প্রযুক্তি জগতের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ইলন মাস্ক এবার ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি “হার্ডকোর” সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের তাদের সেরা কাজ প্রদর্শনের মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এরই মধ্যে এক্সে এ বিষয়ে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন তিনি।

মাস্ক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘আপনি যদি একজন ভালো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হন আর সবকিছুর জন্য অ্যাপটি তৈরি করতে চান, তাহলে আপনার সেরা কাজটি ই-মেইলে (code@x.

com) পাঠিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দিন। আপনি কোন স্কুলে গেছেন বা কোথায় পড়েছেন, তা আমরা চিন্তা করি না। আপনি স্কুলে গিয়েছিলেন কি না বা বড় কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, তা আমাদের চিন্তায় নেই। শুধু আমাদের কাছে আপনার কোড পাঠান।’

মাস্কের এই ঘোষণা প্রথাগত নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তার মতে, একাডেমিক যোগ্যতা বা বড় প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতার চেয়ে প্রকৃত দক্ষতাই গুরুত্বপূর্ণ। তার ভাষায়, “কোডই এখানে সবকিছু বলে দিবে।”

ইলন মাস্ক বহুদিন ধরেই ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মকে একটি বহুমুখী অ্যাপে রূপান্তর করার পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন। চীনের উইচ্যাটের মতো একটি “এভরিথিং অ্যাপ” বানানোর  নিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে মাস্ক টুইটারের পরিবর্তনশীল পথচলার কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, কীভাবে এটি ‘টুইটার ১.০’ থেকে ‘এভরিথিং অ্যাপ’-এ রূপান্তরিত হচ্ছে। তার লক্ষ্য ‘এক্স’-কে একটি “এভরিথিং অ্যাপ”-এ রূপান্তরিত করা, যেখানে পেমেন্ট, মেসেজিং ও ই-কমার্সসহ সবকিছু একসঙ্গে থাকবে।

কয়েক মাস ধরেই বেশ কিছু নতুন সুবিধা চালু করছে এক্স। আরও বেশ কিছু সুবিধা চালুর জন্য চেষ্টা করছে খুদে ব্লগ লেখার সাইট। এক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিন্ডা ইয়াকারিনো এ মাসের শুরুতে জানিয়েছেন, ‘২০২৪ সালে এক্স পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে। এখন আপনি নিজেই মিডিয়া। ২০২৫ সালে এক্স সবাইকে যুক্ত করবে, যা আগে কখনো ভাবা হয়নি। শিগগিরই এক্স টিভি, এক্স মানি, গ্রোক ও আরও অনেক কিছু আসবে।’

এই নতুন উদ্যোগ মাস্কের এক্স-কে কেবল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বহুমাত্রিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার একটি বড় পদক্ষেপ। বাংলাদেশি তরুণ সফটওয়্যার ডেভেলপারদের জন্য এটি হতে পারে একটি অনন্য সুযোগ।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডেস্ক চালু করল বেসিস

বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার, ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা আরও বাড়াতে কোরিয়া ডেস্ক চালু করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আজ মঙ্গলবার বেসিস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসিস-কোরিয়া ডেস্কের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে আমেরিকা ও জাপান ডেস্কও চালু করেছে বেসিস।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়া উদ্ভাবনমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশ। আর তাই দেশটিতে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কোরিয়া ডেস্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারত্ব গড়ে তোলার সুযোগ পাবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. তৈয়বুর রহমান, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম তায়ইয়োং, কোরিয়ান কমিউনিটি ইন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইউ ইয়ং ওহ, বাংলাদেশ-কোরিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেবিসিসিআই) সভাপতি শাহাব উদ্দিন খান ও বেসিস কোরিয়া ডেস্কের চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড কিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য (প্রশাসন) মো. ইমরুল কায়েস।

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি ও শক্তিশালী ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) কৌশলগত সহযোগিতার জন্য একটি আদর্শ মডেল তৈরি করেছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ভাবনী প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বেসিস কোরিয়া ডেস্কের মাধ্যমে উভয় দেশ একসঙ্গে ডিজিটাল অর্থনীতির বিশাল সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, যা পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘বেসিস-কোরিয়া ডেস্ক আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয়ের একটি মাইলফলক। এই উদ্যোগ দুই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারকরণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা জোরদার করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।

বেসিস কোরিয়া ডেস্কের চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড কিম বলেন বেসিস কোরিয়া ডেস্ক বাংলাদেশি এবং কোরিয়ার প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে। বেসিস কোরিয়া ডেস্কের যাত্রা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে শক্তিশালী করতে এবং বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্বিপাক্ষিক কাজ করবে বেসিস-কোরিয়া
  • বৈদেশিক ব্যবসায় কাজ করবে বেসিস-কোরিয়া
  • বৈদেশিক ব্যবসায় বেসিস-কোরিয়া ডেস্ক
  • দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডেস্ক চালু করল বেসিস