গাইবান্ধা সদর উপজেলার রেললাইনের পাশ থেকে এক ব্যক্তির (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে গাইবান্ধা-বোনারপাড়া রেলওয়ের বাদিয়াখালি স্টেশনের (৫০ এফ) ব্রিজের উত্তরে সন্ন্যাসদহ নামক স্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া রেলওয়ের ওসি খায়রুল ইসলাম তালুকদার।
ওসি খায়রুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “আজ সকালের দিকে রেললাইনের পাশে নাম না জানা এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারা সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া (জিআরপি) রেলওয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তাদের হেফাজতে নেয়। এখনো নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।”
আরো পড়ুন:
সেফটিক ট্যাংকে যুবকের মরদেহ
রেললাইনে মিলল মরদেহ, পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর হত্যা
তিনি আরো বলেন, “জেলা সিআইডিকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে মরদেহের পরিচয় শনাক্তকরণের কাজ শুরু হবে। এরপর মরদেহ গাইবান্ধা মর্গে পাঠানোসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহের মাথার পেছনের অংশে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। পিঠ ও হাটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।