অবাধ নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
Published: 25th, January 2025 GMT
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী অবাধ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শনিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে একটি হোটেলে অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জনতার অভ্যুত্থান দেখেছে বাংলাদেশ। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষ যাতে তার আকাঙ্খার অবাধ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে পারে, এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক অগ্রাধিকার, স্পর্শকাতরতা ও পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় রেখে সম্পর্ক জোরদার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। দুই দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তিনি স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এতে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা যোগ দেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে