মেশিন বিক্রির ১৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় টেক্সাইল মিলে তালা, অভিযোগ যুবদল কর্মীর বিরুদ্ধে
Published: 20th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় একটি টেক্সটাইল মিল ৫ দিন ধরে তালাবদ্ধ। মালিকপক্ষের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল কর্মী ইমন, ফজলুল হক ও আবুল কালামের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন মিলে তালা দিয়েছেন। তালা খুলতে গেলে তারা বাধা দিচ্ছেন। এমনকি কি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমিক দেওয়া হয়েছে। মিল মালিকের বাসা ও কারখানার আশপাশে পাহারা বসানো হয়েছেও বলে অভিযোগ করেছে মালিকপক্ষ। উপজেলা ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মনোহরদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য পলক পাল জানান, তার বাবা পল্টন পাল, চাচা সেবা পাল ও আকাশ পালের মালিকানায় মনোহরদী গ্রামে একটি টেক্সটাইল মিল রয়েছে। এই মিলে ৬০টি মেশিন রয়েছে। মিল চালাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ঋণ নিতে হয়। সেই ঋণ পরিশোধ করতে মিল থেকে ২৫টি মেশিন বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ টাকায় মেশিনগুলো বিক্রি করা হয়। গত বুধবার ডেলিভারি দেওয়ার জন্য টেক্সটাইল মিল থেকে মেশিন বের করা শুরু হলে স্থানীয় যুবদল কর্মী নেতা ইমন, ফজলুল হক ও আবুল কালামের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল এসে মেশিন বিক্রির টাকা তাদের হাতের দেওয়ার জন্য চাপ দেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা টেক্সটাইল মিলে তালা ঝুলিয়ে দেন।
মিলে তালা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আবুল কালাম বলেন, ‘কারাখানায় দেনা-পাওনা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় ওইখানে আমি গিয়েছিলাম। বড় ভাইয়েরা এসে কি করেছেন তা আমি বলতে পাবর না।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি বা এর কোনো অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বা কোনো অপরাধ করলে দল তার দায় নেবে না। কেউ যদি অন্যায় অনিয়ম করে, তার দায় তাকেই নিতে হবে।’
অভিযুক্তদের বিষয়ে কোনো দলীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন নেবে।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ-খবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিতভাবে আমাকে জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ য বদল য বদল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।