Risingbd:
2025-11-03@14:00:49 GMT

হাঁটবেন নাকি সিঁড়ি টপকাবেন

Published: 23rd, January 2025 GMT

হাঁটবেন নাকি সিঁড়ি টপকাবেন

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন, হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। চিকিৎসকেরা সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনি নিয়ম করে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার পরামর্শ দেন। কিন্তু এই নিয়ম মানা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে যায়। কখনো সময়ের অভাব আবার কখনো সুযোগের অভাব। হাঁটার ইচ্ছা থাকলেও উপায় খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভালো খবর হচ্ছে এর বিকল্প উপায় রয়েছে। 

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন ৫০ স্টেপ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার সমান উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। ‘হেলথ শর্টস’ এর তথ্য অনুযায়ী আরও বিস্তারিত জেনে নিন।

সিঁড়ি বেড়ে ওপরে উঠলে হৃদরোগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। যারা হাঁটার সুযোগ পান না বা শারীরিক অনুশীলনের সময় বের করতে পারেন না তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর পন্থা হতে পারে সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা।

আরো পড়ুন:

শীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে নিময় মানা জরুরি

শিশুর ডায়রিয়া হলে কখন হাসপাতালে নেবেন

গবেষক ড.

লু কি উল্লেখ করেছেন, ছোট ছোট সিঁড়ি বেয়ে ওঠা কার্ডিও রেসপিরেটরি ফিটনেস আর লিপিড প্রোফাইল উন্নত করার একটি কার্যকর উপায়। এই গবেষণায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠাকে হৃদরোগের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে।

সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা  একটি অত্যন্ত কার্যকর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম। যা হৃদপিণ্ডের পাশাপাশি ফুসফুসকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ফলে শরীরের স্ট্যামিনা, এনার্জি এবং সুস্থতা বৃদ্ধি পায়। 

সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার ফলে শরীরের পেশীগুলো সক্রিয় হয়। যা শরীরের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। 

এই অভ্যাস ওজন কমাতে সহায়তা দিতে পারে। সিঁড়ি বেয়ে উঠলে সহজেই ক্যালোরি বার্ন হয়। কারণ মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে হাঁটতে হয়। হাঁটার সময় শরীরের ওজন তোলার কারণে পায়ের পেশীও শক্তিশালী হয় এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটার তুলনায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠা অনেক বেশি কার্যকর। ব্যায়ামের জন্য যাদের হাতে একেবারেই বেশি সময় থাকে না, তাদের জন্য এটি বেশ ভালো একটি বিকল্প। প্রতিদিন কোথাও গেলে লিফট বা এসকেলেটর ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন কয়েক মিনিটের জন্য সিঁড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। 

যারা খুব বেশি হাঁটার সুযোগ পান না তারা বিকল্প হিসেবে সিঁড়ি বেয়ে ওঠাকে ডেইলি রুটিনে যুক্ত করে নিতে পারেন। 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র যকর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ