রেন্ট-এ কারে যাত্রী পরিবহনের ছদ্মবেশে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৪
Published: 16th, January 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে ভাড়ায় চালিত রেন্ট-এ কারে যাত্রী বহনের অজুহাতে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে অর্থ আদায়ের ঘটনায় চার অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তারদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মামুন রমু (৩৮), নুর ইসলাম (৫২), শাকিল আহমেদ পাপ্পু (৩০) ও জয়নাল আবেদিন (৩৬) আসামিরা সবাই কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বাসিন্দা। এ ঘটনায় একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৪-৭৪০৫), তিনটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, দুইটি স্টিলের চাকু এবং নগদ ৩০২০ টাকা জব্দ করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার সুশান্ত কুমার শীল মানিক গঞ্জ যাওয়ার জন্য হেমায়েতপুর বাস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেসময় একটি সাদা প্রাইভেটকার নিয়ে আসামিরা ভুক্তভোগীর সামনে থামায় এবং ১৫০ টাকা ভাড়া চুকিয়ে তাকে গাড়িতে ওঠায়। কিছুদূর যাওয়ার পর নির্জন স্থানে গামছা দিয়ে চোখ, হাত বেঁধে ফেলে কিল-ঘুষি মেরে বাদীর সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে নেয়।
এরপর ভুক্তভোগীকে বাড়িতে ফোন দিয়ে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। গাড়িটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ধামরাই থানাধীন চৌটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী প্রাইভেটকারসহ আসামিদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় এ ধরনের মামলা রয়েছে। অভিনব কায়দায় গাড়ির মালিক সেজে জনবহুল স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী তুলে তাদের কৌশলে অপহরণ ও অর্থ আদায় করাই এই চক্রের পেশা।
ঢাকা/সাব্বির/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।