ঢাকার ধামরাইয়ে ভাড়ায় চালিত রেন্ট-এ কারে যাত্রী বহনের অজুহাতে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে অর্থ আদায়ের ঘটনায় চার অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তারদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- মামুন রমু (৩৮), নুর ইসলাম (৫২), শাকিল আহমেদ পাপ্পু (৩০) ও জয়নাল আবেদিন (৩৬) আসামিরা সবাই কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বাসিন্দা। এ ঘটনায় একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৪-৭৪০৫), তিনটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, দুইটি স্টিলের চাকু এবং নগদ ৩০২০ টাকা জব্দ করা হয়। 

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার সুশান্ত কুমার শীল মানিক গঞ্জ যাওয়ার জন্য হেমায়েতপুর বাস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেসময় একটি সাদা প্রাইভেটকার নিয়ে আসামিরা ভুক্তভোগীর সামনে থামায় এবং ১৫০ টাকা ভাড়া চুকিয়ে তাকে গাড়িতে ওঠায়। কিছুদূর যাওয়ার পর নির্জন স্থানে গামছা দিয়ে চোখ, হাত বেঁধে ফেলে কিল-ঘুষি মেরে বাদীর সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে নেয়। 

এরপর ভুক্তভোগীকে বাড়িতে ফোন দিয়ে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। গাড়িটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ধামরাই থানাধীন চৌটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকা‌ছি পৌঁছালে ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী প্রাইভেটকারসহ আসামিদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় এ ধরনের মামলা রয়েছে। অভিনব কায়দায় গাড়ির মালিক সেজে জনবহুল স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী তুলে তাদের কৌশলে অপহরণ ও অর্থ আদায় করাই এই চক্রের পেশা।

ঢাকা/সাব্বির/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার