Risingbd:
2025-08-01@21:53:01 GMT

হাঁটবেন নাকি সিঁড়ি টপকাবেন

Published: 23rd, January 2025 GMT

হাঁটবেন নাকি সিঁড়ি টপকাবেন

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন, হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। চিকিৎসকেরা সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনি নিয়ম করে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার পরামর্শ দেন। কিন্তু এই নিয়ম মানা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে যায়। কখনো সময়ের অভাব আবার কখনো সুযোগের অভাব। হাঁটার ইচ্ছা থাকলেও উপায় খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভালো খবর হচ্ছে এর বিকল্প উপায় রয়েছে। 

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন ৫০ স্টেপ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার সমান উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। ‘হেলথ শর্টস’ এর তথ্য অনুযায়ী আরও বিস্তারিত জেনে নিন।

সিঁড়ি বেড়ে ওপরে উঠলে হৃদরোগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। যারা হাঁটার সুযোগ পান না বা শারীরিক অনুশীলনের সময় বের করতে পারেন না তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর পন্থা হতে পারে সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা।

আরো পড়ুন:

শীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে নিময় মানা জরুরি

শিশুর ডায়রিয়া হলে কখন হাসপাতালে নেবেন

গবেষক ড.

লু কি উল্লেখ করেছেন, ছোট ছোট সিঁড়ি বেয়ে ওঠা কার্ডিও রেসপিরেটরি ফিটনেস আর লিপিড প্রোফাইল উন্নত করার একটি কার্যকর উপায়। এই গবেষণায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠাকে হৃদরোগের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে।

সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা  একটি অত্যন্ত কার্যকর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম। যা হৃদপিণ্ডের পাশাপাশি ফুসফুসকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ফলে শরীরের স্ট্যামিনা, এনার্জি এবং সুস্থতা বৃদ্ধি পায়। 

সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার ফলে শরীরের পেশীগুলো সক্রিয় হয়। যা শরীরের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। 

এই অভ্যাস ওজন কমাতে সহায়তা দিতে পারে। সিঁড়ি বেয়ে উঠলে সহজেই ক্যালোরি বার্ন হয়। কারণ মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে হাঁটতে হয়। হাঁটার সময় শরীরের ওজন তোলার কারণে পায়ের পেশীও শক্তিশালী হয় এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটার তুলনায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠা অনেক বেশি কার্যকর। ব্যায়ামের জন্য যাদের হাতে একেবারেই বেশি সময় থাকে না, তাদের জন্য এটি বেশ ভালো একটি বিকল্প। প্রতিদিন কোথাও গেলে লিফট বা এসকেলেটর ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন কয়েক মিনিটের জন্য সিঁড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। 

যারা খুব বেশি হাঁটার সুযোগ পান না তারা বিকল্প হিসেবে সিঁড়ি বেয়ে ওঠাকে ডেইলি রুটিনে যুক্ত করে নিতে পারেন। 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র যকর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ