মাগুরার ৪ উপজেলার সবকটিতেই নারী ইউএনও
Published: 16th, January 2025 GMT
মাগুরা জেলার চারটি উপজেলায় নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রথম চারটি উপজেলা প্রশাসন চালাচ্ছেন নারীরাই।
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইশরাত জাহান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাখী ব্যানার্জী, শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ ও মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার।
চারটি উপজেলায় যোগ দেওয়া নারী ইউএনওরা বিসিএস ৩৪ ও ৩৫ ব্যাচের কর্মকর্তা। মাগুরা জেলায় গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে যোগদান করেছেন।
মাগুরার সিনিয়র সাংবাদিক হোসেন সিরাজ বলেন, “প্রশাসনের তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরে নারী কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ দিনে দিনে বাড়ছে। এতে দেখা যায়, আগে নারী কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই ঢাকাকেন্দ্রীক পদগুলোতে থাকতেন। এখন ডিসি ও ইউএনওর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে শুরু করে বিভাগ, জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। এর আগেও নারী ইউএনও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এবারই প্রথম জেলার চারটি উপজেলায় প্রশাসন চালাচ্ছেন নারীরাই।”
সাবেক সংসদ সদস্য নেওয়াজ হালিমা আরলী বলেন, “বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন ও অর্জন এখন বিশ্বের কাছে দৃশ্যমান। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কম।”
তাঁর মতে, তৃণমূলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইউএনওর পদটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এসব পদে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি খুবই ইতিবাচক।
তিনি বলেন, “একজন ইউএনও উপজেলা প্রশাসন পরিচালনা ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলায় তাঁরাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলার দুজন নারী ইউএনও জানান, তাঁরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না। কাজকর্মে নারী হিসেবে কোনো প্রতিবন্ধকতা বোধ করেন না। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের সহযোগিতা বেশি পাচ্ছেন।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল য় গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‘মিড ডে মিল’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে এবং ঝরে পড়ার হার কমানোর লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ১১৩টি স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রথম পর্যায়ে ৩০টি স্কুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমানের উদ্যোগে মিড ডে মিলের আয়োজন করা হয়।
মিড ডে মিল চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অভিভাবকরাও এমন উদ্যোগ নেওয়ায় ইউএনওকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার হ্রাস পাবে এবং তারা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পারবে।”
আরো পড়ুন:
এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
স্কুলের মাঠে বসানো হচ্ছে মরিচের হাট
ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন, “উপজেলার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩০টি বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় এ কার্যক্রমকে স্থায়ী রূপ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এই উদ্যোগ।”
তিনি আরো বলেন, “মিড ডে মিল চালুর পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য স্কুলের আঙিনায় ফুলের বাগান করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৩০টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম দৃশ্যমান। এসব কার্যক্রম আমি নিজে থেকেই উদ্বোধন করেছি। আমি চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুরা যেনো আনন্দ মুখর পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারে।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ