2025-05-01@19:11:08 GMT
إجمالي نتائج البحث: 18
«একধরন র»:
১. অপমানজনক ও কটু ভাষার ব্যবহারকাউকে অপমান করা অথবা কটু কথা বলা একধরনের মানসিক নির্যাতন। সঙ্গী প্রায়ই আপনাকে অপমান করলে কিংবা রেগে গিয়ে গালাগাল করলে সহ্য করা উচিত নয়। ২. শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শারীরিক অথবা মানসিক নির্যাতন দুটিই অপরাধ। শারীরিক আঘাত যেমন একধরনের সহিংসতা, ঠিক তেমনি মানসিক চাপে ফেলে রাখা বা সব সময় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করাও সহিংসতা। গায়ে হাত তোলা কিংবা কিছু নিয়ে ভয় দেখানো সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তোলে। ৩. অতিরিক্ত সন্দেহ ও ঈর্ষা আপনি কখন কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে যাচ্ছেন, এমনকি কার সঙ্গে কী কথা বলছেন, সব আপনার সঙ্গীর জানার প্রয়োজন নেই। যখন আপনার সঙ্গী নিয়মিত আপনার ফোন চেক করেন বা সব সময় জানতে চান, আপনি কোথায়, কার সঙ্গে—তখন তিনি আপনার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন। অতিরিক্ত ঈর্ষা...
বৈষম্য বিলোপের স্লোগান তুলে হাজার হাজার মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছেন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন থেকে। কিন্তু সেই স্বপ্ন ক্রমেই অধরা হয়ে উঠছে। গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে এখন একধরনের ব্যবসা শুরু হয়েছে, অসংখ্য নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এটি গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে এ কথা বলেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা সামসি আরা জামান। তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে রাগীব নাঈম ও রাকিবুল রনির নেতৃত্বাধীন ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।উদ্বোধনী বক্তব্যে সামসি আরা জামান জুলাই অভ্যুত্থানে তাঁর সন্তানসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার টালবাহানা করলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে স্বজনহারা মানুষ আবারও রাজপথে নামবেন। বৈষম্য বিলোপের স্লোগান তুলে হাজার হাজার মানুষ নিজেদের...
ছাপ, জলছাপ আর রঙিন কালির জটিল নকশার পুরোনো দলিলে হস্তাক্ষরে সাজানো আছে মানুষের বিবাদের ধারাভাষ্য। এককথায় মামলা-মোকদ্দমার নথিপত্র, যা এখন ‘অ্যান্টিক’ বা পুরোনো নিদর্শন। কাগজের বিবর্ণতা ও অক্ষরের টেক্সচার অনেক ক্ষেত্রে পাঠযোগ্যতাকে হ্রাস করেছে। এই দলিলের জমিনে আরহাম উল হক চৌধুরীর প্রবাদ-প্রবচনের শারীরিক অবয়ব চিত্রায়ণ করেছেন বাংলা অক্ষরমালার আকৃতিগত সৌন্দর্য বিন্যাসে।বলা যায়, এ যেন ইতিহাস, শিল্প ও ভাষার নন্দনতাত্ত্বিক সম্মিলন, যেখানে লেখার সৌন্দর্য ছাপিয়ে সময়, স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের বয়ানও তৈরি হয়েছে।ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ব্রিটিশ রাজ কিংবা পাকিস্তান আমলের নকশাখচিত দৃশ্যরূপ ও বিভিন্ন মামলার হস্তলিপি শিল্পীর নির্মিত বচন-অবয়বকে করেছে দৃষ্টিনন্দন। প্রবচন ও বচনের সাদৃশ্য–অবয়বে লোকজ ভাষার গভীরতা ও তাত্ত্বিক ভার সম্পূর্ণটা স্পষ্ট হয়েছে, তা বলা যায় না। কারণ, প্রবচনগুলোর ব্যাখ্যা বহুমাত্রিক। তবে ভাব ও ব্যঞ্জনা পুরোটা না উঠলেও ক্যালিগ্রাফির বিন্যাসে...
মাটি খুঁড়ে তৈরি করা হয়েছে লম্বা একটি গর্ত। সেই গর্তে ফেলা হয়েছে কয়েক মণ কাঠ; জ্বালানো হয়েছে আগুন। আগুনে পুড়ে কাঠ পরিণত হয়েছে এক জ্বলন্ত অগ্নিপথে। খালি পায়ে, নির্ভয়ে সেই পথ পেরিয়ে যাচ্ছেন একে একে সন্ন্যাসীরা।ঢাকঢোল আর শঙ্খধ্বনির তালে তাল মিলিয়ে, ভক্তিময় পরিবেশে কয়েক মিনিট ধরে চলল সেই অগ্নিপদযাত্রা। দর্শকের চোখে বিস্ময়, ভক্তদের মুখে মুখে প্রার্থনা। গতকাল রোববার রাতে এ দৃশ্যের দেখা মেলে নড়াইল সদর উপজেলার কোড়গ্রাম বারোয়ারি মন্দির প্রাঙ্গণে।সনাতন ধর্মের মানুষের কাছে এটি ‘আগুন–সন্ন্যাস’ পূজা নামে পরিচিত। তাঁরা বলেন, মহাদেব শিবকে তুষ্ট করতে প্রতিবছর বাংলা বছরের শেষ সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন পূজার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘আগুন–সন্ন্যাস’। চৈত্রসংক্রান্তির রাতে এই বিশেষ আচার পালিত হয়। সেখানে কাঠ পুড়িয়ে জ্বলন্ত পথ তৈরি করে তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মধ্য দিয়ে...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক–যুদ্ধ বাজারে রীতিমতো ভীতি সৃষ্টি করেছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় মন্দার আশঙ্কা বেড়েছে। কিন্তু এসব কারণে যে ট্রাম্প ৯ এপ্রিল একদম উল্টো পথে হাঁটা শুরু করেছেন, তা নয়। যে ২ এপ্রিল তিনি স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করলেন, সেই স্বাধীনতার ফল ভোগের বিষয়টি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন ভিন্ন এক কারণে।বিষয়টি হলো, ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে পতনের পাশাপাশি মার্কিন সরকারি বন্ড বিক্রির হারও প্রথাবিরুদ্ধভাবে বেড়ে গেল, তার জেরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই বন্ড প্রকৃতপক্ষে কী জিনিস, বন্ডের বেচাকেনাও বা কীভাবে হয়, এই সংকটের কেন্দ্রীয় জায়গায় বন্ডই–বা কেন উঠে এল?বন্ড কীবন্ড একধরনের প্রত্যয়নপত্র বা সার্টিফিকেট। কারও হাতে এই প্রত্যয়নপত্র থাকার অর্থ হলো, তিনি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ঋণের অর্থ তিনি ফেরত...
এক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। তাঁর চাপিয়ে দেওয়া শুল্কনীতি বিশ্ববাজারে তোলপাড় সৃষ্টি করলেও তিনি ছিলেন নির্বিকার। শেয়ারবাজার রক্তাক্ত হলেও বলেছেন, সমস্যা হলে ওষুধ দিতে হয়। সেই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ওষুধ কাজ শুরু করেছে।শুল্ক নিয়ে সমঝোতা করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্টরা ফোন করেছেন। সেটিও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তিনি। বলা বাহুল্য, তিনি সেটাই চাচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে বাজারের অমোঘ বাস্তবতার কারণেও তিনি আপাতত ৯০ দিনের জন্য শুল্ক বাস্তবায়ন স্থগিত করলেন বলে নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে। এ ঘোষণার পর অবশ্য বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে।বিশেষ করে সরকারি বন্ডের সুদের হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক ব্যবস্থায় অস্থিরতা শুরু হয়। অনিশ্চয়তার মধ্যে সাধারণত বন্ডের সুদহার বেড়ে যায়। মার্কিন বন্ডের সুদহার গতকাল ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উঠে যায়।...
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য যাওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করেছে ভারত। গত ৮ এপ্রিল এই সুবিধা বাতিলের পর থেকে দুই দেশে বেশ আলোচনা–সমালোচনা চলছে। ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট, করিডর—এসব সুবিধা বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য সম্প্রসারণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর সুফল পাওয়ার বড় উদাহরণ হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। এবার দেখা যাক ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট, করিডর—এসব সুবিধা কী ও কেন দেওয়া হয়। আর এসব সুবিধায় দেশগুলোর ওপর কী প্রভাব পড়ে।ট্রানজিটট্রানজিট হলো একটি দেশ নিজেদের পণ্য ও যাত্রী অপর কোনো দেশের ভুখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে বা নিজের দেশের অপর একটি ভূখণ্ডে পরিবহন করার সুবিধা। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো যেতে পারে। ধরা যাক, ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিল বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ভারতের কলকাতা থেকে পণ্যবাহী একটি ট্রাক বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ড...
শেষমেশ তিন মাসের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেভাবে চীন মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক এবং তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যে শুল্কের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিল, তাতে পৃথিবী নতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। এর জেরে শেয়ারবাজারে ধস নামে, ডলারের বিনিময় হার কমে যায়, তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। সামগ্রিকভাবে বাজার অর্থনীতিতে রীতিমতো কাঁপন শুরু হয়ে যায়।ট্রাম্প তিন মাসের জন্য অতিরিক্ত বা পাল্টা শুল্ক স্থগিত করায় যেটা ঘটল তা হলো, বিশ্ববাজারে একধরনের স্বস্তি এল। এজ এশিয়ার শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপের বাজারও ঘুরে দাঁড়াবে— তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে শুরু করে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ঘটনায় একধরনের স্বস্তি এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিষয়টি স্বাগত জানিয়েছে। অর্থৎ সবাই আপাতত নির্ভার হয়েছে। কিন্তু এখনই উদ্যাপন...
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস একধরনের দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, অর্থাৎ মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের ভেতর স্নায়ুরজ্জুকে আক্রমণ করে। এতে ইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে স্নায়ুতন্তুগুলোর প্রতিরক্ষামূলক আবরণকে আক্রমণ করে থাকে। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস তাই একধরনের অটোইমিউন ডিজিজ।এ রোগে আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বল, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, পেশিতে অসহ্য ব্যথা, মাথাব্যথা-মাইগ্রেন, খাদ্যনালি-মূত্রনালিতে সংক্রমণ, সঙ্গে হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। কোনো কিছু চিন্তা করার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা, অবসাদ, বিষণ্নতা, একাকিত্বে ভোগেন রোগী। নারীদের মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি পুরুষের থেকে কয়েক গুণ। ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এ স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। পরিবেশ, জিন ও বংশগত কারণে এটি হতে পারে।আরও পড়ুনমস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে এই ব্যায়ামগুলো করতে পারেন২৫ অক্টোবর ২০২২উপসর্গমাল্টিপল স্ক্লেরোসিসে পেশির ওপর চাপ পড়ে। দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেশির দুর্বলতা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। পেশিতে ব্যথা হয়। হাত-পা নাড়ানো যায় না।...
রেকর্ড লভ্যাংশ ঘোষণার পরও গত সপ্তাহে বহুজাতিক কোম্পানি লিনডে বাংলাদেশের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি এ সপ্তাহেই নতুন করে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ৪০ টাকা বা ৪০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৪১০ টাকা বা ৪ হাজার ১০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি।সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের জন্য লিনডে বাংলাদেশ শেয়ারধারীদের জন্য শেয়ারপ্রতি ৪৫০ টাকা বা ৪ হাজার ৫০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা এরই মধ্যে বিতরণও করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, এক দশকের মধ্যে গত বছরই কোম্পানিটি সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিয়েছে। তারপরও গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দরপতন ঘটেছে।ঢাকার বাজারে গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১০২ টাকা বা প্রায় ১০ শতাংশ কমে হয়েছে ৯৪০ টাকা। এর ফলে সপ্তাহ শেষে ঢাকার শেয়ারবাজারে দরপতনের...
বাঘাইর চরটি উত্তাল যমুনা নদীর মাঝ বরাবর। শুষ্ক মৌসুমে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। বর্ষায় সময় কম লাগলেও প্রমত্তা নদীর স্রোত ভেঙে মানুষ একান্ত অনন্যোপায় না হলে নদীতীরে আসে না। এই চরের উৎপত্তি কবে, কত বছর আগে থেকে মানুষ বসবাস শুরু করেছে, তা বৃদ্ধরাও বলতে পারে না। চরের মাঝ বরাবর মানববসতি। ফি-বছর বন্যার পানি যখন নেমে যায়, রেখে যায় নষ্টবিনষ্ট ধানক্ষেত, ভেঙে পড়া বাড়িঘর– সেই সাথে মানুষের স্বপ্ন। তবু মানুষ এখানে আছে। যাওয়ার জায়গা নেই। নদী পয়স্তি এই চর খাসজমি– নদী শিকস্তি পরিবারগুলো মামলা-মোকদ্দমা চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর– সমাধান নেই। কালাম এসব নিয়ে ভাবে– নাহ, এসব চিন্তা করে লাভ নেই, বরং বাড়িঘর মেরামত, জমিতে ফের আবাদ– এই তাদের নিয়তি। সে এটুকু জেনেছে, তার জীবন মানে, বেঁচে থাকার...
কয়েক মাস ধরে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের আচরণ একধরনের নিশ্চুপ ও নমনীয়। সরকারের এমন ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আমরাই পারি জোট। পাশাপাশি জোটটি এসব সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।আজ রোববার আমরাই পারি জোট এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিবৃতিতে জোটের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ৩২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।বিবৃতিতে বিভিন্ন পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্যক্তিপর্যায়ের প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সারা দেশে ঘরে-বাইরে ধর্ষণ, হত্যা, হয়রানি, সাইবার বুলিংসহ নারী ও কন্যাশিশুর ওপর নানা ধরনের নির্যাতন বেড়েই চলছে। এমনকি নারী ও শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক যে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেলেও সরকারের দিক থেকে একধরনের...
বিশ্বব্যাপী সব মুসলমান একই নিয়মে রোজা রাখেন, সাহ্রি ও ইফতার করেন। কিন্তু পবিত্র রমজানকেন্দ্রিক আচার-অনুষ্ঠান পালনে মুসলমানদের মধ্যে কিছু ভিন্নতা দেখা যায়। এর কারণ, দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য। ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানরা যে আচার পালন করেন, মরক্কোর মুসলমানরা তা করেন না। এভাবে রমজান যেন হয়ে ওঠে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি চর্চার মাস।তুরস্কে এখনো তোপধ্বনি দিয়ে ইফতারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এটা মধ্যপ্রাচ্য ও সংলগ্ন দেশগুলোর অনেক পুরোনো রীতি। এই আধুনিক সময়ে এসেও ঐতিহ্য থেকে সরে যায়নি প্রাচীন সভ্যতার দেশটি। পয়লা রমজানে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদের সামনে ইফতারের আগে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো নারী-পুরুষ। সরকারিভাবে বিতরণ করা হচ্ছিল ইফতারির প্যাকেট। তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হলো, ইফতারের সময় হয়েছে। পরিবারগুলো ঘাসের ওপর মাদুর বিছিয়ে আনন্দ ও সন্তুষ্টির সঙ্গে ইফতার শুরু করল।ওই দিন আয়া সোফিয়া মসজিদের...
ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মুসলমান। দেশটিতে উৎসবের মধ্য দিয়ে পবিত্র রোজাকে বরণ করা হয়। মসজিদের পাশে কোনো খোলা জায়গায় বিশাল ড্রাম বাজিয়ে পরস্পরকে অভিনন্দন জানায় সবাই।ইন্দোনেশিয়ায় জাভার সেমারাং শহরের বাসিন্দারা দুগদেরান নামে একটি উৎসব পালন করে থাকেন। পবিত্র রমজান মাস শুরুর সংকেত হিসেবে প্রতিবছর মসজিদগুলোয় ঢাক পেটানো হয়। ‘দুগ’ শব্দটি এসেছে মসজিদের ওই ঢাকের শব্দ থেকে। এ ছাড়া কামান থেকে গোলাও ছোড়া হয়। সাধারণত রোজা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে থেকে সেমারাংয়ের বাসিন্দারা উৎসবটি পালন করে থাকেন। উৎসবে বাসিন্দারা রংবেরঙের পোশাক পরেন, শোভাযাত্রায় অংশ নেন।পশু জবাই করার মধ্য দিয়ে পালিত হয় মিউগান উৎসব। মিউগান উৎসবের আরেকটি নাম ‘মাকমিউগানা’। এ উৎসব পালন করা হয় রোজা শুরুর দিনদুয়েক আগে।ইন্দোনেশিয়ার সুদানিসি জাতিগোষ্ঠী মুংগাহান নামে উৎসব পালন করে। মুংগাহান শব্দটির পেছনে আছে ‘উনগাহ’ শব্দটি।...
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হে ফিভারে আক্রান্ত হন অনেকে। বিশেষ করে বসন্তে যখন ফুল ফোটে, তখন এর প্রাদুর্ভাব বাড়ে। যাঁদের অ্যালার্জির মাত্রা বেশি, তাঁদের হে ফিভারে ভোগান্তিও বেশি। তবে এ বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হে ফিভার প্রতিরোধ করা সম্ভব।হে ফিভার কীহে ফিভার শুনলে মনে হয় এটি একধরনের জ্বর। এটি ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’–এর আরেক নাম। হে ফিভারে মূলত ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন— ১.নাক দিয়ে পানি পড়া২. নাক বন্ধ৩. হাঁচি-কাশি৪. নাক ও গলা চুলকানো৫. শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া বা লাল হওয়া৬. ক্লান্তি ও অবসাদ৭. নাকের শ্লেষ্মা গলায় চলে আসাহে ফিভার কেন হয়আগেই বলেছি, এটি একধরনের অ্যালার্জিক সমস্যা। যাঁদের অ্যালার্জির মাত্রা বেশি, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি বেশি দেখা যায়। পরিবেশ...
বাংলাদেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবগত। অনেক আলোচনা হয়েছে। এমনকি তা নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একধরনের ঐকমত্যও আছে। কিন্তু শেষমেশ কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় না। দেশে নীতিপ্রণেতা, পরামর্শক ও বাস্তবায়নকারীদের মধ্যে একধরনের দূরত্ব আছে। এমনকি বিদ্যায়তনের মানুষের কথা রাজনীতিবিদেরা মেনে নিলেও কিছু হয় না। তাতে শেষমেশ দেখা যায়, আমলাতন্ত্রের দোরগোড়ায় গিয়ে সব সংস্কার আটকে যায়। অর্থনীবিদ সেলিম জাহানের দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। বাঙলার পাঠশালা আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বই দুটির মধ্যে জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ এবং মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ: কনটেমপোরারি ডেভেলপমেন্ট ইস্যুস’। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ট্রাস্টি বোর্ডের...
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অপরাধজগতে ‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ আলোচিত বিষয়। এটি একধরনের ড্রাগ, যার নাম ‘স্কোপোলামিন’। এই ‘শয়তানের নিশ্বাস’ দিয়ে মানুষকে হিপনোটাইজ বা বশ করা হয়। আর একবার বশ করতে পারলে অপরাধীরা হাতিয়ে নেয় ব্যক্তির মূল্যবান জিনিসপত্র।স্কোপোলামিন একধরনের সিনথেটিক ড্রাগ। এর মূল উপাদান আসে ধুতরা ফুল থেকে। ধুতরা ফুলের সঙ্গে আরও কিছু উপাদান যোগ করে তৈরি করা হয় স্কোপোলামিন। এটি তরল ও পাউডার—দুই রকমেরই হয়।চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্কোপোলামিনের অনেক ব্যবহার আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ‘ট্রুথ সেরাম’ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। প্রয়োগ করা হতো ইনজেকশনের মাধ্যমে। যার শরীরে প্রয়োগ করা হতো, তার মস্তিষ্কের যে নিয়ন্ত্রণক্ষমতা, সেটি চলে যেত। ফলে অন্যের কথামতো গোপন তথ্য দিয়ে দিত। শ্বাসের মাধ্যমে পাউডার নিলে শরীরে এর প্রভাব পড়ে তুলনামূলক দ্রুত। অপরাধীরা এ ক্ষেত্রে নিজেরা মাস্ক পরে...
এক দশকের অনির্বাচিত সরকার ও স্বৈরশাসন ছিল বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য বিস্তারের প্রধান অবলম্বন। এ দেশে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে প্রতিবেশী দেশটি নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ট্রানজিট, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসম চুক্তির মাধ্যমে তারা এই আধিপত্য সৃষ্টি করেছে। তাদের সেই আধিপত্য রুখতে সব কটি চুক্তি সরকারকে প্রকাশ করতে হবে ও দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে।আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশে ভারত রাষ্ট্রের আধিপত্য: স্বরূপ ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। আনু মুহাম্মদ সম্পাদিত ত্রৈমাসিক প্রকাশনা সর্বজনকথা ওই সেমিনারের আয়োজন করে।সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ভারত প্রসঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সুনির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য, অভিযোগ ও সমস্যা আছে। এটা সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় নয়। এটি আধিপত্যের সমস্যা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে আনু...