাতে মিরপুর এক নম্বরে ঘটনাটি ঘটে। পরে মিরপুর মডেল থানায় রাতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এ নিয়ে জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে থানার কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে থানার একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের ঘটনাটি সত্য। এ বিষয়ে এরই মধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী সিফাতুর রহমান সৌরভকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান তাসকিন। পরে তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে জখম করেন ও হুমকি দেন। থানা সূত্র বলছে, বাদীর সঙ্গে তাসকিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল।

অভিযোগের বিষয়ে তাসকিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে কল করা তিনি ধরেননি। তাঁর বাবা আব্দুর রশিদকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ