চট্টগ্রামে ডাকাত ধরতে গিয়ে থানা থেকে লুট হওয়া ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া ঢেবারপাড় এলাকার বাসা থেকে গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করার গুলির মধ্যে রয়েছে ১৬ রাউন্ড চায়নিজ রাইফেলের গুলি, একটি রাবার বুলেট ও চারটি ধারালো অস্ত্র।

ডবলমুরিং থানার ওসি রফিক আহমেদ  বলেন, ‘ঢেবার পাড় এলাকায় শাহজালাল নামে এক ডাকাতকে ধরতে অভিযানে গিয়েছিলাম। তাকে পাওয়া না গেলেও তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে গুলি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা বুলেটগুলো পুলিশের। গত ৫ অগাস্ট বিভিন্ন থানায় হামলা ও লুটপাটের সময় সেগুলো লুট হয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশাচালকদের সমাবেশ থেকে বাসদ নেতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও ছাত্র ফ্রন্টের নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নগরের দেওয়ানহাট মোড় এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে ডবলমুরিং থানা-পুলিশ। তবে হালিশহর থানায় আগে হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জানা গেছে, আজ সকালে দেওয়ানহাট মোড় এলাকায় ‘রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ ছিল। সেখান থেকে বাসদ নেতাসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, অনুমতি ছাড়াই সমাবেশটি করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ সড়ক অবরোধে বাধা দিলে পুলিশে ওপর চড়াও হন কয়েকজন। তাঁদের মধ্য থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

তবে আয়োজকেরা জানিয়েছেন, সমাবেশের জন্য ব্যানার নিয়ে দাঁড়াতেই পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয় এবং মাইক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের জেলা আহ্বায়ক ও বাসদ (খালেকুজ্জামান) চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী, ছাত্র ফ্রন্টের নেতা মিনহাজ উদ্দিন এবং ইজিবাইকের চালক মো. রোকনকে নিয়ে যায় পুলিশ।

ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ ৭ দফা দাবিতে এই আন্দোলন আমরা করে আসছি। আমরা ইজিবাইকের নীতিমালার জন্য কাজ করছি, কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করিনি। কর্মসূচি শুরুর আগেই পুলিশ এভাবে হামলা করে গ্রেপ্তার করতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ বলেন, ‘সমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না। সমাবেশের লোকজন এসে দেওয়ানহাট মোড়ে গাড়ি ও রাস্তাঘাট বন্ধ করছিলেন। আমরা তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছি। হালিশহর থানার একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে অটোরিকশা চালকদের সমাবেশ পণ্ড, গ্রেপ্তার তিন
  • রিকশাচালকদের সমাবেশ থেকে বাসদ নেতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার