বন্দরে মাদ্রাসা শিক্ষক অপহরণ মামলায় রিফাদ গ্রেপ্তার
Published: 24th, January 2025 GMT
ঢাকা সারুলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষককে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায় করে মেয়ে লেলিয়ে দিয়ে ব্লাকমিলিং করার মামলার দীর্ঘ দেড় মাস পর অবশেষে পলাতক আসামী রিফাদ হোসেন (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) রাতে বন্দর উপজেলা ফরাজিকান্দাস্থ বালিয়াগাও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত রিফাদ হোসেন উল্লেখিত এলাকার আনোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতকে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। যার মামলা নং- ১৩(১২)২৪ ধারা- ৩৬৫/ ৩৮৫/ ৩৮৬/ ৩২৩/ ৫০৬ দঃবিঃ।
এর আগে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার চর-ঘারমোড়াস্থ আজিজ মিয়ার বাড়ি থেকে অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষককে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষক সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গত রোববার বিকেলে আমি বন্দর উপজেলার মদনপুর ফুফাত ভাই জুয়েলের সাথে দেখা করে আমার কর্মস্থল ডেমরা থানার সারুলিয়া পশ্চিম বক্সনগর তারতিলুল কোরআন মাদ্রাসা যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠি।
সিএনজি গাড়ীটি কিছু দূর যাওয়ার পর গাড়ীতে থাকা অপহরনকারীরা আমাকে ২টি ধারালো অস্ত্র গলায় ঠেকিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক চর ঘারমোড়া এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়িতে আনে। পরে আমাকে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে আমার সাথে থাকা ১টি মোবাইল ফোন, নগদ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে আপহরণকারিরা মুক্তিপন হিসেবে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় আমি জীবন রক্ষার্থে মাদ্রাসার শিক্ষক, আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধদের কাছ থেকে আমার নাম্বারসহ অপহরনকারীদের বিভিন্ন নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপনে টাকা দেই।
টাকা নেওয়ার পরও কাজী মাসুদ, রিফাদ আমাকে মেয়ে দিয়ে ভিডিও করে ব্লাকমিলিং করে। পরে আমার চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধারসহ অপহরনকারী চক্রের হোতা কাজী মাসুদকে আটক করে পুলিশে সর্পোদ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।