তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিচক্ষণতায় জলাবদ্ধতার সংকট থেকে রক্ষা পেল পাঁচটি হাওর। এতে চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি ফসলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলো।

বুধবার ইউএনও মো. আবুল হাসেমের নির্দেশে বনুয়া হাওরের নাওটানা এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প কমিটি এক্সক্যাভেটর দিয়ে বাঁধ কেটে নালা তৈরি করে দেয়। এতে করে সংশ্লিষ্ট এলাকার হাওরের পানি দ্রুত পাটলাই নদীতে নেমে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসনিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, ইউএনওর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জলাবদ্ধতা সংকট থেকে উপজেলা-সংলগ্ন বনুয়া, পালই, কাটুয়াউরা, ছিরিয়ারগাঁও ও নানদিয়ার হাওর মুক্ত হয়েছে। তাঁর পরিকল্পনা মতো পানি অপসারণের ব্যবস্থা করায় কোনো অংশের ক্ষতিও হয়নি।

স্থানীয় কয়েকজন বোরো চাষি জানান, জলাবদ্ধতার কারণে হাওরপারের কৃষকরা নিজেদের জমিতে বোরো চাষ করতে পারছিলেন না। পানির কারণে বোরো ধান রোপণের উপযুক্ত সময় পেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ায় বিষয়টি ইউএনওকে অবগত করেন কৃষকরা। পরে ইউএনও ওই এলাকার বিস্তারিত অবস্থান সম্পর্কে তথ্য যাচাই করে করণীয় নির্দেশনা দেন। পরে বাঁধের কাজের দায়িত্বে থাকা কমিটি তা বাস্তবায়ন করেন।

গদবনুয়া হাওরপারের কৃষক আবুল ফজল জানান, ইউএনওর নির্দেশে বনুয়া হাওরের নাওটানা বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়। এতে হাওরের পানি দ্রুত সরে যায়। কৃষকরা দুই হাজার একর জমিতে এখন নিরাপদে বোরো ধান চাষ করতে পারবেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, নাওটানা বাঁধটি কেটে বাঁওড়ের পানি অপসারণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন ইউএনও। সেভাবেই কাজ করা হয়েছে। পানি দ্রুত সরে যাচ্ছে।
ইউএনও আবুল হাসেম জানান, এমন পরিস্থিতি হাওর এলাকায় প্রায়ই হয়। কৃষকের সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ দেরি হলে ফসলের আবাদ বিঘ্নিত হবে। নাওটানা বাঁধটি কেটে পানি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পাঁচটি হাওরের দুই হাজার একর জমি চাষের উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।

মাটিয়ান হাওরের বাঁধ এলাকার কাজের ব্যাপারে ইউএনও জানান, পানি থাকায় ২৯টি বাঁধের কাজ করা যাচ্ছিল না। এখন দ্রুত কাজ শুরু করে নির্ধারিত সময়ের শেষ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউএনও এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। 

রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। 

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ