চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পিকনিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে বাসে থাকা ৬ জন শিক্ষার্থী। 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মিঠাছড়া বাজারের চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো.

জিয়াউদ্দিন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের সরকারি তুলারাম কলেজের শিক্ষার্থীরা রাঙামাটি ও কক্সবাজারে পিকনিকের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। সকালে বাসটি মিরসরাই মিঠাছড়া বাজারের কাছে পৌঁছালে এক পথচারী সড়কের মাঝখানে চলে আসায় চালক তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে চাপা পড়ে অজ্ঞাত পরিচয় পথচারী নিহত হন। আহত হয় বাসের চালকসহ ৬ জন শিক্ষার্থী। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

নিহত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পথচ র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলা তদন্ত, বিচারে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপ: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া গুমের মামলার তদন্তের পাশাপাশি বিচারে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)-এর ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই দুজন ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আজ দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গুমের কেসগুলোকে কীভাবে আমরা ডিল করছি এবং এই কেসের যে তদন্ত, বিচার কোন পর্যায়ে আছে; কী কী চ্যালেঞ্জ আমরা ফেস করছি, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য কী কী ধরনের সাপোর্ট দরকার, তাঁরা কী ধরনের সাপোর্ট আমাদের দিতে পারেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিচার অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে এই কমিটি প্রস্তুত আছে এবং তাঁরা এটা করবেন।’

গুমের শিকার, এমন ভুক্তভোগীরা সাক্ষী দিতে এসে যাতে বিপদে না পড়েন, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাঁরা বলেছেন, যত ধরনের সাহায্য লাগবে, তাঁরা করবেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে সাক্ষী সুরক্ষার ব্যাপারটা। এ ব্যাপারে আইন আছে, কিন্তু তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী আছেন, তাঁদের হয়তো এমন নিরাপত্তার সংকট আছে, তাঁদের হয়তো এক জায়গা থেকে সরিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হতে পারে। সেটা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে করা কঠিন। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের যদি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের জন্য কাজ করা সহজ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ