পুঁজিবাজারের এসএমই খাতে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) সাবস্ক্রিপশন বা চাঁদা গ্রহণ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৩৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটির বিষয়ে খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের ২৭ এপ্রিল কিউআইওর মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য কমিশনে আবেদন করে দুয়ার সার্ভিসেস। এরপর গত জুনে বিএসইসির ৯১১তম সভায় দুয়ার সার্ভিসেসকে শর্তসাপেক্ষে অভিপ্রায়পত্র (লেটার অব ইন্টেন্ট) এবং ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৩৪তম সভায় কোম্পানিটিকে সম্মতিপত্র (কনসেন্ট লেটার) দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কিউআইও অফারের শেয়ার বরাদ্দের জন্য চলতি বছরের ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করে দুয়ার সার্ভিসেস।

তবে সম্প্রতি দুয়ার সার্ভিসেসের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন গ্রাহকের সেবা প্রদানসংক্রান্ত চুক্তি এবং কোম্পানির আয় ও মুনাফাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে; এসব বিষয় বিএসইসির নজরে এসেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিএসইসি বলেছে, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুয়ার সার্ভিসেসের সার্বিক বিষয়ে খতিয়ে দেখতে কিউআইও সাবস্ক্রিপশন স্থগিত ও তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ