কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে পদার্থবিজ্ঞান ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের  আরাফ ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আটটি দাবি উপস্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, গণতন্ত্রের চর্চা, সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখা, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতার বিকাশ, ক্যাম্পাসের শান্তি বজায় রাখা, লেজুড়বৃত্তিক ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে মুক্তি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা।

এ প্রসঙ্গে ফার্মেসী বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, “ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে এসে রাজনীতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে তৈরি হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির নামে অপরাজনীতি বন্ধ হবে। আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ চালু করবে এবং শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র প্রতিনিধি তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করবে।”

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো.

ইকবাল বলেন, “আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি, যা আমাদের জন্য লজ্জার। এখনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোন একটি যৌক্তিক দাবি আসলে তা প্রশাসনের কাছে উপস্থপন করার মতো কোন ছাত্র সংগঠন নেই। আমরা এ সমস্যার দ্রুত অবসান চাই।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই, এ অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক, যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরতে কোন সমস্যা না হয়। এটা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব বিকাশ ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।”

ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলী বলেন, “ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমার এখন কোন মন্তব্য নেই। আলোচনা করে পরে জানাবো।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু

তৃণমূল থেকে প্রতিভা তুলে আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খুলনায় শিশুদের নিয়ে শুরু হয়েছে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ- ২০২৫’ প্রতিযোগিতা।

সোমবার (১৬ জুন) সকাল থেকে দিনব্যাপী নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের রেজাউল সুইমিং একাডেমিতে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। 

নৌবাহিনীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন প্রতিযোগিতার আয়োজনে করে। বয়স ভিত্তিক এ প্রতিযোগিতায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা থেকে শিশু-কিশোররা অংশ নিচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

ফুলকুমার নদে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু 

টাঙ্গাইলে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

সরেজমিনে ভেন্যুতে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্তানদের নিয়ে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অভিভাবকরা এসেছেন। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে নৌবাহিনী সদস্যরা প্রতিযোগীদের বুক ও হাতের মাপসহ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন।

অভিভাবকরাও সন্তানদের প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার প্রত্যাশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ক্ষুদে সাঁতারুরাও তাদের সেরাটা প্রদর্শনের জন্য অপেক্ষা করছেন। সব মিলিয়ে খুলনার এ আয়োজন শিশু সাঁতারুদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

খুলনা ভেন্যু প্রতিনিধি ও সুইমিং ফেডারেশনের সাবেক সদস্য জি এম রেজাউল ইসলাম বলেন, “তৃণমূল থেকে প্রতিভা তুলে এনে তাদের লম্বা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে সেরা সাঁতারু খুঁজে বের করার যে পরিকল্পনা বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন নিয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে খুলনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ-২০২৫’ প্রতিযোগিতা। এখানে অংশ নিয়েছে খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার শিশু-কিশোররা।”

তিনি আরো বলেন, “বয়সভিত্তিক ‘ক’ গ্রুপে ৯-১১ বছর বয়সী এবং ১২-১৫ বছর বয়সী সাঁতারুরা অংশ নিয়েছে ‘খ’ গ্রুপে।”

“তিন ধাপে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ের বাছাইকৃত সাঁতারুদের দুই বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আশা করি, এই ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে খুলনাসহ সারা দেশে সাঁতারুদের যে ক্রাইসিস চলছে, তা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারব”, যোগ করেন তিনি।

এর আগে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ ২০২৫’ প্রতিযোগিতার বিষয় নিয়ে রবিবার (১৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন খুলনা ভেন্যু প্রতিনিধি, সুইমিং ফেডারেশনের সাবেবক সদস্য ও রেজাউল সুইমিং একাডেমির পরিচালক জি এম রেজাউল ইসলাম।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন- সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশের খুলনা ভেন্যুর নির্বাচন কমিটি ও সুইমিং ফেডারেশনের সদস্য  মাহাবুবুর রহমান, মো. সোলাইমান, এম এইচ ঢালী, নাজিমুদ্দিন জুলিয়াস, জ্যোতিন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মো. আলাউদ্দিন, শাহাজাহান রনি, মাহফুজুর রহমান শিলা ও জুয়েল আহম্মেদ প্রমুখ। 

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ