রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
Published: 19th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলার অভিযোগে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের চন্দ্রিমা থানা-পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে আমাদের থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’
ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর জাকির হোসেন অমিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। ডিবির কাছে তদন্তাধীন নগরের বোয়ালিয়া থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডিবি পুলিশ তাকে আদালতে তুলবে।
জাকির হোসেন অমির গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মহানগরের ছোটবনগ্রাম এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। মাদকাসক্তি ও টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর তাকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
গত ১৬ জানুয়ারি রাতে অমিকে তার ভাড়া বাসার সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে র্যাব ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ সময় আব্দুর রশিদ (৫০) ও মীম ইসলাম (৩০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। মীম হলেন আব্দুর রশিদের গাড়িচালক। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের মামলা করেছেন অমির বাবা আমির হোসেন।
অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ। তার সঙ্গে জমির ব্যবসায় নেমেছিলেন অমি। জমি ও প্লট বিক্রির টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ থেকে অমিকে তুলে নিয়ে দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন রশিদ। এ ঘটনা জানাজানি হলে নতুন করে আলোচনায় আসেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।