প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি, আবেদন শেষ ২৫ নভেম্বর
Published: 20th, October 2025 GMT
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবে। এটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শিক্ষাবৃত্তি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা১. এসএসসি ও সমমান–২০২৫
# প্রবাসে কর্মরত কর্মীর সন্তানের ক্ষেত্রে:
বিজ্ঞানে জিপিএ–৫.০০, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ–৪.৭৫।
# প্রবাসে মৃত প্রবাসী কর্মীর সন্তানের ক্ষেত্রে:
বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ–৪.
২. এইচএসসি ও সমমান–২০২৪
# প্রবাসে কর্মরত কর্মীর সন্তানের ক্ষেত্রে:
বিজ্ঞানে জিপিএ–৪.৮০, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ–৪.৫০।
# প্রবাসে মৃত প্রবাসী কর্মীর সন্তানের ক্ষেত্রে:
বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ–৪.০০।
আরও পড়ুনসাইনবোর্ডে ‘কলেজ’, লেখাপড়া নেই ৫ ঘণ্টা আগে৩. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং–২০২৪
# প্রবাসে কর্মরত কর্মীর সন্তানের ক্ষেত্রে:
জিপিএ–৩.৫০।
# প্রবাসে মৃত প্রবাসী কর্মীর সন্তানের ক্ষেত্রে:
জিপিএ–৩.০০।
শর্তাবলি১. মা–বাবা প্রবাসী কর্মী হওয়ার সপক্ষে প্রমাণ।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের মুঠোফোন নম্বরসহ প্রত্যয়নপত্র।
৩. প্রবাসে মৃত কর্মীর সন্তানদের ক্ষেত্রে দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।
৪. শিক্ষার্থীর যেকোনো ব্যাংকের হিসাব নম্বর ও রাউটিং নম্বরসহ স্টেটমেন্ট।
৫. শিক্ষার্থীর এক কপি ছবি ও স্বাক্ষর।
৬. শিক্ষার্থীর এনআইডি কার্ডের কপি।
আরও পড়ুনজাপানে জাতিসংঘের ইন্টার্নশিপ, চলছে আবেদন৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষাবৃত্তি প্রদানের মেয়াদ১. এসএসসি ও সমমান ক্যাটাগরিতে শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দুই বছর ও ডিপ্লোমা শ্রেণিতে অধ্যয়নরতদের জন্য চার বছর।
২. এইচএসসি ও সমমান ক্যাটাগরিতে শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক পর্যায়ে তিন বছর বা স্নাতক সম্মান পর্যায়ে চার বছর ও মেডিকেলের জন্য পাঁচ বছরের বৃত্তি প্রদান করা হবে।
৩. ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাটাগরিতে বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের চার বছরের বৃত্তি প্রদান করা হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া১. অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের লিংক:
২. অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা: ২৫ নভেম্বর ২০২৫।
# বিস্তারিত তথ্য পেতে ওয়েবসাইট
আরও পড়ুনট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটিতে চারটি সার্টিফিকেট কোর্স, যোগ্যতা এইচএসসি পাস১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও সমম ন প রব স র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ছাত্রদলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাকে ভূলুণ্ঠিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।
ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বিগত প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত নির্বাচনে তথাকথিত প্রতিনিধি হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বিভিন্ন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড ও বিতর্কিত মন্তব্য জাতির সামনে ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চরম অপমানের সম্মুখীন করছে। সম্প্রতি প্রশ্নবিদ্ধ ডাকসুর বিতর্কিত মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে যে বিবৃতি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছেন, তা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার মাধ্যমে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এহেন ধৃষ্টতাপূর্ণ ইতিহাস বিকৃতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
এর আগে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা লিখেছেন, তা হুবহু তুলে ধরা হলো: ‘ডিসেম্বর আমাদের বিজয় ও নিজস্ব আত্মপরিচয়ে পরিচিত হওয়ার গৌরবের মাস।
ব্রিটিশ শোষণের বিরুদ্ধে টিপু সুলতান, তিতুমীর, রজব আলী হাবিলদার, মঙ্গল পান্ডে, লক্ষ্মীবাইসহ সহস্র শহিদ, যাঁদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল ব্রিটিশ সরকার, তাদের ২০০ বছরের সংগ্রামের ফলেই আমরা পেয়েছিলাম ১৯৪৭–এর বহুল কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
‘বিজয়ের সুখ উপভোগের আগেই দুর্ভাগা এই অঞ্চলে আবারও নেমে আসে শাসন নামে শোষণের অন্ধকার। সেখান থেকেই বাংলা ও বাঙালির রাষ্ট্র-আকাঙ্ক্ষার জন্ম। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সূচনা হয়। সহস্র শহিদের রক্ত, সহস্র বোনের সম্মানের বিনিময়ে অর্জিত হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড। আমাদের শহিদেরা আমাদের দিয়ে গেলেন একটুকরো লাল সবুজের পতাকা, নতুন নিজস্ব একান্ত ভূমি, দেশ, জাতীয়তা।
‘তথাপি, আমাদের রাষ্ট্র-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো না। স্বৈরাচার, দুঃশাসন, দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদ, হেজিমনি, গুম-খুন, বিচারিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যার পীড়নে এইটুকু দেশ ও দেশের মানুষ বারবার ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। ২০২৪ আমাদের সামনে আরেকবার সুযোগ এনে দিয়েছে রাষ্ট্র-আকাঙ্ক্ষা পূরণের। এ পথে সফল হওয়ার সময় কারা কারা ৭১-পরবর্তী সময়ের মতো গাদ্দারি করলো—একদিন ইতিহাসে তাদের নামও উচ্চারিত হবে; দ্বিগুণ ঘৃণায়।
‘মহান বিজয়ের মাসের শুরু আজ, আমাদের নতুন আত্মপরিচয় দেওয়া সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা—যাদের রক্তের মূল্যায়ন আমরা কোনোবারই করতে পারি না।’
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকসজ্জার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও সমালোচনা করেছে ছাত্রদল। তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাভবন, কার্জন হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনকে আলোকসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে উদ্যাপন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ ঐতিহ্য হলেও এবার তা একেবারেই করা হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে উদ্যাপন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের এমন দৃষ্টিকটু ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অনীহার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চরম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাস উদ্যাপনে প্রশাসনের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন অবহেলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।