সম্মান থাকতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : আজাদ
Published: 25th, January 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ অন্তর্র্বতী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, বর্তমান উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে যদি বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলন না করতেন তাহলে আজকে আপনারা এ অবস্থানে বসতে পারতেন না।
আপনারা নিজেরা সে কৃতজ্ঞতাবোধটা ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। এদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন চায়। এ দেশের মুক্তিকামী জনগণ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়। তাই অচিরেই আপনারা নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করেন। আপনাদের সম্মান থাকতে থাকতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সেলিম-সাঈদ স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজাদ বলেন, ১৭ বছর ধরে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা পালিয়েছে। সে আন্দোলনের রূপকার ছিলেন তারেক রহমান। আর সে আন্দোলনের ফলাফল আপনারা ভোগ করছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে- দেড় বা দুই মাসের আন্দোলন।
আপনারা যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছেন তা তারেক রহমানের নির্দেশে ১৭ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিফলন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আমাদের ১৭ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটা পার্ট। যার ফলে আমরা আমাদের রেজাল্ট পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ১৭ বছরের আন্দোলন ভুলে গেলে চলবে না। বিএনপির আত্মত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না। সত্য সব সময় সত্য। একটা কথা আছে, সত্যের মৃত্যু নেই। তাই মিথ্যাচার ভুলে সত্যকে স্বীকার করেন, অন্যথায় অস্বীকার খুনি হাসিনার অবস্থা আবার ধারণ করবে।
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁউপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) আসিফ ইমাম, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজিব প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র ল ইসল ম ব এনপ র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।
তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।”
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ঢাকা/এএএম/রফিক