মাগুরা জেলার চারটি উপজেলায় নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রথম চারটি উপজেলা প্রশাসন চালাচ্ছেন নারীরাই।

মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইশরাত জাহান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাখী ব্যানার্জী, শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ ও মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার।

চারটি উপজেলায় যোগ দেওয়া নারী ইউএনওরা বিসিএস ৩৪ ও ৩৫ ব্যাচের কর্মকর্তা। মাগুরা জেলায় গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে যোগদান করেছেন। 

মাগুরার সিনিয়র সাংবাদিক হোসেন সিরাজ বলেন, “প্রশাসনের তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরে নারী কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ দিনে দিনে বাড়ছে। এতে দেখা যায়, আগে নারী কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই ঢাকাকেন্দ্রীক পদগুলোতে থাকতেন। এখন ডিসি ও ইউএনওর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে শুরু করে বিভাগ, জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। এর আগেও নারী ইউএনও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এবারই প্রথম জেলার চারটি উপজেলায় প্রশাসন চালাচ্ছেন নারীরাই।”

সাবেক সংসদ সদস্য নেওয়াজ হালিমা আরলী বলেন, “বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন ও অর্জন এখন বিশ্বের কাছে দৃশ্যমান। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কম।” 

তাঁর মতে, তৃণমূলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইউএনওর পদটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এসব পদে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি খুবই ইতিবাচক।

তিনি বলেন, “একজন ইউএনও উপজেলা প্রশাসন পরিচালনা ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলায় তাঁরাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলার দুজন নারী ইউএনও জানান, তাঁরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না। কাজকর্মে নারী হিসেবে কোনো প্রতিবন্ধকতা বোধ করেন না। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের সহযোগিতা বেশি পাচ্ছেন।

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল য় গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

২৩৭ জনের তালিকায় নেই রুমিন ফারহানা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এ তালিকায় নেই দলটির আলোচিত নেত্রী রুমিন ফারহানা। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল, আশুগঞ্জ এবং বিজয়নগর আংশিক) আসনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল রুমিন ফারহানার। তবে এই আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলের ৭ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা 

কক্সবাজার-১ আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী সালাহউদ্দিন

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্ভব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

রুমিন ফারহানা একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি দলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচনে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।’’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে।’’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘এটা প্রাথমিক তালিকা। আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটি মনে করলে যে কোনো সংশোধনী আসতে পারে।’’
 

ঢাকা/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ