কখনো সুইপার, কখনো বাক-প্রতিবন্ধী প্রেমিক আবার কখনো লেগুনা চালকসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে ছোটপর্দায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন মুশফিক আর ফারহান। অল্প কাজ করলেও বিশেষ দিন কিংবা উৎসবে বিশেষ কাজ নিয়ে ঠিকই হাজির হন তিনি। চলতি মাসে শুরুর দিকে অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ফারহান। তবে শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে ফিরেছেন তিনি।

মুশফিক আর ফারহান সমকালকে বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সংখ্যা কিছুটা কমে গিয়েছিল। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিতে আবারও কাজের গতি ফিরে আসছে। ভালো লাগার বিষয় হল দর্শক আবারও নাটক দেখছেন।’

বছরের প্রথম কাজ নিয়ে সুখবরও দিলেন ফারহান। তার কথায়, ‘বছরের প্রথমদিন মুক্তি পেয়েছে মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় আমার নাটক ‘সুইট ফ্যামিলি’। নাটকটি দারুণভাবে গ্রহণ করেছে দর্শক। দুই সপ্তাহের নাটকটি ১০ মিলিয়ন (এক কোটি) দর্শকের ভালোবাসা অর্জন করেছে। অভিনেতা হিসেবে এটা আমার জন্য সত্যি ভালোলাগার বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘অসুস্থতা কাটিয়ে ফের কাজে ফিরেছি। দর্শকের ভালোলাগার কথা মাথায় রেখেই কিন্তু প্রতিটি নাটকের গল্প নির্বাচন করি। আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দুটি নাটকের অভিনয় করার কথা রয়েছে। নাম ঠিক না হলেও শুটিং শুরু করেছি। আশাকরি ভালো কিছু আসবে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ