কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা সভাপতি ম. ম. জুয়েলকে আসামি করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েলকে অহেতুক হয়রানি না করার আহ্বান জানায় সংস্থাটি। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত তহমুল ইসলাম মাজহারুল নামে এক ব্যক্তি গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এতে ১২৪ আসামির মধ্যে টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গঠিত সনাকের কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি ম.

ম. জুয়েলের নামও দেওয়া হয়েছে।

এটি জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় যথেচ্ছ আসামি করার প্রবণতার নজির উল্লেখ করে টিআইবি বলেছে, এ ধরনের মামলা একদিকে যেমন ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নজিরবিহীন সহিংসতার জন্য প্রকৃত দায়ীদের জবাবদিহির সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে, অন্যদিকে নিরপরাধ অনেকের জন্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করছে। বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে দেশ-বিদেশে আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ঝুঁকিও তৈরি করছে। মাজহারুলের মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকেও আসামি করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে সনাকের জেলা সভাপতির নাম দেখে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, প্রতিটি মামলাই যাচাই-বাছাই হচ্ছে। যারা প্রকৃত দায়ী, কেবল তাদের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। জুয়েলের বিষয়টিও যাচাই করা হবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট আইব ক শ রগঞ জ ট আইব

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তরাখন্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৭

ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার কেদারনাথের কাছে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার স্থানীয় সময় ভোরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে। হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ মন্দির থেকে গুপ্তকাশি যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় এক বনে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

হেলিকপ্টারটিতে ছয়জন যাত্রী ও একজন পাইলট ছিলেন এবং সবাই নিহত হন। উত্তরাখন্ডের সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ইউসিএডিএ) জানিয়েছে, নিহত তীর্থযাত্রীরা উত্তরাখন্ড, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন।

কারিগরি সমস্যা ও আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবাদিপশুর জন্য পশুখাদ্য সংগ্রহ করতে বনে যাওয়া স্থানীয় লোকজন প্রথম নিখোঁজ হওয়া হেলিকপ্টারটিকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পান। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তাঁদের কাছেই প্রথম পাওয়া যায়।

উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে বলেন, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ