ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যোগ্য হয়েও সংকটের কারণে হলে সিট না পাওয়া ছাত্রীদের প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে।

অস্থায়ী আবাসন সহায়তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ টাকা প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.

সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর ড. সাইফুদ্দিন আহমদ এবং মেয়েদের হলগুলোর প্রাধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমরা আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য খুব দ্রুতই কোন সমাধান করতে পারছি না। তবে এরই মধ্যে আমরা অস্থায়ীভাবে আবাসন সুবিধার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। এছাড়াও আমরা বাজেটের বাইরে একটা ফান্ড কালেকশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আবাসন সহায়তা দেব।”

তিনি বলেন, “যারা হলে সিট পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু সংকটের কারণে সিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাদের জন্য আমরা মাসিক ৩ হাজার টাকা করে আবাসন সুবিধা দেব। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। হলগুলোতে কারা সিটে থাকতে চায় সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে। এটি হাতে পেলে আমরা যাচাই-বাছাই করে কাজ শুরু করে দেব।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বেতনের দাবিতে রাতে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের আশ্বাসে ঘরে ফিরলেন শ্রমিকেরা

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে নগরের হারিকেন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশের আশ্বাস পেয়ে চার ঘণ্টা পর রাত একটার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকেরা জানান, গাজীপুর নগরের গাছা থানার হারিকেন এলাকায় সেলফ ইনোভেশন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার পোশাক শ্রমিকদের গত দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ বারবার সময় দিয়েও তাঁদের বেতন পরিশোধ করেনি। দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে হারিকেন এলাকায় এসে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে যাত্রী ও পরিবহনচালকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। তবে শ্রমিকেরা কোনো আশ্বাসই মানতে রাজি হচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত রাত একটার দিকে পুলিশের আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে যান। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।

কারখানার শ্রমিক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতি মাসেই কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন দিতে গড়িমসি করে। চলতি মাসের শুরু থেকেই দুই মাসের বেতন পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই বেতন দিচ্ছিল না। এ কারণে বাধ্য হয়ে বেতন আদায় করতে মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেছি, যাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে বেতন দিতে বাধ্য করে।’

শিল্প পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, ওই কারখানার শ্রমিকেরা দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ করেন। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বেতন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে রাত একটার দিকে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ