ওয়ালটনে ‘এলটিআই ফ্রি ম্যান আওয়ার্স’ উদযাপিত
Published: 28th, July 2025 GMT
গাজীপুরে চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির প্রধান কার্যালয়ে লস্ট টাইম ইনজুরি (এলটিআই) ফ্রি ম্যান আওয়ার্স প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) ওয়ালটনের এনভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওয়ালটন তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে পুরো প্রতিষ্ঠান জুড়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে। এরই অংশ হিসেবে যেসব সেকশন ইউনিট সব নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে কাজ করে নিজেদের দীর্ঘসময় ধরে আঘাতমুক্ত রেখে কোনো কর্মঘণ্টা নষ্ট না করে উৎপাদন ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের ভাল কাজের স্বীকৃতি ও উৎসাহ দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
জনপ্রিয় তিন মডেলের মনিটরের মূল্যহ্রাস করলো ওয়ালটন
এবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ
বাংলাদেশ তথা বহির্বিশ্বের প্রচুর চাহিদা মেটানোর পরেও ওয়ালটনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট মোল্ড প্রোডাকশন-প্লাস্টিক গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে এলটিআই মুক্ত রয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এর সম্মানিত এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “ওয়ালটনের প্রধান শ্লোগান হচ্ছে ‘সবার আগে নিরাপত্তা’ তারপর অন্যান্য কাজ। এর মানে হচ্ছে যেকোনো কাজের চেয়ে নিরাপত্তার মূল্য এখানে অনেক বেশি।” এ সময় তিনি উপস্থিত সবাইকে নিরাপত্তা মেনে এত বড় অর্জনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্লাস্টিক মোল্ড প্রোডাকশনের চিফ বিসনেস অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো.
ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এলটিআই ফ্রি ম্যান আওয়ার্স একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এই অর্জনে আমরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকতে পেরে গর্বিত অনুভব করছি। মূলত নিরাপত্তার বিষয়ে সকলের সচেতনতা এই অর্জনের এর অন্যতম কারণ। তাই প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো সচেতন হলে এ রকম অনুষ্ঠান আমরা নিয়মিত আয়োজন করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক মোল্ড প্রোডাকশনের বিভাগীয় প্রধান মো. মিরাতুল ইসলাম, ইএইচএস বিভাগের ব্লক-কোর্ডিনেটর মো. মাহফুজ হোসেন, মো. রায়হানসহ প্রডাকশন, প্রসেস ডেভেলপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, প্রশাসন ও অন্যান্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তিতে ভালো কাজের জন্য নির্বাচিত কর্মীদের সেফটি হিরো পুরষ্কার প্রদান, কেক কাটা এবং সংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক মোল্ড প্রোডাকশন ইউনিটকে সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে এ জমকালো আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল ড প র ড কশন অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মাসিক না হওয়ার কারণ
মেনোপজের আগে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ
গর্ভধারণ ও স্তন্যদান।
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল কিংবা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহার।
অতিরিক্ত কম বা বেশি ওজন, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ।
থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কিংবা আধিক্য, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কিংবা অন্য যেসব রোগের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়।
ডিম্বাশয়ের টিউমার কিংবা ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে কোনো অস্ত্রোপচার।
উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ।
কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি।
ডিঅ্যান্ডসির (ডায়ালেশন ও কিউরেটেজ নামের একটি অস্ত্রোপচারপদ্ধতি) মাধ্যমে গর্ভপাত।
আরও পড়ুনমাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? ২৩ এপ্রিল ২০২৫কৈশোরে মাসিক শুরু না হওয়ার কারণনির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছেও যাঁর মাসিক শুরু হয়নি, তাঁর জন্য কারণটা হতে পারে জিনগত। নারীর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যেসব গ্রন্থি, সেসবের অস্বাভবিকতাও থাকতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। যোনিপথ বা অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের গঠনগত ত্রুটিও থাকতে পারে।
কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিকদু–এক মাস যদি মাসিক না হয়, তাতে ভয়ের কিছু নেই। কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক, অর্থাৎ কখন নেবেন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নেওয়া যাক।
১৪ বছর বয়সে পৌঁছেও যদি কারও মাসিক শুরু না হয় এবং বয়ঃসন্ধির অন্য কোনো চিহ্নও না দেখা যায়।
বয়ঃসন্ধির অন্যান্য চিহ্ন থাকলে অবশ্য ১৬ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৬ বছরে পৌঁছে মাসিক না হলে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।
যাঁর নিয়মিত মাসিক হয়, তাঁর যদি অন্তত তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির কারণ খুঁজতে হবে।
যাঁর মাসিক অনিয়মিত, তাঁর ক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস মাসিক বন্ধ থাকলে সেটিকে অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া বলে ধরে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঅনিয়মিত মাসিক কেন হয়২৫ জুলাই ২০২৩যদি থাকে অস্বাভাবিকতাএকজন নারীর সুস্থতার জন্য নিয়মিত মাসিক হওয়া খুবই জরুরি। যদি মাসিকে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ থাকে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণটা খুঁজে বের করবেন। সে অনুযায়ীই হবে চিকিৎসা।
কারও মাসিক বন্ধ থাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রয়োজন হরমোন থেরাপি। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুনমেয়েকে মাসিক সম্পর্কে কীভাবে জানাবেন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩