সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ.লীগের জয়জয়কার
Published: 17th, January 2025 GMT
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা। কয়েকটি পদ পেয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীও।
ভোট গণনা শেষে শুক্রবার ভোরে ২০২৫ সালের বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ হাজার ৮৫০ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪৬০ জন আইনজীবী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ৬৫ জন প্রার্থী।
নির্বাচনে সভাপতি পদে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল ৭৭০ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক মো.
অন্যপদের মধ্যে সহ-সভাপতি-১ পদে আওয়ামী লীগের জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন), সহ-সভাপতি-২ পদে বিএনপির মো. মখলিছুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক-১ পদে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মো. অহিদুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক-২ পদে বিএনপির অ্যাডভোকেট মো রব নেওয়াজ রানা, একই দলের সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সহ-সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট সৈয়দ রাব্বী হাসান তারেক, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের হেনা বেগম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে মো. ছয়ফুল আলম, সহকারী নির্বাচন কমিশনার পদে আব্দুল্লাহ আল হেলাল, মো. কাওছার জুবায়ের, সহ সম্পাদকীয় ৩টি পদে এমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ, সাহেদ আহমদ ও কাওছার আহমদ নির্বাচিত হন।
এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির ১১টি পদে বিজয়ীরা হলেন গিয়াস উদ্দিন, এএসএম আব্দুল গফুর, ফখরুল ইসলাম, জামিলুল হক জামিল, আব্দুল মালিক, কল্যাণ চৌধুরী, আশিক উদ্দিন (আশুক), জুবের আহমদ খান, আবু মো. আসাদ, আলীম উদ্দিন ও ছয়ফুল হোসেন।
সাধারণ আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তাদের প্রার্থীরা কাঙ্ক্ষিত পদ-পদবি পাননি। সেই সুযোগ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা কাজে লাগিয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আইনজ ব আওয় ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।