2025-09-18@03:29:36 GMT
إجمالي نتائج البحث: 243
«ব স তবত»:
সময়টা এখন পুরোপুরি ডিজিটাল। হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন, ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট—এই বাস্তবতা ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। দূরের মানুষকে কাছে টেনে আনা, কাজের গতি বাড়ানো, জ্ঞান আহরণের সহজ পথ তৈরি করা—এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে। তবে এই একই জীবন আমাদের সম্পর্কের ভেতর অদ্ভুত এক ফাঁকও তৈরি করছে। প্রশ্ন উঠছে—আমরা কি আসলেই কাছের মানুষকে কাছে পাচ্ছি, নাকি কেবল পর্দার ভেতরে হারিয়ে ফেলছি?সংযোগের নতুন দিকডিজিটাল জীবনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সহজ সংযোগ। প্রবাসে থাকা সন্তান প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনলাইনে হার্ভার্ডের লেকচার শুনছে, কিংবা চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা ফেসবুক পেজ থেকে পুরো ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলছে—এসব চিত্র এখন আমাদের কাছে সাধারণ।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, ২০২৫ সালের শুরুতে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩...
রাজনৈতিক পদক্ষেপের তাৎক্ষণিক প্রভাবের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবটাই বেশি। খুব কমসংখ্যক দল কিংবা রাজনীতিবিদ এ বাস্তবতাকে মাথায় নিয়ে তাঁদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলে যাঁরা থাকেন, তাঁরা কখনোই দূরবর্তী ভবিষ্যতের কথা ভাবেন না। নগদ পাওনার কারবার করতে গিয়ে তাঁরা নিজের ও দলের পতন ডেকে আনেন, সমর্থক গোষ্ঠীকেও সংকটের মধ্যে ফেলে দেন। অতীত থেকে যে কেউ শিক্ষা নেন না—এ আপ্তবাক্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যতিক্রমহীনভাবে সত্য।সাম্প্রতিক ইতিহাস প্রমাণ দেয়, বাংলাদেশ গণ–অভ্যুত্থানের দেশ। প্রতিটি অভ্যুত্থানই এখানে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস মিইয়ে যেতেও খুব বেশি দেরি হয় না। দেখা যায়, জনগণের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভূতের মতো গেড়ে বসা প্রবল কোনো প্রতিপক্ষকে সরাতে পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে অনন্য ঐক্য তৈরি হয়। কিন্তু যে মুহূর্তে সেই প্রবল...
দেশের একসময়কার ফুটবল–উন্মাদনা হারিয়ে গেলেও এ খেলায় নতুন এক জোয়ার এনেছেন নারী ফুটবলাররা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক সাফল্যের কাব্য লিখে চলেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রেখে তারা এখন এশিয়ার ফুটবল অঙ্গনে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এই সোনালি সাফল্যের আড়ালেই লুকিয়ে আছে এক চরম হতাশার গল্প। সাফল্যের বিপরীতে নারী ফুটবলারদের পরিচর্যার ঘাটতি বারবার সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। দেশের হয়ে সম্মান বয়ে আনা নারী ফুটবলারদের সামান্য পাওনাটুকুও মাসের পর মাস আটকে থাকছে। ম্যাচ ফি থেকে শুরু করে বেতন, পুরস্কারের টাকা—সবকিছুই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর দায়িত্বহীনতার বেড়াজালে আটকা পড়ে আছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যগুলো সত্যিই পীড়াদায়ক। একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আসা নারী ফুটবলাররা এখনো তাঁদের প্রাপ্য ম্যাচ ফি পাননি। যেখানে এক মিনিটের জন্য মাঠে...
ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই ভারতের মিত্র। ইরান থেকে তেল কেনে ভারত, ইসরায়েল থেকে নেয় প্রযুক্তি। কিন্তু ইরান ও ইসরায়েল যখন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে, তখন কার পক্ষ নেবে ভারত? নাকি ‘নীরবতা’ বেছে নেবে? আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই জটিল আর ধূসর দুনিয়ায় আলো ফেলেছে অরুণ গোপালনের থ্রিলার সিনেমা ‘তেহরান’। জন আব্রাহাম অভিনীত থ্রিলারটি দর্শককে নিয়ে যায় এমন এক দুনিয়ায়, যেখানে নৈতিকতা ও বাস্তবতার মধ্যে সূক্ষ্ম সীমারেখা আঁকা হয়েছে। বাস্তব ঘটনার ছায়া ধরে তৈরি এই সিনেমা শুধু অ্যাকশন নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও মানবিক গল্পের উপাখ্যান।একনজরে সিনেমা: ‘তেহরান’ ধরন: স্পাই-থ্রিলার পরিচালনা: অরুণ গোপালন অভিনয়ে: জন আব্রাহাম, নীরু বাজওয়া, মানুষি ছিল্লার স্ট্রিমিং: জি-ফাইভ দৈর্ঘ্য: ১১৫ মিনিট ‘তেহরান’ সিনেমার গল্পের মূল উৎস ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে ঘটে যাওয়া একটি হামলা, যেখানে ইসরায়েলি কূটনীতিকের গাড়িতে বোমা...
‘কাজলরেখা’, সেই যে ময়মনসিংহ গীতিকার কাহিনি। রাজার শরীর থেকে প্রতিদিন একটি করে সুচ তুলে আনছিল সেই তরুণী। অবশেষে যেদিন রাজার চোখ থেকে সুচ তুলে নেওয়ার কথা, সেদিনই ঘটল বিপত্তি। কৌশলে দাসী এসে দখল করল কাজলরেখার স্থান।সংগ্রামী কাজলরেখাকে নিয়েই এবার শিল্পকর্ম করলেন দেশের নারী চিত্রশিল্পীরা। ‘কাজলরেখার দেশে’ নামে তাঁদের যৌথ শিল্পকলা প্রদর্শনী শুরু হলো গতকাল শনিবার ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কের সফিউদ্দীন শিল্পালয়ে।এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন গ্যালারিতে চলছে শিল্পকলার বিভিন্ন মাধ্যমের প্রদর্শনী। এতে আছে ভাস্কর্য ও আলোকচিত্র। শিল্পকলার এসব আয়োজনের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে ঋতুপ্রকৃতি, সামাজিক বাস্তবতা, মানুষের জীবনসংগ্রাম এবং শিল্পীর শিল্পবোধ ও উপলব্ধির নান্দনিক প্রকাশ।‘কাজলরেখার দেশে’প্রদর্শনী আয়োজন করেছে নারী শিল্পীদের সংগঠন ‘কন্যা’। এটি কন্যার দশম একক প্রদর্শনী। গতকাল সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী অধ্যাপক আবুল বার্ক্ আলভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা...
বর্তমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে গেছে। বিশ্ববাণিজ্যে প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। তারা কেবল শুল্কহার বা বাণিজ্যচুক্তির মাধ্যমেই নয়, বরং ভূরাজনৈতিক কৌশল ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমেও বৈশ্বিক অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণ করছে।তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রভাব সব সময় অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন নয়; এর পেছনে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার, কৌশলগত জোট এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জটিল সমীকরণও কাজ করে।ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি সব সময় বাণিজ্যঘাটতির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না; বরং রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দ ও কূটনৈতিক অগ্রাধিকারই প্রভাব ফেলে বেশি।এ বাস্তবতায় বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির জন্য নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি, ভারতের সঙ্গে তুলনামূলক অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের কৌশল—সবকিছু নিয়ে সমসাময়িক বিশ্লেষণ জরুরি হয়ে পড়েছে।আরও পড়ুনট্রাম্পের শুল্ক আরোপ,...
তখনো ডিজিটাল জমানা আসেনি। গ্রামগঞ্জে ভিসিআর চালিয়ে চলচ্চিত্র দেখানোর চল; টিকিট পাঁচ টাকা। নব্বইয়ের দশকে স্কুল পালিয়ে সিরাজগঞ্জের জামতৈল বাজারে ‘নুন শো’তে দেখা ‘শোলে’ কিশোর মনে যতটা আঁচড় কেটেছিল, আজ এত বছর পরেও তা খুব একটা ফিকে হয়নি। ৫০ বছর। কোনো চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা পরিমাপে সময়ের এই হিসাবের চেয়ে জুতসই মাপকাঠি আর কীই–বা হতে পারে! এখনো দর্শককে যেভাবে আবিষ্ট করে রেখেছে ‘শোলে’—আবেগে, মুগ্ধতায় তার তুলনা কেউ কেউ ক্ল্যাসিক সাহিত্য বা শিল্পের সঙ্গে টানতে পারেন। এককথায় একে বলিউডের ‘আলটিমেট ফিল্ম’ বললে এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। ‘শোলে’ শুধু চলচ্চিত্রই নয়, এটি ভারতীয় সিনেমার মিথ। রমেশ সিপ্পি পরিচালিত চলচ্চিত্রটিকে শুরুতে সাধারণ অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার বলেই মনে করা হয়েছিল। তবে কালের চাকায় সমানতালে দৌড়ে এসে এটি এখন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী এক নির্মাণ। এর সঙ্গে জুড়ে...
প্যারিস সেন্ত জার্মেইর (পিএসজি) বহুদিনের স্বপ্ন ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা। নেইমার, মেসি, এমবাপ্পে— তারকা সমাবেশে সাজানো দলও যেখানে ব্যর্থ হয়েছিল, সেখানে গত মৌসুমে সেই ইতিহাস গড়েছিল প্যারিসের ক্লাবটি। ট্রেবল জয়ের এই অভিযানে গোলবারের নিচে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে, সেই সাফল্যের মাত্র এক মৌসুম পরই সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছে দুই পক্ষ। আজ বুধবার (১৩) আগস্ট উয়েফা সুপার কাপে টটেনহ্যামের বিপক্ষে স্কোয়াডে নাম না থাকার পর ২৬ বছর বয়সী এই তারকা নিজেই বিদায়ের ইঙ্গিত দেন। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া আবেগঘন বার্তায় তিনি জানান, প্রথম দিন থেকেই পিএসজির জার্সিতে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। কিন্তু ক্লাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর তিনি দলের অংশ হবেন না। এমন বাস্তবতা তাকে হতাশ করেছে। ২০২১ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন দোন্নারুম্মা।...
দেশের বহু জাতি ও সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে বহু জাতি আছে, বহু সংস্কৃতি আছে, তাদের অনেক আবেদন-নিবেদন আছে কিন্তু সেগুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সরকার সব পক্ষকে নিয়ে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতার কথা বলছে, সেটা আমরা এক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি না।’’ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত যুব দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে আঞ্চলিক পরিষদের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্তু লারমা বলেন, ‘‘এই দেশে বাংলা জাতিসহ ৫২টি জাতি বসবাস করে। এতে বুঝা যায়, বাংলাদেশ একটা বহু ভাষাভাষী ও বহু সংস্কৃতির দেশ।...
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা সামনের মুখ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের প্রান্তিক করে তোলার একটি চেষ্টা প্রবলভাবে দৃশ্যমান। নারীর অধিকার রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাও এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। সংসদে নারী আসন ও নারীর মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা শুধু দুঃখজনকই নয়, সমাজের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বিকাশের পথেও বড় একটি ধাক্কা। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলগুলো নারীদের জন্য আগের মতোই ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য।বাংলাদেশের জন্মের ৫৩ বছর পার হয়ে গেলেও রাজনীতিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব একেবারে তলানিতে রয়ে গেছে, আর সেই প্রতিনিধিত্বটাও আবার মোটাদাগে আলংকারিক। মুখে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বললেও আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে চিন্তার দিক থেকে চরম রক্ষণশীল ও পুরুষতান্ত্রিক—এই বাস্তবতা তারই প্রতিফলন। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা...
জলবায়ু সংকট নিয়ে নানামুখী গবেষণা হলেও সেটার ফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছায় না। গবেষণা শেষ হলেও অভীষ্ট গোষ্ঠীর জীবনে সেটি কী পরিবর্তন এনেছে, সেটার কোনো মূল্যায়ন হয় না। বাস্তবতা হলো, গবেষণার পর এসব বিষয়ে কোনো খবর রাখা হয় না। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের সভাকক্ষে এক প্রারম্ভিক কর্মশালায় (ইনসেপশন ওয়ার্কশপ) এসব কথা বলেন বক্তারা।নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন ‘মেঘনা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের ফসলের বৃদ্ধি ও উৎপাদনের ওপর জলবায়ুর প্রভাব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ুসহিষ্ণু ফসল নির্বাচন’ প্রকল্পের বিষয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট (বিসিসিটি)।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) গাজী মো. ওয়ালি–উল–হক বলেন, অনেক...
বাংলাদেশের ভৌগোলিক বাস্তবতায় প্রাকৃতিক বন্যা অনিবার্য হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃত্রিম বন্যা এক ভয়াবহ নগর-দুর্যোগে রূপ নিয়েছে। অতিবৃষ্টি বা উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের মতো প্রাকৃতিক কারণের সঙ্গে এর সম্পর্ক সামান্য; বরং এর জন্ম মানুষের অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা থেকে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, প্রাকৃতিক জলাধার ও খাল ভরাট, ড্রেনেজব্যবস্থার অদক্ষতা এবং বাঁধ ও খালের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব—সব মিলিয়ে কৃত্রিম বন্যা যেন এক পূর্বনির্ধারিত বিপর্যয়।বক্তব্য বনাম বাস্তবতা আস্থার সংকট: প্রতিবছর বর্ষার আগে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে শোনা যায় দৃষ্টিনন্দন প্রতিশ্রুতি— ‘ড্রেনেজ উন্নয়ন চলছে’, ‘খাল উদ্ধার অভিযান হবে’, ‘বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে’। কিন্তু বর্ষা শেষে দেখা যায়, প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি নগণ্য। ঢাকার জলাবদ্ধ এলাকা আগের মতোই পানিতে ডুবে থাকে; একই অবস্থা চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও বরিশালের মতো শহরগুলোতেও। যদিও এ বছর চট্টগ্রাম শহরে...
চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর নতুন একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটি নতুন প্রজন্ম আবির্ভূত হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা একাত্তরকে অতিক্রম করেছি এবং চব্বিশে পৌঁছেছি। ‘একাত্তরের পক্ষে না বিপক্ষে’- এই বাইনারির (দুই ধারার) ওপর ভিত্তি করে তৈরি রাজনীতিকে গ্রহণ করতে কেউ আগ্রহী নয়। যারা এখনো এই পুরোনো রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা দেশকে একটি অচল রাজনৈতিক কাঠামোতে ফিরিয়ে নিতে চায়। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। ‘‘’৭১ এবং ’২৪’’ শিরোনামে ইংরেজি ভাষায় পোস্টটি লিখেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতা নাহিদ ইসলাম।পোস্টে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ লিখেছেন, ‘আমরা আগেও বলেছি—চব্বিশ হচ্ছে একাত্তরের ধারাবাহিকতা। একাত্তরের আকাঙ্ক্ষা সাম্য, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার—এগুলোই চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী এবং গণতান্ত্রিক গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুনরায়...
আগামীকাল শনিবার জাতীয় পার্টির যে সম্মেলন হবে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবহিত করে প্রতিনিধি পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জি এম কাদেরবিরোধী অংশের প্রধান নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কাউন্সিল আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করেছি এবং কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধি আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’ কাউন্সিল উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে আজ শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। কাউন্সিল করে আমরা গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত ধারা বাতিল করে দেব। কোনো একক নেতৃত্বে নয়, জাতীয় পার্টি চলবে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে।’গত ৩০ জুলাই জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে...
আদালতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগ নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বাদ দিয়ে দলের কাউন্সিল ডেকেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজধানী গুলশানের ইমানুয়েলন্স পার্টি সেন্টারে পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করবেন দলটির এক সময়ের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আদালতের আদেশ ও নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা মেনে দলের কাউন্সিল ডাকা হয়েছে দাবি করে ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “আগামীকাল সম্মেলন হবে, পল্লীবন্ধু এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল। যার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নাম্বার ১২। আমরা আদালতের আদেশ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কাউন্সিল আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করেছি এবং কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধি আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।” আরো পড়ুন: জিএম কাদেরের সাংগঠনিক...
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনায় বুধবার (৬ আগস্ট) ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে না পৌঁছানোয় ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। ভারত ছাড়াও রাশিয়ান তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা চীন। কিন্তু ট্রাম্প চীন বা রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রাখা অন্যান্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ ঘোষণা করেননি। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য কেবল ভারতের ওপর কেন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, এ বিষয়ে বুধবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “মাত্র ৮ ঘণ্টা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়। আপনি আরো অনেক কিছু দেখতে পাবেন...আপনি আরো অনেক সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা (রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ‘দ্বিগুণ’ শুল্ক আরোপ করার একদিন পর কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, কৃষক ও জেলেদের স্বার্থে ভারত কোনোভাবেই আপস করবে না। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। দিল্লিতে ‘এম এস স্বামীনাথন জন্মশতবার্ষিকী’ উপলক্ষে এক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, “আমাদের কাছে কৃষকদের স্বার্থই সবার আগে। ভারত কখনো কৃষক, মৎস্যজীবী বা খামারিদের স্বার্থে আপস করবে না। আমরা জানি, এর জন্য বড় মূল্য দিতে হতে পারে, তবুও আমরা তৈরি।” যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর ইতিমধ্যেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে। এরপর গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর আরো ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। আরো পড়ুন: ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের...
‘অনেক কিছু হতে পারত, অনেক কিছুই থাকতে পারত…’ কথাটা বলে নুরুল হাসান যেন দ্রুত সরে যেতে চাইলেন প্রসঙ্গ থেকে। বছর তিনেক আগেও টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুরোনো প্রজন্ম পেরিয়ে বাংলাদেশ খুঁজছিল নতুন কাউকে। ক্যারিয়ারে তখন রঙিন সময় নুরুলেরও। অথচ ছয় মাস পর ছিটকে যান টি–টোয়েন্টি দল থেকেই। এরপর এখন পর্যন্ত আর ফেরা হয়নি।এই বাস্তবতা নুরুল মেনে নিয়েছেন সহজ এক ভাবনায়, ‘উত্থান–পতন তো জীবনেরই অংশ।’ দুই বছর ধরে জাতীয় দলে তিনি নেই কোনো সংস্করণেই। তবে এই পরিস্থিতিতেও নিজেকে হারিয়ে যেতে দেননি একটা মন্ত্র মেনে। কাল প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে সে কথাই বলেছেন তিনি, ‘যেখানে যতটুকু খেলছি, সব সময় চাই নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে আর দলের জন্য অবদান রাখতে। হয়তো কখনো সফল হই, কখনো ব্যর্থ—কিন্তু সততা আর পরিশ্রম দিয়ে কতটুকু...
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধোলাইপার-জুরাইন এলাকায় অবস্থিত জমজ দুই সিনেমা হল ‘গীত’ ও ‘সংগীত’ আবারো বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ক্ষতি ও দর্শক সংকটে ভুগতে থাকা এই দুই হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সাময়িকভাবে হলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) আদর আজাদ-পূজা চেরি অভিনীত ‘টগর’ সিনেমা প্রদর্শনের পরই হল দুটি বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে। নতুন ও মানসম্পন্ন দেশি সিনেমার অভাব, পাশাপাশি দর্শক অনুপস্থিতিই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ বলে জানিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্য, “পরিস্থিতি উন্নত হলে, বিশেষ করে আগামী ঈদে যদি ভালো সিনেমা মুক্তি পায়, তাহলে আবারো চালু করা হতে পারে।” আরো পড়ুন: বাবা হলেন শ্যামল মাওলা সংসার ভাঙার কারণ জানালেন শোলাঙ্কি এই বন্ধের ঘোষণা নতুন নয়। এর আগেও, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে...
চলতি অর্থবছরে আমদানি করা প্রসাধনী ও টয়লেট্রিজের ওপর কাস্টমস শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে এবং তা কার্যকরের পথে। সরকারি নীতিনির্ধারকেরা হয়তো ভাবছেন এতে দেশীয় শিল্প সুরক্ষা পাবে।কিন্তু আন্তর্জাতিক গবেষণা ও বাজারপ্রবণতা বলছে, বাস্তবতা ভিন্ন। অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও প্রসাধনসামগ্রীর চাহিদা কমে না, বরং অনেক ক্ষেত্রে বাড়ে। এ ঘটনাকে অর্থনীতিবিদেরা ‘লিপস্টিক ইফেক্ট’ নামে অভিহিত করেছেন।লিপস্টিক ইফেক্ট একটি অর্থনৈতিক তত্ত্ব, যা ব্যাখ্যা করে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় মানুষ কেন কম দামি বিলাসবহুল পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ২০০১ সালে এস্তে লডারের চেয়ারম্যান লিওনার্ড লডার ধারণাটি প্রথম সামনে আনেন। তিনি লক্ষ করেন, মন্দার সময়েও লিপস্টিকের বিক্রি বেড়েছে। জেপি মরগান প্রাইভেট ব্যাংকের আচরণগত বিজ্ঞানের প্রধান জেফ ক্রিসলার বলেন, ‘মানুষ ১০ ডলারের ১০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করতে পারে, কিন্তু বাড়ির ক্ষেত্রে তা অসম্ভব।’২০০৮-১০ সালের বিশ্বমন্দার সময়...
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেছেন, ‘আমি চেষ্টা করেও আর নিজের চাহিদা দমন করতে পারছি না। একাকিত্ব, চারপাশের প্রলোভন আর নিজের ভেতরের দ্বন্দ্ব আমাকে ধীরে ধীরে কষ্ট দিচ্ছে।’শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘আমি অন্যায় কিছু করিনি, করতেও চাই না। তবে তাঁর প্রবল আকাঙ্ক্ষা আমার ওপর ভর করেছে। আমি জানি, পাপ সম্পর্কে রাসুল (সা.) কতটা কঠোর সাবধানবাণী দিয়েছেন। আমি জান্নাত পেতে চাই। কিন্তু এই চাপ আর নিতে পারছি না।’আর নিশ্চয়ই আমি মানুষকে কষ্টের মধ্যে সৃষ্টি করেছি।সুরা বালাদ, আয়াত: ৪তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি শব্দে একজন তরুণ মুসলিমের গভীর সংকট, আত্মসংযমের চেষ্টা ও একটি পরিচ্ছন্ন জীবনের আকাঙ্ক্ষা ধরা পড়ে। আমাদের সমাজে এই বাস্তবতা নতুন নয়, কিন্তু খুব কমই প্রকাশ্যে আলোচনা হয়।ইসলাম মানব প্রকৃতিকে অস্বীকার করে না। বরং এর মধ্যেই পবিত্রতা ও সৌন্দর্য খুঁজে নেয়। কোরআনে আল্লাহ...
সাত কলেজকে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সাম্প্রতিক যে আলোচনা চলছে, তা একদিকে যেমন উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত বিকেন্দ্রীকরণের ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে এটি সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য এক অজানা আশঙ্কাও তৈরি করছে। উচ্চশিক্ষাকে কতটা সহজলভ্য রাখা যাবে, এ প্রশ্ন এখন সময়ের দাবি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং সরকারি বাঙলা কলেজ। এসব কলেজ বর্তমানে হাজারো সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য স্বল্প খরচে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র ভরসা।আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫এই সাতটি কলেজ যদি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়, তবে আগের মতো ভর্তি সিটের বিশাল সুযোগ আর থাকবে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো সাধারণত...
বিশ্বরাজনীতিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি একটি বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ইস্যু। পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, বহু বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে, ইরান নাকি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আজ পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি, যা এ দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করে। অন্যদিকে ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।প্রশ্ন হলো, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাইত, তাহলে গত দুই দশকে তা তৈরি করেনি কেন? আর যদি তা না-ই চায়, তাহলে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে কেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে ইরানের ধর্মীয় অবস্থান, কৌশলগত চিন্তা, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির দ্বিচারিতা একত্রে বিশ্লেষণ করতে হবে।আরও পড়ুনইরান এবার...
বরগুনার বিষখালী নদীর পাড়ে বেড়ে উঠেছেন লাইলী বেগম। বাবার মৃত্যুর পর ভাইয়েরা অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান, তখন কন্যা হয়েও লাইলী সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। অভাব, ক্ষুধা আর সমাজের অবহেলা তার নিত্যসঙ্গী হয়। তারপরও থেমে যাননি লাইলী। জীবনের চাকা ঘুরাতে, মাছ ধরা থেকে বর্গাচাষ—সবই করেছেন লাইলী। গত ২১ বছর ধরে নদী ও সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বরগুনা জেলার সরকারিভাবে নিবন্ধিত একমাত্র নারী জেলে তিনি। এই লাইলীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘উত্তরের বৈঠা’। এটি নির্মাণ করেছেন আনোয়ার হোসেন। পরিচালক আনোয়ার হোসেন আরো পড়ুন: জসীমের কবরে রাতুলকে সমাহিত করে দুই ভাইয়ের আবেগঘন পোস্ট নীনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে কী বলেছিলেন ক্রিকেটার ভিভ? এ নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক আনোয়ার হোসেন। তরুণ এই...
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশির ঘরের ছবিতে দেখা গেছে, প্রবাসে কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থের হিসাব কিছু কাগজপত্র আকারে একটি দেয়ালের হ্যাঙ্গারে ঝোলানো রয়েছে। স্পষ্ট বুঝা যায় যে, সেগুলো ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরিত অর্থের রসিদ ছিল। পাশেই ঝোলানো রয়েছে পরিধানের জন্য কয়েকটি সাধারণ পোশাক। এই দৃশ্যটি একজন প্রবাসীর জীবনের এক কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। যেখানে দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও কষ্টের পর উপার্জিত অর্থ শেষে প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়ায়। কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। দিনের পর দিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে, উন্নত জীবনের আশায় তারা নিজেদের প্রিয়জন ও মাতৃভূমি ছেড়ে পাড়ি জমান প্রবাসে। এখানে এসে তারা দিনরাত পরিশ্রম করেন, অনেক সময় অমানবিক পরিবেশেও কাজ করতে বাধ্য হন। তাদের উপার্জিত প্রতিটি পয়সা আসে কঠোর সংগ্রাম এবং...
বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যাঁর নাম অবধারিতভাবে চলে আসে, তিনি বদরুদ্দীন উমর। একাধারে শিক্ষক, লেখক, চিন্তক ও রাজনৈতিক কর্মী—তিনি বামপন্থী ধারার এক ব্যতিক্রমী ও গভীরতম প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবন ও রাজনৈতিক চিন্তার অনুপম পাঠ হলো মহিউদ্দিন আহমদের লেখা বামপন্থার সুরতহাল: বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পরিক্রমা।প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ১৯২ পৃষ্ঠার এই বই এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে রচিত হলেও এটি নিছক কথোপকথন নয়। বরং এখানে মিলেছে আত্মজৈবনিক প্রসঙ্গ, রাজনৈতিক ইতিহাস, তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং বাংলাদেশের বাম রাজনীতির বহু অজানা অধ্যায়ের প্রাণবন্ত বিবরণ। বইটি যেমন ব্যক্তি বদরুদ্দীন উমরের ভাবনার ভেতর প্রবেশের দরজা খুলে দেয়, তেমনি পাঠককে নিয়ে যায় ইতিহাসের উত্থান-পতনের অভ্যন্তরেও।‘অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল’ হয়ে ওঠার পথেবদরুদ্দীন উমরের চিন্তাজগৎ বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো ‘অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল’, যার উৎপত্তি ইউরোপীয় মার্ক্সবাদী...
যেখানে বাংলাদেশের নারীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা, প্রযুক্তি, এমনকি প্রতিরক্ষা খাতেও অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছেন, সেখানে রাজনীতির মঞ্চে তাঁদের পদচারণ এতটা দুর্লভ কেন? প্রশ্নটি সহজ হলেও এর উত্তর জটিল ও বহুস্তরবিশিষ্ট।বাংলাদেশে একটি কথার প্রচলন আছে—‘রাজনীতি মেয়েদের জন্য নয়।’ এটি নিছক কোনো আপ্তবাক্য নয়, বরং একটি প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবতা, যা বহু নারী প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় টের পান। দেশের রাজনীতির পরিসর এখনো পরিবারকেন্দ্রিক ও পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত।রাজনীতিতে সক্রিয় বেশির ভাগ নারী নেত্রীই কোনো প্রভাবশালী পুরুষ সদস্যের আত্মীয় বা রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। সাধারণ নারীর জন্য এই অঙ্গনে প্রবেশের পথ প্রায় রুদ্ধই বলা চলে।বাংলাদেশের অধিকাংশ পরিবারে রাজনীতিকে নারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, অশোভন ও অগ্রহণযোগ্য পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেয়েদের বাইরে কাজ করার ক্ষেত্র এখনো সীমিত; সেখানে রাজনীতির মতো সংঘাতপূর্ণ অঙ্গনে প্রবেশকে পরিবার থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়।...
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরের এক বছর নিয়ে লিখতে হলে আসলে একটু থমকে যেতে হয়। গত জুলাই থেকে এই জুলাই—কী কঠিন, দুঃসহ আর নিদারুণ দিন পার করলাম আমরা। চব্বিশ বছরের জীবনে ১৫ বছর ধরেই নির্যাতন, নিপীড়ন, অন্যায়, গুম, খুন, ভোট চুরি, ধর্ষণ দেখে এসেছে আমার মতোই আমাদের প্রজন্মের বাকিরা। সেই জেন-জির হাত ধরে সারা দেশের শ্রমিক-শিক্ষক-জনতা একযোগে সফল করেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থান! জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা ছিলেন সামনের কাতারে
২০২৪ সালের ৯ জুলাই, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের নিযুক্ত অন্তত ১১ জন বিশেষজ্ঞ গাজায় দুর্ভিক্ষ নিয়ে একটি জরুরি সতর্কবার্তা (মেডে কল) জারি করেন। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা ঘোষণা করছি যে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃত ও লক্ষ্যভিত্তিক ক্ষুধা জ্বালিয়ে রাখা একটি গণহত্যামূলক সহিংসতার রূপ এবং এর ফলে গাজাজুড়ে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই, যেকোনোভাবে সড়কপথে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে, ইসরায়েলের অবরোধ শেষ করতে এবং একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে।” এই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন মাইকেল ফাখরি, যিনি খাদ্যাধিকারের বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদনকারী (র্যাপোরটিয়ার); পেদ্রো অ্যারোহো-আগুদো, যিনি নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন-সংক্রান্ত মানবাধিকার বিষয়ের বিশেষ প্রতিবেদনকারী এবং ফ্রানচেসকা আলবানিজে, যিনি ১৯৬৭ সাল থেকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদনকারী। তাদের মতে, মধ্য গাজায় চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা...
মনোবতী পার্বত্য চট্টগ্রামের জুমিয়া নারী। তিনি চার নাতি-নাতনির দাদি। মনোবতী ভেবেছিলেন, জীবনের শেষবেলাটা হবে বিশ্রামের—গান, নাচ আর উৎসবের সময়, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এখনো প্রতিদিন খেতে কাজে যেতে হয় তাঁকে। পরিশ্রম করতে হয় বেশ। এ বছর মনোবতীর জীবনের অন্যতম কঠিন বছর।জুমে শসার আবাদ করেছেন মনোবতী। তিনি বললেন, শুরুতে বৃষ্টি কম ছিল। তাই শসাখেতে বেশি সার দিতে হয়েছিল। এরপর হুট করে কয়েক দিনের মধ্যে এত বেশি বৃষ্টি হলো যে শসাখেত নষ্ট হয়ে গেল। এখন মনোবতীর আশঙ্কা, তাঁর ধানও বুঝি একইভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।বৈরী প্রকৃতি, আবহাওয়ার এলোমেলো আচরণ, হঠাৎ বৃষ্টি কিংবা তীব্র খরা—এসব মনোবতীর মতো কৃষিনির্ভর মানুষদের এখন বড় বেশি ভাবাচ্ছে।শুধু পাহাড়ের বাসিন্দারা নন, উপকূলীয় অঞ্চল কিংবা খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষও প্রকৃতির এই বৈরী আচরণের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এ সমস্যা অবশ্য বৈশ্বিক। পুরো...
ভূরাজনীতির মঞ্চে ছায়া আর নীরবতা দিন দিন প্রধান বিষয় হয়ে উঠছে। এ প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে চলমান সশস্ত্র লড়াই প্রক্সি যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিকে সবচেয়ে পরিষ্কারভাবে সামনে নিয়ে আসছে। ১৫ জুলাই ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রায়ান বারলেটিক নতুন এক বিতর্কের সূত্রপাত করেছেন। তাঁর অভিযোগ হলো ওয়াশিংটন সম্ভবত নীরবে বেলুচ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট করে চীনা প্রকৌশলী ও পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করতে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।যদিও তাঁর এই দাবির সত্যতা নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক রয়েছে। তার পরও তথ্য–প্রমাণ থেকে এই বাস্তবতা দৃশ্যমান হচ্ছে যে বেলুচ সশস্ত্র সংগ্রাম এখন আর নিখাদ অভ্যন্তরীণ সংগ্রাম নেই। এটি এখন দুই পরাশক্তির কৌশলগত টানাপোড়েনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে বেলুচিস্তানে অন্তত এক ডজন সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় ৫০...
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষিতে পিছিয়ে পড়ার কারণে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে যে গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তা নিরসন করতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে যে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছেন, এর ব্যাপ্তি শুধু বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই, সেটি একই সঙ্গে অরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভূকৌশলগত বিষয়। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করতে না পারায় প্রতিযোগী অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুবিধাজনক শর্তে চুক্তি করতে পারলেও বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে।বাস্তবতা হলো, এই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে না পৌঁছাতে পারলে আগের ১৫ শতাংশের সঙ্গে নতুন আরও ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে দেশটির বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে। নিশ্চিতভাবেই আমাদের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে এর বড় অভিঘাত এসে লাগবে।...
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর হতে চলেছে। গত এক বছরে সরকারের কার্যক্রম নিয়ে শক্ত কথা বলার সময় এসেছে বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘মিষ্টি কথা, ভালো কথা, ভালো উদ্যোগ ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু হয়েছে। আমরাও অনেক ধরনের আশাপ্রদ, অনেক কিছু দেখেছি। আজকের ফ্রেমিং আমার দৃষ্টিতে হতে হবে, পাওনার হিসাব এবং উত্তরণের পথরেখা। আজকে পাওনার হিসাবটা খুবই জরুরি। বিচার, সংস্কার, নির্বাচন—এই বিষয়গুলোতে এক বছরে কী কী হলো, সেই পাওনার হিসাবটা আজকে মূল কথা হতে হবে।’ আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে হোসেন জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই গোলটেবিলের আয়োজক প্রথম...
কালো জাদু, প্রেম আর প্রতিশোধের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অথচ চেনা বাস্তবতার গল্প নিয়ে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘নসিব’। নির্মাণ করেছেন আলোচিত নির্মাতা তানিম রহমান অংশু, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, তানজিন তিশা এবং প্রিয়ন্তী উর্বী। গত ১০ জুলাই ‘গান চিল ড্রামা অ্যান্ড সিনেমা’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাওয়া এই নাটকটি ইতোমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ইউটিউবের কমেন্ট সেকশনে ভেসে আসছে একের পর এক ইতিবাচক মন্তব্য। গল্পে যা দেখা যায়, ‘নসিব’-এ ইয়াশ রোহান একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে, যার সংসার স্ত্রী প্রিয়ন্তী উর্বীর সঙ্গে। সেই সংসারেই একসময় হানা দেয় অজানা অশুভ শক্তি। ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে উর্বীর আচরণ-সাধারণ থেকে হয়ে ওঠে রহস্যময় ও অস্বাভাবিক। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ইয়াশের জীবনে আসেন তানজিন তিশা। তবে তিনি একেবারেই সাধারণ নন-তার আশেপাশে...
বাংলাদেশ সময়ের এক চমৎকার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। যেখানে তরুণ প্রজন্ম শুধু জনসংখ্যার বড় অংশ নয়, সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের কাণ্ডারি। তবে তরুণদের যে স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও বাস্তবতা, তার মধ্যে এখনও বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বা কর্মযজ্ঞে নেমে পড়ার এখনই উপযুক্ত সময়। তাদের ঠিক করতে হবে তারা কী হতে চায়। দেশ ও সমাজের ভবিষ্যতের পাশাপাশি নিজেদের ভবিষ্যৎও ঠিক করে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী, আগামী ২০৩৭-৩৮ সাল পর্যন্ত জনমিতিক লভ্যাংশের সুফল ভোগ করবে বাংলাদেশ। এ সময় পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যার বেশির ভাগই কর্মক্ষম থাকবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় সাফল্য অর্জনে তরুণদের সার্বিক ক্ষমতায়নে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে এই তরুণেরা একসময় দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ছাত্ররা অসাধ্যকে সাধন করেছে। যেভাবে আন্দোলন করে তারা গর্বিত ইতিহাসের...
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, দেশে রিটার্ন দাখিলকারীদের মধ্যে প্রতি ১০০ জনে ৭০ জনই শূন্য আয় দেখিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেন। কিন্তু এই তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না অর্থ উপদেষ্টা, সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তাদের মতে, এত বড় সংখ্যক মানুষ করযোগ্য আয় না থাকার কথা বাস্তবসম্মত নয়। যারা শূন্য কর দেখাচ্ছেন, তাদের প্রকৃত আয় ও সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখা দরকার। প্রশ্ন উঠেছে, তারা কি সত্যিই করযোগ্য আয়ের বাইরে, নাকি আয় গোপন করে কর ফাঁকি দিচ্ছেন? বর্তমানে বাংলাদেশে কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ সেই অনুপাতে বাড়ছে না। কারণ রিটার্ন জমাদানকারীদের একটি বড় অংশ ‘জিরো ট্যাক্স’ দিচ্ছেন, অর্থাৎ কর পরিশোধ করছেন না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৫ লাখ রিটার্ন দাখিলকারী থাকলেও তাদের...
২০২৫ সালের ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে এক অভূতপূর্ব সংকট সৃষ্টি করেছে।আগামী ১ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হলে বাংলাদেশ তার অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজারে বিপুল প্রতিযোগিতাগত দুর্বলতার মুখে পড়বে। অথচ এই সংকট প্রতিরোধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সময়োচিত ও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ দৃশ্যমান ছিল না।দেশের তৈরি পোশাকশিল্প—যা প্রায় ৪০ লাখ কর্মজীবী মানুষকে, বিশেষত নারী শ্রমিকদের জীবিকার উৎস হিসেবে কাজ দেয়—এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে।বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ওপর শুল্কহার ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।অন্যদিকে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক (যা আগের ১৫ শতাংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর শুল্ক বোঝায়) দেশটির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে তুলবে।আরও পড়ুনট্রাম্পের ‘পাল্টা...
পরিবেশ অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, পরিবেশ অধিকার এখন কেবল পরিবেশের বিষয় নয়, এটা মানুষের জীবনের অধিকারের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। তাই সংবিধানে একে মৌলিক অধিকার হিসেবে যুক্ত করার সময় এসেছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত ‘এসসিএলএস আইন অলিম্পিয়াড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের এ কে খান অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় দেশের অন্যতম বৃহৎ আইনভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘এসসিএলএস আইন অলিম্পিয়াড ২০২৫’। প্রতিযোগিতার এবারের থিম ছিল ‘পরিবেশ আইন ও জলবায়ু ন্যায়বিচার’। চবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সংগঠন সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস) অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো....
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার নতুন পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে তা বাস্তবায়নের সময়সীমা ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। প্রথমে ১৪টি ও পরে গতকাল আরও সাতটি দেশকে পাঠিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে না পারলে তাদের ওপর নতুন হারে শুল্ক বসবে। এই পরিস্থিতিতে যেসব দেশকে ট্রাম্প চিঠি দিয়েছেন এবং যাদের এখনো দেননি, তারা সবাই কমবেশি চেষ্টাচরিত্র করছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই উচ্চশুল্কের খড়্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এই দফায় কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি। এর আগে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা যেমন করেছে, এবার কেউ তা করেনি। খবর আল জাজিরা। সেই সঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট বা যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাতের প্রতিক্রিয়াও তেমন তীব্র কিছু নয়, বরং তারা যেন ধৈর্যের খেলা খেলছে। বাজারের...
আমি যেটা ভাবি, সেটাই যে সব সময় ঠিক তা নয়। তরুণদের আমি কিছু শেখাতে চাই না। কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, আমি মনে করি এই পরামর্শ তাদের প্রয়োজন নেই। আমি বরং তোমাদের আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলব, স্রেফ একজন বড় ভাইয়ের মতো।১৫ বছর আগে আমি ব্যবসা শুরু করেছি। প্রথমত কখনোই ভাবিনি, এ রকম একটা মঞ্চে নিজের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলার সুযোগ হবে। যখন আমি ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার ২৪ জন বন্ধুকে বাসায় নিমন্ত্রণ করেছিলাম। পাক্কা দুই ঘণ্টা আমার ভাবনাটা ওদের বোঝানোর পর আমি বুঝতে পারলাম, ওরা কিছুই বোঝেনি! ২৪ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন আমার পাশে থাকতে রাজি হয়েছিল।আজকালকার তরুণদের যেসব যোগ্যতা থাকে, আমার সেসবের কিছুই ছিল না। লোকে আমাকে বলত, ‘কী যোগ্যতা আছে...
এই মুহূর্তে অনেকেই মনে করছেন বিএনপি আগামী নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে দেশ শাসন করবে। ভাবনাটা হয়তো বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে একধরনের উচ্ছ্বাসের জন্ম দেয়, ও বিরোধীদের মধ্যে উষ্মা। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিএনপির জন্য এই রাজনীতি এত সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। এমনকি একটা গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে আশা, তা খুব সহজে অর্জিত হবে বলে মনে হচ্ছে না। আসুন দেখি এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির রাজনীতির ভবিষ্যৎ সংকট কী?বিএনপির এখন প্রধান সংকট হলো বিএনপির জনপ্রিয়তা। আওয়ামী লীগের অবর্তমানে বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় দল বলে প্রতীয়মান হয়। এই জনপ্রিয়তাই বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যথেষ্ট। অর্থাৎ যেহেতু বিএনপি বড় দল, তেমনি বিএনপির ওপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এ প্রসঙ্গে আমরা আরনেস্তো লাক্লাউয়ের পপুলিস্ট ডিমান্ড বা জনতুষ্টিবাদী...
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল তরুণদের কতটা ভোট পেতে পারে– এ নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং-সানেম। গত সোমবার প্রকাশিত জরিপটিতে অংশ নিয়েছেন ২০০ তরুণ; সবার বয়স ১৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। জরিপের ফল বলছে, আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি। ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জামায়াতে ইসলামী। তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তৃতীয়; ভোট ১৫ দশমিক ৮৪। এ ছাড়া ওই তরুণরা মনে করেন, বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেলে ১৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট পাবে। অন্যান্য ইসলামিক দলের বাক্সে যেতে পারে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মাত্র ৯ মাস...
ভঙ্গুর একটি যুদ্ধবিরতি তেহরানের আকাশে পরিচিত হয়ে ওঠা বিস্ফোরণের শব্দ আপাতত বিরতি দিয়েছে। আমার জন্ম হয়েছিল ১৯৮৮ সালে, ইরাক-ইরান যুদ্ধ থামার এক বছর আগে। আমাদের প্রজন্মের কাছে যুদ্ধ ছিল অতীতের বিষয়। এই গ্রীষ্ম আসার আগে তা ছিল অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় একটা বিষয়।১২ দিন ধরে, আমরা রাজধানীতে বসবাস করেছি ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন হামলার মধ্যে। আমরা যা দেখেছি, তা আমাদের চিরদিনের জন্য বদলে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, প্রতিবেশীদের মৃতদেহ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘর এবং মানুষের সীমাহীন উদ্বেগ।‘ইরানি জনগণ’ বলার মধ্যে একধরনের স্বস্তি কাজ করে। এতে মনে হয় যেন আমরা সবাই একটি ঐক্যবদ্ধ গোষ্ঠী। কিন্তু অধিকাংশ সমাজের মতো, ইরানিদের মধ্যেও বিভিন্ন মতপার্থক্যের মানুষ রয়েছেন। এমন অনেক মানুষ ছিলেন, তাঁরা (অন্তত যুদ্ধের সূচনালগ্নে) এটা দেখে খুশি হয়েছিলেন তাঁদের অপছন্দের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতৃত্বকে...
বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে কোন দেশগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? এককথায় এ প্রশ্নের উত্তর হলো, রপ্তানি-নির্ভর দেশগুলো। এ পরিস্থিতি যে সৃষ্টি হবে, চীন অনেক আগেই তা অনুমান করতে পেরেছিল। সে কারণে তারা অভ্যন্তরীণ ভোগ বৃদ্ধিতে জোর দিয়ে আসছে এক দশকের বেশি সময় ধরে।সেদিক থেকে বাংলাদেশ একধরনের সুবিধাজনক পর্যায়ে আছে। বাস্তবতা হলো, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পণ্য ও বাণিজ্যিক সেবা রপ্তানির শতকরা হিসাবে গত কয়েক বছর স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের সারিতে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। ২০১০ সালের পর আমরা মাত্র এক ধাপ এগিয়েছি।ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ অনুসারে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি জিডিপির অনুপাত ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি সত্ত্বেও ২০১০ সালের পর এই অনুপাত কমেছে। জিডিপিতে বাণিজ্যিক পরিষেবা রপ্তানির হিস্যা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে...
ক্লাব ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায় ভেবেই হয়তো বিদায় বলেছিলেন পেশাদার ফুটবলকে। কিন্তু বাস্তবতা যেন লিখে দিলো এক নতুন চিত্রনাট্য। অবসর ভেঙে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর গোলপোস্টে নিজের দক্ষতা দেখিয়ে এখন ক্লাবটির পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। এবার তিনি চুক্তি নবায়ন করেছেন আরও দুই বছরের জন্য, অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত থাকছেন কাতালানদের হয়েই। সোমবার (৭ জুলাই) বার্সেলোনা ক্লাবের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল বিবৃতিতে সেজনির সঙ্গে নতুন চুক্তির ঘোষণা আসে। এর আগে মে মাসে সেজনি জানিয়েছিলেন, বার্সার প্রস্তাব নিয়ে তিনি ও তার স্ত্রী পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সেই ভাবনাই বাস্তবতায় রূপ পেল। গত বছর আগস্টে জুভেন্টাস ছেড়ে সেজনি ঘোষণা দেন অবসরের। কিন্তু বার্সার প্রথম গোলকিপার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান গুরুতর চোটে পড়লে মৌসুমের মাঝপথে তাকে ফেরাতে হয়। পরিস্থিতি সামাল...
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি উপাচার্যের সঙ্গে যে অঘটন ঘটেছে, তা দুঃখজনক। সমকালে প্রকাশ, সেখানে উপাচার্যের রুমে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেছে– ‘আপনাকে আমরা বসিয়েছি।’ বস্তুত এর মধ্যেই দেশের উপাচার্য নিয়োগের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। সেখানকার ঘটনার প্রেক্ষাপট যদিও ভিন্ন, তারপরও আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি, শিক্ষক রাজনীতি– এ দুটি প্রক্রিয়া শুধু মতপ্রকাশ বা অধিকার চর্চার মাধ্যম নয়। বরং অনেকাংশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির গোপন ও দৃশ্যমান কাঠামো হিসেবে কাজ করে। একসময় ছাত্র রাজনীতি ছিল আদর্শভিত্তিক আন্দোলনের প্রতীক। শিক্ষকদের রাজনীতি ছিল নীতিনির্ধারণে প্রগতিশীল অংশগ্রহণের নাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এগুলো অনেকাংশে দলীয় আনুগত্য, সুবিধাবাদ, নিয়োগ বাণিজ্য এবং প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য নির্বাহী হলেও দুর্নীতির একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে তিনি একটি অংশমাত্র। এই কাঠামোয় জড়িত থাকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর, রাজনীতি, শিক্ষক সমাজ, আর্থিক দপ্তর এবং...
কক্সবাজার শুধু ‘পর্যটন নগরী’ নয়; পরিবেশগতভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চল। এ জেলার বিস্তীর্ণ উপকূলজুড়ে সমুদ্র, খাঁড়ি, পাহাড়, বন, কৃষিজমি, বসতি– সবই একে অপরের সঙ্গে গভীর জৈব ভূতাত্ত্বিক বন্ধনে যুক্ত। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক সমন্বয় দীর্ঘকাল ধরে এখানকার জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানুষের জীবন-জীবিকার ভারসাম্য বজায় রেখেছে। কিন্তু এই ভারসাম্য আজ নানাবিধ সংকটে ভুগছে। বন ও কৃষিজমি ধ্বংস করে হোটেল, চিংড়ি ঘের, লবণ খামার ও অবকাঠামো নির্মাণের ফলে ভূপ্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে প্রায় ৩৪ শতাংশ এলাকা উচ্চ বা খুব উচ্চ পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষত উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির গঠনের কারণে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর বনভূমি উজাড় হয়েছে। এতে ভূমিক্ষয় বেড়েছে এবং খাঁড়ির প্রাকৃতিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে পর্যটনের অতিরিক্ত...
বিস্ময়কর গ্রাম ‘পুনিয়ারটন’। এই গ্রামের চারপাশ ঘিরে আছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা। গোমতী নদীপারের এই গ্রামটি প্রশাসনিকভাবে কুমিল্লার মুরাদনগরে হলেও বাস্তব জীবনে পুনিয়ারটন যেন তিতাসের মাঝখানে এক ছিটমহল! এখানকার মানুষজনও তাই বাস করেন এক ছিটমহলীয় পরাবাস্তবতায়। তিতাস উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে লেগেছে নানা উন্নয়নের ছোঁয়া। কিন্তু পুনিয়ারটন সবকিছু বঞ্চিত। ছোট্ট এই জনপদটি পড়ে আছে সবার চোখের আড়ালে, মনোযোগের বাইরে। নেই রাস্তাঘাট, বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে একটি স্কুল পর্যন্ত। জানা গেছে, পুনিয়ারটন গ্রামটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে শত বছরের বেশি আগে। এর দক্ষিণ পাশ দিয়ে গোমতী নদী প্রবাহিত। উত্তর দিকে তিতাসের কাউনিয়ার বিল, পূর্বদিকে কলাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকনগর গ্রাম ও পশ্চিমে ঘোষকান্দি গ্রাম। মাত্র ৭০০ মানুষের বসবাস এই প্রত্যন্ত গ্রামে। নেই কোনো পাকা রাস্তা এবং ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা। বর্ষা মৌসুম এলে গ্রামে বৃষ্টি নয়,...
চারশো বছরের পুরোনো যৌনপল্লি এক রাতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়-এই বাস্তবতাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমা ‘রঙবাজার’। তামজিদ অতুলের গল্প অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। লাইভ টেকনোলজিস প্রযোজিত ‘রঙবাজার’-এর শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। সিনেমার অধিকাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও আলোচিত যৌনপল্লি দৌলতদিয়ায়। নির্মাতা বলেন, ‘‘রঙবাজার’ দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে এটি সব শ্রেণির দর্শকের জন্য নয়, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মনস্তত্ত্বকে কেন্দ্র করেই নির্মাণ। তাই সঠিক সময় বেছে নেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছিল।’ দুর্গাপূজার সময়টিকে নিজের জন্য ‘বিশেষ’ উল্লেখ করে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘গত বছর মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সামগ্রিক অবস্থা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়। এবার পূজায় মুক্তি দিতে চাই। কারণ, এই উৎসবেই আমার “পদ্মাপুরাণ” মুক্তি পেয়েছিল।...
চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই জানা গেল, অনুদান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম অনেক আগেই পদত্যাগ করেছেন। এ তথ্য মম নিজেই জানিয়েছেন। ১ জুলাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩২টি চলচ্চিত্রকে মোট ১৩ কোটি টাকার অনুদান প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পরদিন থেকেই এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এ পরিস্থিতিতে জানা গেল—অনুদানের এই তালিকা প্রণয়ন বা অনুমোদনের সঙ্গে জাকিয়া বারী মমর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে জাকিয়া বারী মম বলেন, “অনুদানের এই তালিকা তৈরি কিংবা ঘোষণার সময়, আমি এই কমিটির অংশ ছিলাম না। ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে ২৫ মে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর। প্রায় এক মাস ধরে আমি এই কমিটির সঙ্গে নেই।” আরো পড়ুন: ...
সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হয়েছে গত সোমবার। এ নিয়ে সাধারণ সঞ্চয়কারীদের মধ্যে একধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। বাস্তবতা হলো দেশের অবসরপ্রাপ্ত বা বয়স্ক জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশের মাসিক খরচের সিংহভাগ এ সঞ্চয়পত্রের সুদ থেকে আসে। ফলে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমে যাওয়া তাঁদের জন্য অশনিসংকেত।এ পরিস্থিতিতে খরচ কমানোর বাস্তবতা তৈরি হয়। আয় কমলে মানুষ সাধারণত প্রথমে ভোগ ব্যয় কমান, অর্থাৎ খাবারদাবারের মান ও পরিমাণ কমে যায়। বেশ কিছু গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। বিশেষ করে এ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় আয় কমে যাওয়া আরও বিপজ্জনক।দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের সম্পর্ক কী, সাংবাদিক আফসান চৌধুরীর ছোট একটি ফেসবুক পোস্ট থেকেই তা বোঝা যায়। মঙ্গলবার সকালে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমে যাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এ পোস্ট দেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমালো। আমার মতো মানুষের জন্য...
ব্রিটিশ সম্প্রচার সংস্থা বিবিসির ১০৭ জন কর্মীসহ আরও ৩০০ জন গণমাধ্যমকর্মী ও শিল্পী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ‘প্যালেস্টাইনবিরোধী বর্ণবাদ’ এবং ‘ইসরায়েলের পক্ষে প্রচার চালানো’র অভিযোগ এনেছেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। ডেডলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি খোলা চিঠিতে তারা বিবিসির শীর্ষ নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করে বলেন, ইসরায়েল সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটি ‘সেন্সরশিপ’ আরোপ করছে এবং ইসরায়েলি সরকার ও সেনাবাহিনীর হয়ে ‘জনসংযোগ’ চালাচ্ছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি বিবিসি ‘গাজা: মেডিকস আন্ডার ফায়ার’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ‘একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ। এই ক্ষেত্রে বিবিসির অধিকাংশ কাভারেজেই প্যালেস্টিনবিরোধী বর্ণবাদের ছাপ স্পষ্ট।’ বিবিসির কর্মীরা অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাজ্য সরকারের ভূমিকাসহ, দেশটির অস্ত্র বিক্রি ও তার আইনি প্রভাব সম্পর্কে বিবিসি গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিশ্লেষণ তুলে ধরেনি। চিঠিতে...
মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় প্রথম বর্ষের প্রতিটা শিক্ষার্থীর থাকে বুকভরা স্বপ্ন, প্রত্যাশার সুউচ্চ পারদ, নিজেকে মেলে ধরার প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর অন্যরকম এক ভালো লাগা। ধীরে ধীরে হল, বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, টিএসসি, কার্জন, কলাভবন, শহীদ মিনার, ফুলার রোড, মল চত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে যায় তাঁর আপন নিবাস। গ্রামে ফেলে আসা জীবন থেকে ধীরে ধীরে কংক্রিটে মোড়ানো ঢাকা শহরের জীবনে হয়ে যায় অভ্যস্ত। অনেকে অনাহারে, অর্ধাহারে আবার অনেকে পুর্ণাহার আর অতি আহার করে এখানে জীবন যাপন করে। একই শ্রেণীকক্ষে পড়াশোনা করলেও প্রত্যেকের গন্তব্য ভিন্ন। কেউ চায় করপোরেট জায়ান্ট হতে, কেউ চায় ৯টা-৫ টা সরকারি চাকরি, কেউ পছন্দ করে শিক্ষকতা আবার কেউবা নিতে চায় দেশের নেতৃত্ব, কেউ কেউ এসবে রস না পেয়ে শিকড়ে ফিরে গিয়ে করতে চায় কৃষিকাজ...
কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), সাবেক জেলা ও দায়রা জজসহ পাঁচ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের জজ মিজানুর রহমানের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলার নথি জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়। আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল। দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু জানান, দুদক ও আসামিপক্ষের শুনানির পর আদালত সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দিয়ে ওই...
ন্যাটোর নেতারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে ২০৩৫ সালের মধ্যে সদস্যরাষ্ট্রগুলো তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ ব্যয় করবে ‘প্রতিরক্ষা খাতের মূল প্রয়োজন মেটাতে এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে’। ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তে বলেছেন, এটি একটি ‘বিস্ময়কর অগ্রগতি’। এই সিদ্ধান্ত জোটভুক্ত দেশগুলোর ১০০ কোটি মানুষের ‘স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করবে। সামরিক উত্তেজনা বাড়ানোর প্রেক্ষাপট থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এখন প্রশ্ন হলো, এই ব্যয় কি সত্যিই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে? আর সেটা যদি হয়ও তাহলে কার জন্য?সামরিক খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয়ের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এতটাই জোরালোভাবে এসেছে যে অনেকেই ভুলে যেতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটোর অনেকগুলো সদস্যরাষ্ট্রই এ খাতে জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্য অর্জনকে হয় অসম্ভব, নয়তো গুরুত্বহীন বলে মনে করেছে। ২০০২ সালে ন্যাটো প্রথম প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির...
ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ খেলতে আগস্টে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ভারতের। বিসিসিআইর অনুমোদন নিয়ে সূচিও ঘোষণা করেছিল বিসিবি। বাস্তবতা হলো নির্ধারিত সময়ে সে সিরিজ হচ্ছে না। দ্বিপক্ষীয় এ সিরিজ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে ভারত। সিরিজটি নিয়ে দুটি বিকল্প সময়ের কথা শোনা যাচ্ছে– নভেম্বর বা আগামী বছরের কোনো এক সময়। বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় চলতি বছর ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা কম। বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের গতকালের সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে নতুন সূচি ঠিক করতে। ১৮ থেকে ৩১ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামে ছিল তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ। গুঞ্জন আছে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আগস্টের সফর বাতিল করা হয়। যদিও এ ব্যাপারে বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু বলা হয়নি। বোর্ড...
একটা সময় ছিল, যখন অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কটা ছিল ভয়ের, বিশেষ করে বাবার সঙ্গে। তবে সেই সময় বেশির ভাগ শিশু বেড়ে উঠত এক বৃহৎ পারিবারিক পরিসরে। সময় বদলেছে। এ যুগের শিশু অনেকটাই ‘একা’। বাড়ির বাইরে শিশুকে স্বাধীনভাবে খেলতে দিতেও অনেক অভিভাবক অনিরাপদ বোধ করেন। শিশুর নিরাপদ আশ্রয় কেবল তার পরিবার। ভরসার জায়গা কেবল তার মা-বাবা আর নিকটাত্মীয়রাই। সন্তানপালনে প্রচলিত কিছু ভুল এবং তা সংশোধন সম্পর্কে জানালেন শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ফেলো ডা. টুম্পা ইন্দ্রানী ঘোষ।১. সবকিছুর চেয়ে শিশুর গুরুত্ব বেশিআপনার সন্তান নিঃসন্দেহেই আপনার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার মানে এই নয় যে তাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আপনি নিজেকে নিঃশেষ করে ফেলবেন। নিজের সুস্থতার প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। কিছুটা সময় রাখুন নিজের জন্যও।২. কোনো...
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘নারী ও শিশু উন্নয়ন’, ‘সমাজকল্যাণ’, ‘স্বাস্থ্য’, ‘শিক্ষা’, ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ ও ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা গেছে। বাজেটে নারীবান্ধব ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নারীর অংশগ্রহণ বিবেচনায় নিয়ে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ বছর নারীসংশ্লিষ্ট বাজেটের পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ২৮ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এটি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রথমবারের মতো নারীদের অবৈতনিক এবং অস্বীকৃত যত্ন এবং গৃহস্থালির কাজের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে যত্নকেন্দ্রে আরও বরাদ্দ হলে ভালো হতো। নতুন করদাতাদের জন্য ন্যূনতম ১ হাজার টাকা করের হার নির্ধারণ, করের ভিত্তি সম্প্রসারণের জন্য একটি স্বাগত উদ্যোগ। তবে করমুক্ত ব্যক্তিগত আয় স্তর এবং ব্যক্তিগত আয়কর কাঠামোতে প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যারা গত...
কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও গত শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুলকালাম।এ ঘটনায় প্রতিবাদে ফুঁসছে বিনোদন অঙ্গনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক তারকারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ষকদের বিচার দাবি করছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। গত রোববার (২৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে অভিনেত্রী দাবি করেন, তিনি নিজেও এই দেশে নিরাপদ নন। এমনকি জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও তিনি আশাহত হচ্ছেন। নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের শুরুতেই বাঁধন প্রশ্ন তুলে লেখেন, ‘এই দেশে আমি কি নিরাপদ? উত্তরটা সহজ: না। মোটেও না।’ অভিনেত্রী লেখেন, ‘প্রতিদিন এই দেশের মেয়েরা, নারীরা নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি আর অবিচারের শিকার হচ্ছেন। এর পরিবর্তে আমরা কী করি? আমরা সহ্য...
বলিউডে অভিষেকের আগেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী শানায়া কাপুর। সম্প্রতি বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারকাখ্যাতি, প্রস্তুতি, সমালোচনা ও নিজের যাত্রা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন অভিনেতা সঞ্জয় কাপুর ও অভিনেত্রী মাহিপ কাপুরের কন্যা শানায়া। তবে তার এই মন্তব্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রলের শিকার। আগামী ১১ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে শানায়ার প্রথম ছবি ‘আঁখো কি গুস্তাখিয়াঁ’, যেখানে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন টুয়েলভ ফেল-খ্যাত অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। অভিষেকের আগে এক সাক্ষাৎকারে শানায়া বলেন, ‘খ্যাতির সঙ্গে সমালোচনা আসেই। আমি ওগুলোকে নেতিবাচকভাবে নিইনি; বরং শিখেছি, নিজেকে গড়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেমন, তা আমার অভিভাবকদের জন্য। বিশেষ করে আমার বাবা আর মায়ের জন্য। আমি যে পরিবেশে বড় হয়েছি, তা নিয়ে গর্বিত। আমি সেটিকে বদলাতে চাই না।’ নিজের যাত্রা প্রসঙ্গে শানায়া বলেন, ‘এই জায়গায়...
জনপরিসরে জাতীয় সংসদে নারী কোটা নিয়ে তর্কবিতর্ক থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকগুলোতে নারী নেতৃত্বের অনুপস্থিতি পীড়াদায়ক। দলের নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য বা সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁদের অভিজ্ঞতা থাকায় সব বিষয়েই তাঁদের সরব উপস্থিতি কাম্য। নিঃসন্দেহে তাঁরা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করতেন। জাতি লাভবান হতো। জাতীয় সংসদে নারী কোটাবিষয়ক সাধারণত তিনটি অনুমিতিকে বিবেচনা করা হয়। প্রথমত, সংসদে নারী রাজনীতিবিদদের উপস্থিতি দরকার বিধায় ইতিবাচক বৈষম্যের প্রয়োজন আছে। দ্বিতীয়ত, সংসদে নারী কোটা রাখলে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। তৃতীয়ত, নারী কোটা নিয়ে দেশে একটি স্বাভাবিক ঐকমত্য রয়েছে বিধায় কোটার পরিমাণ বা বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়েই কেবল আলোচনা হতে হবে। বেশি মাত্রায় রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ অতীব জরুরি। জনসংখ্যার অনুপাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা কাঠামোয় তাঁদের অংশগ্রহণ খুবই কম। প্রশ্ন হলো জাতীয় সংসদে নারী কোটাব্যবস্থা আসলে...
“মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহুহু”— একটি সরল উচ্চারণ, যা হয়ে উঠেছে ট্রেন্ড। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাস্তাঘাট, এমনকি সিনেমার পর্দায় ঠাঁই করে নিয়েছে এই বাক্য। ঈদের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত তিনটি চলচ্চিত্র—‘তাণ্ডব’, ‘ইনসাফ’ ও ‘উৎসব’। তিনটি সিনেমাতেই এই সংলাপ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে— এটা কি সিনেমার ভাষা, না ভাইরালের অনুকরণ? এই সংলাপ-সর্বস্বতা কি বাংলা চলচ্চিত্রের মৌলিকতাকে সংকটে ফেলছে? সিনেমা একটি শিল্পমাধ্যম, যেখানে গল্পের ভেতর গড়ে ওঠে চরিত্র, আবেগ, সময়ের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ শিল্পমাধ্যম যেন ক্রমশই নতজানু হয়ে পড়ছে ভাইরাল মিম ও রিল-কনটেন্টের সামনে। এই প্রসঙ্গে একটি প্রশ্ন সামনে আসে— চলচ্চিত্র কি এখন গল্প বলছে, না কি শুধু ট্রেন্ড ধরার প্রতিযোগিতায় নেমেছে? ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহুহু’ সংলাপ যখন তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সিনেমায় প্রায় একই রকমভাবে ব্যবহৃত হয়, তখন সেখানে দর্শক হাসলেও,...
জুলাই গণ–অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর কীভাবে ঘটবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে যেমন নতুন ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তেমনি প্রায় প্রতিটি ইস্যুতে শুরু হয়েছে তীব্র বাহাস বা বিতর্ক; যদিও নিকট অতীতের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বলে, ক্রান্তিকালীন রূপান্তরের ক্ষেত্রে বিতর্ক, সংলাপ ও নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশেও অভূতপূর্ব সক্রিয়তা দৃশ্যমান।আরও পড়ুনগণক্ষমতাবিরোধী ধ্যানধারণা বনাম গণরাজনৈতিক ধারা১৯ জুন ২০২৫২.দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারের যে আলোচনা ছোট এবং অনেকটা বিশেষায়িত পরিসরে চলেছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান তাকে সাধারণের আলোচনার বিষয়ে পরিণত করেছে। প্রশ্ন হলো, সংস্কার কিসের হবে? কীভাবে হবে? বা এর প্রক্রিয়া কী হবে?এসব প্রশ্ন নিয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে সংবিধানের সংস্কার নিয়ে—কেউ নতুন গঠনতন্ত্রের পক্ষে, কেউ মৌলিক কিছু সংস্কারের পক্ষে। তবে এসবের কোনোটিই...
শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটানো গণ–অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর হয়ে গেল। কয়েক সপ্তাহের এই আন্দোলনে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও অনেক। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।এই সরকার দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারা বছরের পর বছর ধরে অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা পুনর্গঠিত করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।১১ মাস পর দেখা যাচ্ছে কাজটা বেশ কঠিন। রাজনৈতিক মিছিল-সমাবেশ এখনো চলছে। অনেক রাজনীতিক গঠনমূলক আলোচনাযর চেয়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতেই বেশি ব্যস্ত। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যে কাটছাট ও পণ্যে শুল্ক বসানো দেশের উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভারতের...
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি অপারেটর আনার প্রস্তাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা। তবে এই বিতর্কের মাঝে যে বিষয়টি আড়ালে পড়ে যাচ্ছে তা হলো, কীভাবে বন্দর পরিচালনায় কৌশলগত আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিল্পখাত এবং জনগণের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সুফল বয়ে আনতে পারে। দেশের মোট সামুদ্রিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। যেমন– ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক স্থল পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যের পরিমাণ যেমন বাড়ছে, তেমনি গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনেও পরিবর্তন আসছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে আরও কার্যকর সংযুক্তি এবং বন্দরের আধুনিকায়ন এখন সময়োপযোগী। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, জুতা, চামড়াজাত পণ্যগুলো রপ্তানিনির্ভর খাতগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে হলে কার্যকারিতা ও বৈশ্বিক সংযুক্তি আরও জোরদার করতে হবে। বন্দর পরিচালনায় অভিজ্ঞ...
ভারতের ক্রিকেটে শুবমান গিল-যুগের শুরুটা হলো হার দিয়ে। পাঁচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে ভারত। এমন হারের পর দলের ভেতরে তো অবশ্যই, ভারতের সাবেক ক্রিকেটার-বিশ্লেষকেরাও কাঁটাছেড়া করছেন, কোথায় কী কী ভুল হলো গিলের দলের।শেষ পর্যন্ত যত ভুলভ্রান্তির কথাই উঠে আসুক, দিন শেষে যা পাওয়া যায়, তা হচ্ছে ‘পাঠ’ বা ‘শিক্ষা’। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টসকিডা বলছে, হেডিংলিতে হেরে তিনটি কঠোর বাস্তবতা টের পেয়েছে ভারত। যে শিক্ষা কাজে লাগাতে না পারলে সিরিজের পরের টেস্টগুলোতেও ভুগতে হবে।১. ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলাই যথেষ্ট নয়ফলের ঘরে ইংল্যান্ড জয়ী। তবে পাঁচ দিনের খেলায় বেশির ভাগ ভালো অবস্থানে কিছু ভারতই ছিল। ম্যাচে কিছু সময় ভারতই ছিল এগিয়ে। যেমন প্রথম দিনের খেলা শেষে ভারতের রান ছিল ৩ উইকেটে ৩৫৯ (যদিও দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্যাটিং-ব্যর্থতায় সংগ্রহটা...
“যদিও একলব্য তবু ভুলিনি অপমান পুনর্বার হব না তাই ক্ষমাঅন্তঃপ্রাণ।” “নৌকা থামাও, ঝাঁপ দেবো কালো জলে ফেলে আসা পথ সাঁতারেই দেবো পাড়ি তোমাদের গড়া জীবনের কোলাহলে তাকালেই দেখি মৃত মুখ সারি সারি।” তার কাব্যনির্মাণসমগ্র পূর্বাপর এই কপটতাহীন দ্রোহকথা। কোথাও বেশ উঁচু, কোথাও খানিক নিচু তারে জড়ানো। তবে সবখানেই স্পষ্ট এই সুর। যদিও ‘একার সন্ন্যাসে’ আস্থা, তবু বিকীর্ণ এই পরিঘোষণা যেন বহুজনতার উদ্দেশে; ছিন্নবন্ধ প্রব্রজ্যা নয়, প্রকারান্তরে প্রবল পথনির্দেশ। কবি আবু হাসান শাহরিয়ার দলছুট হয়েও সমষ্টিলগ্ন, বর্গীয় উত্থানের কথা বলতে গিয়ে তিনি চেতনালীন সরে আসেন ভীড় থেকে কিছু দূরে; উঁচু পাটাতনের উপর দাঁড়িয়ে তার সৃজনকণ্ঠ সরোষ উদ্দীপনাভরে একইসঙ্গে ব্যক্তি ও যৌথ মানুষের জাগরণ ইশতেহার পাঠ করে শোনায়। তার কবিতাশরীর বিভঙ্গবঙ্কিম নয়, ভাবনা ও প্রকরণে ঋজু; ভাষার সারল্যগামিতা তার...
লোক–ঐতিহ্য, বাস্তবতা ও বিমূর্ততা—এই তিন ধারা কেবল শিল্পের পৃথক শৈলীমাত্র নয়; বরং মানুষের অভিজ্ঞতা, সংস্কৃতি ও মননের পরস্পরসংলগ্ন স্তর। বাস্তবতা আমাদের দৃশ্যমান জগৎ ও প্রতিদিনের সংঘাত-সম্পর্ককে স্পষ্ট করে, লোক–ঐতিহ্য আমাদের শিকড়, স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের সন্ধান দেয়। আর বিমূর্ততা আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা ও মনস্তাত্ত্বিক সঞ্চরণে নিক্ষেপ করে—যেখানে দৃশ্য ও অর্থের সীমা মুছে গিয়ে জন্ম নেয় বোধ ও অনুরণন। এই তিন ধারাকে অবলম্বন করে লা গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে তিন তরুণ শিল্পীর ‘টিম্বার টেলস’ শিরোনামের চিত্র প্রদর্শনী।‘রুটস’, শিল্পী রাকিব আলম শান্ত
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক দৃশ্যপটের সঙ্গে বাংলাদেশের বাস্তবতার মিল আর অমিল খুঁজে দেখার চেষ্টা করেন অনেকে। আদতে দুটি দেশের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে ক্ষীণ সাদৃশ্য থাকলেও গভীরের অমিলের দিকগুলো মোটাদাগের। গত প্রায় পাঁচ দশকে সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা শিক্ষাদীক্ষা, মানবিক উন্নয়ন, সামাজিক সাম্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক চর্চাসহ নানা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো দেশের তুলনায় অগ্রগামী। ক্ষেত্রবিশেষে ইউরোপের বহুল আলোচিত কল্যাণ রাষ্ট্র ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত অনেক রাষ্ট্রের চেয়ে শ্রীলঙ্কার বাস্তবতা অগ্রবর্তী। এ রকম ইতিবাচক অবস্থানে থাকার পরও দেশটি ২০২২ সালে গভীর সংকটে কেন পড়ল? যে সংকট গণআন্দোলনে রূপ নিল, যার পরিণতিস্বরূপ তৎকালীন সরকারের পতন পর্যন্ত হয়ে গেল। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ল; রাষ্ট্রীয় কোষাগার তলানিতে গিয়ে ঠেকল; কোষাগার সংকটে প্রয়োজনীয় জ্বালানি এবং জরুরি চিকৎসা সামগ্রী আমদানি থমকে গিয়েছিল; দেশের...
মনে হচ্ছে যেন এই তো গতকালও ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের অবৈধ ইরান-আক্রমণে সরাসরি যোগ দিয়েছে। শনিবার তারা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ট্রাম্প এই হামলাকে ‘খুব সফল একটি আক্রমণ’ বলে দম্ভোক্তিভরা দাবি করেছেন।সিএনএন এ ঘটনাকে নাটকীয়ভাবে ব্যাখ্যা করে বলেছে: ‘এটি ২০২৫ সালের জুন মাসের একটি অবিস্মরণীয় গ্রীষ্মকালীন রাত। এটিকে হয়তো একদিন এমন এক মুহূর্ত হিসেবে মনে রাখা হবে, যখন মধ্যপ্রাচ্য চিরতরে বদলে গেল, যখন ইসরায়েলের ওপর পারমাণবিক ধ্বংসের ভয় দূর হলো, যখন ইরানের শক্তি ধ্বংস হলো, আর আমেরিকার শক্তি আরও বেড়ে গেল।’আরও পড়ুনইরানে আক্রমণ করে ট্রাম্প বড় জুয়া খেললেন১০ ঘণ্টা আগেতবে বাস্তবতা হলো ইরানের ওপর এসব আক্রমণের পেছনে ‘পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়’ আসলে কোনো কারণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বারবার...
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে—এমন রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার বিষয়ে শিক্ষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। তিনি আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (বিশ্ববিদ্যালয় দিবস) উপলক্ষে আয়োজিত একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন আমি রাজনীতি করব, অবশ্যই আপনি রাজনীতির অঙ্গনে চলে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে দিন। কারণ, রাজনীতিতে যোগ্য লোকের দরকার আছে। সেখানে আপনি সম্মান পাবেন। কিন্তু পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আনবেন না।’অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইসমাইল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হায়দার আলী, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।শিক্ষা উপদেষ্টা বক্তব্য দিতে গিয়ে...
ইসরায়েলের ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্তকে কোনো যুক্তি দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায় না। এই আক্রমণ ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের সামরিক নীতির সঙ্গেও সরাসরি সাংঘর্ষিক। এত দিন ধরে ইসরায়েলের সামরিক নীতির লক্ষ্য ছিল, স্বল্পকালীন, নিষ্পত্তিমূলক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে সুস্পষ্ট কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা। ইসরায়েলের এই সামরিক নীতির পেছনে কাজ করেছে দেশটির ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও জনমিতিক নাজুকতা।এখন আমরা দেখছি যে ইসরায়েল তার আগের নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। কৌশলগত বাস্তবতাকে পরিত্যাগ করে ইসরায়েল এখন একটি ধর্মচালিত যুদ্ধের পথে হাঁটছে, যে যুদ্ধের কোনো শেষ নেই।এই পরিবর্তন অত্যন্ত স্পষ্ট। পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট উপনিবেশবাদী প্রকল্প থেকে ইসরায়েল এখন ধর্মীয় ত্রাতাবাদী উপনিবেশিক শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথ খুঁজছে। আর এই প্রকল্পের অস্তিত্ব নির্ভর করছে চিরস্থায়ী যুদ্ধের ওপর। যুদ্ধের যুক্তিতে ক্রমবর্ধমানভাবে ধর্মীয় ভাষার ব্যবহার এবং সৃষ্টিকর্তাকে পক্ষ হিসেবে বারবার টেনে আনা, সেই কাঠামোগত...
আমরা আর তরুণ নই। ঝড়ের বেগে পৃথিবীকে দখল করতে চাই না আর। পালাচ্ছি আমরা। পালাচ্ছি নিজেদের কাছ থেকে, নিজেদের জীবনের কাছ থেকে। বয়স ছিল আঠারো, ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম জীবন ও পৃথিবীকে, তারপরও সেই জীবন ও পৃথিবীকেই গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিতে হলো আমাদের।—অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট১৯৩০ সালের ৫ ডিসেম্বর। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এক হলিউডি চলচ্চিত্র দেখার জন্য বার্লিনের মোজার্ট হলে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য দর্শক। কিন্তু ছবি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাৎসি পার্টির সমর্থক দেড় শ তরুণ এসে ঢুকল হলে, তাদের নেতৃত্বে জোসেফ গোয়েবলস, ৩৩ বছর বয়সী উগ্রবাদী এক হিটলার সমর্থক। ইহুদিবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে হলের ভেতর দুর্গন্ধ ছড়ানো স্টিংক বোমা নিক্ষেপ করল তারা, শুঁকলেই হাঁচি আসে এমন পাউডার ছড়াল, সিনেমা হলে ছেড়ে দিল সাদা ইঁদুর। রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড বাধল প্রেক্ষাগৃহের...
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় চারটি গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে এ চারটি দেশ। নতুন ভিসা নীতিমালা, আর্থিক সামর্থ্য প্রমাণের কড়াকড়ি এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য যাচাইয়ের নিয়ম এসব দেশের উচ্চশিক্ষার পরিবেশে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে শুধু যোগ্য, সৎ ও সুপরিকল্পিত শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগের দরজা আরও প্রশস্ত হচ্ছে।বিদেশে পড়া: এটি বিকল্প নয়, হোক অন্যতম লক্ষ্য—বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন যখন তাঁরা দেশে ক্যারিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েন। কিন্তু এই মানসিকতা পরিবর্তন প্রয়োজন। বিদেশে পড়াশোনা ‘বিকল্প’ নয়, এটি হতে হবে একটি পরিকল্পিত ‘গ্লোবাল ক্যারিয়ার’ গঠনের প্রাথমিক ধাপ। এটি শুধু একটি সার্টিফিকেট অর্জনের বিষয় নয়, এটি একটি বিশ্বজনীন দক্ষতা অর্জনের যাত্রা, যা স্থায়ী কর্মসংস্থান, বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা এবং...
ব্যবসা করলে কর দিতে হবে– এটা সবাই জানে। কিন্তু ব্যবসায় যদি লোকসান হয়? বাংলাদেশে ব্যবসা মানেই কর। লাভ হোক বা লোকসান, সরকার কর আদায় করবে– এই বাস্তবতা নিয়ে দেশে ব্যবসা করতে হয়। ছোট-বড়, নতুন-পুরোনো সব প্রতিষ্ঠানের জন্যই এই নিয়ম কার্যকর। তবে সাম্প্রতিক বাজেটে প্রস্তাবিত কর কাঠামো বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য কঠিন বাস্তবতা তৈরি করেছে। ব্যবসার আয় নেই, তবু কর দিতে হবে– এমন এক অযৌক্তিক কাঠামোর মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। অথচ সরকার যেমন বলছে, কর আদায় না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিপরীতে ব্যবসায়ীরাও বলছে, ব্যবসা টিকলেই কেবল কর দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ টিকে থাকার শর্তে কর আদায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে ব্যবসার শুরুতেই একটি কোম্পানিকে যে করের ফাঁদে পড়তে হয়, তা অনেক সময়েই তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।...
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বৈশ্বিকভাবে আলোচিত ও উদ্বেগজনক একটি বিষয়। তবে এর সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাবগুলো পড়ছে উন্নয়নশীল ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর, যার অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশ। ভৌগোলিক অবস্থান, ঘনবসতি, দারিদ্র্যতা, দুর্বল অবকাঠামো ও নদীনির্ভর জীবনধারার কারণে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের অন্যতম ভুক্তভোগী। যদিও বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস (পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্যাসের নিঃসরণ) নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান অত্যন্ত সামান্য, তবুও এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে দেশের কোটি কোটি মানুষকে। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যা পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ব্যবস্থার (গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা) মুখে অবস্থিত। এর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকা, নিচু ভূ-প্রকৃতি ও ঘনবসতি বাংলাদেশের জলবায়ু সংবেদনশীলতাকে বাড়িয়ে তোলে। আরো পড়ুন: যানজটমুক্ত ঢাকার স্বপ্ন: জুলাই থেকে নামছে ইলেকট্রিক বাস তথ্য...
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হার্ৎজের বিশিষ্ট কলামিস্ট গিডিয়ন লেভি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতে জড়াবেন কি জড়াবেন না; সেই সিদ্ধান্ত দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার জোটের জন্য ‘গভীর হতাশার’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আলজাজিরাকে বলেন, “এই বাস্তবতায় দুই সপ্তাহ এক অনন্তকাল। যদি তিনি সত্যিই কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে চান এবং যদি এটি কোনো চাল না হয়ে থাকে; তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দিন দিন কমেই আসছে।” গিডিয়ন লেভি বলেন, “দীর্ঘমেয়াদে, এমনকি ইসরায়েল যদি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করতেও সফল হয় বা ইরানের আক্রমণাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতায় আঘাত হানে, তবু ইসরায়েলিরা নিরাপদ অনুভব করবে না।” আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি ১৪ বিমান ভরে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে ইসরায়েলকে ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি...
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে উপজীব্য করে গতকাল সন্ধ্যা ৭ টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলানায়তনে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হলো নাটক ‘দেয়াল জানে সব’। এটি প্রযোজনা করেছে নাট্যদল স্পন্দন থিয়েটার সার্কেল। সংস্কৃতি বিষয়ক মণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এর মঞ্চায়ন হয়েছে এই আয়োজনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির। নাটকটির কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক নীরব চরিত্র- ‘দেয়াল’। সে দেখছে সব, জানে সব। তার চোখের সামনে রিকশাচালক রহিমুদ্দিনের মৃত্যু, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রুদ্র প্রাণচাঞ্চল্য ম্লান হয়ে যাওয়া, গার্মেন্টসকর্মী আসমার স্বপ্নভঙ্গ, শিশু রাফির নির্মম বিদায় আর হাসপাতালের করুণ চিত্র- সবই ফুটে উঠেছে প্রতীকী কফিনের মাধ্যমে। স্পন্দন থিয়েটার সার্কেল-এর নতুন প্রযোজনা ‘দেয়াল জানে সব’ সমকালীন বাস্তবতার গর্ভে...
উসমানিয়া সাম্রাজ্যের নারীদের জীবন যেন এক রহস্যময় পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ছিল—পশ্চিমা কল্পনায় তাঁরা ছিলেন হেরেমে বন্দী, নিপীড়িত ও বিলাসী জীবনের প্রতীক। কিন্তু আসলি সানকারের বই অটোমান উইমেন: মিথ অ্যান্ড রিয়েলিটি এই মিথ ভেঙে বাস্তবতার আলোকে উসমানিয়া নারীদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছে।ইস্তাম্বুলে বসবাসরত এই আমেরিকান লেখিকা ঐতিহাসিক দলিল, পশ্চিমা ভ্রমণকারীদের বিবরণী এবং শরিয়াহ আইনে বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, সেখানকার নারীরা ছিলেন স্বাধীন, সম্মানিত ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাঁরা হেরেমে শুধু গৃহস্থালি পরিচালনা করেননি, বরং আদালতে নিজেদের অধিকার রক্ষা করেছেন, দানশীল কাজে অংশ নিয়েছেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছেন।এই বই আমাদের শেখায় নারীর শক্তি ও মর্যাদা যুগ যুগ ধরে অটুট থাকে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নারী ও পুরুষ একে অপরের সহায়ক।’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৭১)সে সময় মিসর থেকে নারীরা ইস্তাম্বুলে এসে সুলতানের কাছে ন্যায়বিচারের...
চ্যাথাম হাউস– ব্রিটেনে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা বিশ্ব রাজনীতির জটিল বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা করে থাকে। ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার লক্ষ্যে গড়ে ওঠে। শুরুতে এটি স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করার প্রত্যয়ে গঠিত হলেও শতাব্দীর বেশি সময়ে এর কার্যক্রমে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও করপোরেট স্বার্থের প্রভাব লক্ষণীয়। বিশেষত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তানীতির ক্ষেত্রে এর কার্যক্রম ও অবদান নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। চ্যাথাম হাউস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক নীতি ও কূটনীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিপি, শেভরন, ওয়েলস ফার্গোসহ বিশ্বখ্যাত বড় বড় কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটি অনেকাংশে চালিত হয়, যেখানে আমেরিকার আলোচিত ও সমালোচিত ধনকুবেররাও যুক্ত। ফলে সমালোচকরা চ্যাথামের ঘোষিত ও অঘোষিত আয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন। উল্লেখ্য, ১৯১৯...
বাংলাদেশের ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রি এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মানুষের চাহিদা, বিশেষ করে দ্রুত, নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সংযোগের জন্য। কিন্তু এর পেছনের বাস্তবতা অনেক কঠিন। বিশেষ করে আইএসপি, অর্থাৎ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের জন্য এই বাজার খুব একটা প্রফিটের নয়, বরং একটানা লড়াইয়ের। কারণ, এই ব্যবসা আসলে ভলিউম গেম। এখানে লাভবান হতে হলে খেলতে হয় বড় স্কেলে।যদি কোনো আইএসপি ২০ হাজারের কম গ্রাহক নিয়ে সার্ভিস চালায়, তাহলে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, লাভ তো দূরের কথা। এখানে অনেক উদ্যোক্তা নিজের শ্রম, সময় ও ধৈর্যের বিনিয়োগকে আর্থিক হিসাবে বিবেচনায় আনেন না, ফলে ব্যবসার প্রকৃত লাভ-লোকসানের হিসাবও মেলে না। এই ভুল ধারণা থেকেই ব্যবসাটি অনেক সময় ক্ষতির দিকে চলে যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, আইএসপি একটি ক্যাপিটাল ইনটেনসিভ ও কষ্টসাধ্য ইন্ডাস্ট্রি।...
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ব্রিটেন সফর স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেখানে সৃষ্ট রাজনৈতিক সমঝোতার পথ ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারলে ঈদুল আজহার আগের দিন জাতীয় নির্বাচনের পরিবর্তিত সময়সীমা ঘোষণার পরও ‘সংকট’ যখন কাটেনি, তখন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এ দেশের ভবিষ্যৎ জানতে আগ্রহী আন্তর্জাতিক মহলগুলোও নিশ্চয় চাইছিল, সেখান থেকে সুস্পষ্ট বার্তা আসুক। অভিন্ন আগ্রহ ছিল বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও। আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যেই নির্বাচন হবে– ‘যৌথ বিবৃতি’তে এমন কথা কিন্তু নেই। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ওই সময়ে নির্বাচন করা যেতে পারে বলে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। এটাই হলো খবর। শুধু মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন, তা নয়; তারেক রহমানও হয়েছেন। আমরা জানি,...
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পর নিজেদের সাফল্য ও ত্রুটিগুলো তুলে ধরেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং তাঁর কমিটির সদস্যরা। গতকাল রাজধানীর একটি ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মতবিনিময় সভায় মন খুলে কথা বলেছেন তাবিথ। চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো– বাজেট বরাদ্দ ও ট্যাক্স কমানো: বাজেটে ২ হাজার কোটির মধ্যে ৯০০ কোটি চলে যায় বেতন, মেইনটেন্যান্স, অপারেশনাল ও অন্যান্য বিষয়ে। বাকিটা উন্নয়নমূলক কাজে লাগে। অনেক কাঠামো পুরোনো, অকেজো। এখানে সংস্কারকাজ করে আর কতদিন। ক্রীড়া পণ্যের ক্ষেত্রে ৩৬ শতাংশ ট্যাক্স, এটা যেন বিবেচনা করা হয় এবং মওকুফ করা বা কমানো হয়। ভারতে এ ট্যাক্স মাত্র ১২ শতাংশ। বাফুফে থেকে সরকারের কাছে সর্বশেষ ৩০ কোটি টাকার বাজেট চাওয়া হয়েছিল। এ কমিটি আসার পর আমরা তার কোনো পরিবর্তন...
গত ২২ মে থেকে প্রেসক্লাবের সামনে একদল নারী অবস্থান নিয়েছেন; ঈদের দিনেও তাঁরা সেখানে ছিলেন। সুদূর কুড়িগ্রাম, খাগড়াছড়ি, ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা এসেছেন। আগামী ৩০ জুন থেকে তাঁরা চাকরিহীন হবেন। এই নারীদের অনেকেই তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সন্তানের স্কুলের খরচ, মাসের বাজার খরচ, পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার খরচ—এসব এক হাতে সামলান তাঁরা।এই নারীরা ‘মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়’ (বর্তমানে নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়) আওতাধীন একটি প্রকল্পের কর্মী। প্রকল্পটির নাম হলো ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)’। ১৯৮৯ সালে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে নারীদের প্রশিক্ষণ, নারীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার খাত তৈরি করা এবং স্বাস্থ্য ও আইনি কাঠামোর অগ্রসরতা নিয়ে কাজ রয়েছে। কিন্তু গত...
এখন যে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা, টুর্নামেন্টের শুরুতে এই প্রোটিয়ারাই পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশের। ২০২৩ সালের শুরুতে প্রথম পাঁচ টেস্টের একটিতেও জিততে পারেনি তারা, সে সময় বাংলাদেশ পাঁচ টেস্টের দুটিতে জয় পায়। অথচ দুই বছরের সেই টেস্ট চক্রের শেষে এসে কিনা প্রোটিয়ারা ফাইনাল খেলছে আর শান্তরা ৭ নম্বরে থেকে খুঁজছেন সান্ত্বনা। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশ কি ফাইনাল খেলতে পারবে? এমন জিজ্ঞাসায় বাস্তবতা মেনে নিতে বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। ‘এটা অনেক বড় স্বপ্ন। এত দূরে যদি এখনই চিন্তা করি, তাহলে বোকামি হবে। আমার কাছে মনে হয় ছোট ছোটভাবে যদি আমরা এগোতে পারি, তাহলে ভালো।’ ২০২৫ থেকে ২০২৭ নতুন টেস্ট চক্রের প্রথম সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা রওনা দেওয়ার আগে গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এভাবেই বাস্তবতা...
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ সম্ভাবনা ক্ষীণ; কিন্তু দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার ত্রিসংযোগস্থলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা জটিল করে তুলছে, ঠিক সেই সময়ে যখন চীন কৌশলগতভাবে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের রাজধানী আইজলে একটি চমকপ্রদ রাজনৈতিক ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমানা ঘেঁষা এই রাজ্যে মিয়ানমারভিত্তিক দুটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একীভূত হওয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা। চিনল্যান্ড কাউন্সিল (সিসি) কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের চিন রাজ্যে সক্রিয় ছিল। ২০২১ সালে ইন্টেরিম চিন ন্যাশনাল কনসালটেটিভ কাউন্সিল (আইসিএনসিসি) গঠিত হয়। এটি গঠিত হয় মূলত সিসি-এর কিছু ভিন্নমতাবলম্বী অংশের উদ্যোগে। উভয় গোষ্ঠীই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে– গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী মিয়ানমারের জান্তা...
কার্ল মার্ক্স ১৭৩ বছর আগে বলেছিলেন, ইতিহাসে কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেমন ট্র্যাজেডি আকারে হতে পারে, তেমনি প্রহসন রূপেও হয়। বঙ্গের ভাগ্য অতীতেও বহুবার বিলাতে নির্ধারিত হয়েছে। এখন আরেকবার যদি সে রকম হয়, তাকে অন্তত ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবেই শনাক্ত করব আমরা।ট্র্যাজেডি এটা বহু কারণে। প্রথমত, ঠিক দশ মাস পর গণ–অভ্যুত্থানের ভবিষ্যৎ ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত দর-কষাকষির বিষয়ে পরিণত হলো। জনগণ আর সেসবে চালকের আসনে নেই, অন্তত ‘স্থানীয়’ সমাজের সে রকমই পর্যবেক্ষণ। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক বোধ-বুদ্ধি তীক্ষ্ণ, কল্পনাশক্তিও ব্যাপক। গ্রামগঞ্জের চায়ের দোকানে ঈদের ছুটির আড্ডার বিষয় গরু-ছাগলের বেচাবিক্রি থেকে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার দূরের লন্ডনের দিকে ছুটে গেছে ইতিমধ্যে।এ অঞ্চলের শাসকদের ভ্রমণপ্রীতি ও লন্ডনপ্রীতি পুরোনো হলেও চলতি লন্ডন–অধ্যায় বাড়তি মুখরোচক। বহুকালের অধরা জাতীয় নির্বাচন কবে, কেন, কীভাবে হবে; তার অনেকখানি সিদ্ধান্ত যে এ সপ্তাহে...
১৮ বছরের অপেক্ষার পর বিরাট কোহলি পেয়েছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। এই শিরোপা তার জন্য কতটা অরাধ্য তা ক্রিকেটে খানিকটা মনোযোগ দেওয়া সবারই জানা। কিন্তু আইপিএলের অবস্থান এবং টেস্ট ক্রিকেটের বিশালত্ব ফাইনালের মঞ্চে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরাট। ১৪ বছরে ১২৩ টেস্ট খেলা বিরাট আইপিএল জেতার মঞ্চে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি নিবেদন প্রকাশ করেন, ‘‘কিন্তু তারপরও এটা (আইপিএল) টেস্ট ক্রিকেট থেকে পাঁচ স্তর নিচে। টেস্ট ক্রিকেটকে আমি এতটাই মূল্য দিই, এতটাই ভালোবাসি।’’ বিরাটের টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা, নিবেদনকে বেশ ভালোভাবেই নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। তবে অবস্থান ভেদে ক্রিকেটের গুরুত্ব একেকরকম সেই বিষয়টিও সামনে এনেছেন রাসেল। আরো পড়ুন: আইপিএলের ফাইনালে শ্রেয়াস আইয়ারের আউট ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’! বিরাটদের পক্ষে বাজি ধরে ১.৩ মিলিয়ন ডলার জিতলেন র্যাপার...
১৭ বছর অপেক্ষার পর প্রথমবার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন—গত ৩ জুন এমন আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলি গেয়েছিলেন টেস্টের জয়গান। বলেছিলেন, আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি হলেও টেস্ট ক্রিকেটকে এর চেয়ে অনেক ওপরে স্থান দেন তিনি। কতটা ওপরে—তা বোঝাতে আইপিএল ট্রফিকে টেস্টের চেয়ে পাঁচ ধাপ নিচে বলেও মন্তব্য করেন কোহলি।ভারতের ব্যাটিং তারকার এমন টেস্ট–আসক্তির বিপরীতে ভিন্ন বাস্তবতা শুনিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে টেস্ট ক্রিকেট উপার্জনের ভালো মাধ্যম হলেও ক্যারিবিয়ানদের জন্য বাস্তবতা সম্পূর্ণ আলাদা।ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৮৪ টি–টোয়েন্টি ও ৫৬ ওয়ানডে খেলা রাসেল ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পরিচিত মুখ। প্রতিবছর দুই–তিনটি বা এরও বেশি টুর্নামেন্টে খেলে থাকেন। এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়জন ক্রিকেটার ১০ বা এর বেশি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট (যেসব টুর্নামেন্টে ৫...
ঈদের বিকেলের আলো নিভে আসছে। ঢাকার ব্যস্ত রাস্তাগুলোয় ধীরে ধীরে নেমে আসছে ছুটির নিস্তব্ধতা। কিন্তু মিরপুর, শনির আখড়া মালিবাগ রেলগেট, জুরাইন, খিলগাঁও কিংবা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এসব জায়গায় তখনও জমজমাট এক ভিন্ন রকমের বাজার। না, এটা গরু বা ছাগলের হাট নয় এ হলো কোরবানির ‘মাংসের হাট’। শনিবার (৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে। পলিথিন ব্যাগে ভরা কাটা মাংস রাখা ফুটপাতে। কেজিতে দাম মাত্র ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। অথচ ঠিক সকালেই রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে কোরবানির মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। আরো পড়ুন: ফাঁকা ঢাকা কোরবানির বর্জ্য অপসারণে এনসিপির ৩ দিনের কর্মসূচি ফ্রিজ নেই, বাড়ি দূরে, বিক্রি করছি মিরপুর শাহ আলী ফুটপাতে বসে মাংস বিক্রি করছেন মৌসুমী কসাই সোবাহান আলী। হাতে লেগে...
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ৫৫ মাস পর ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ঝলমলে গ্যালারিতে উড়েছে লাল-সবুজের ঢেউ, গর্জে উঠেছে হাজারো কণ্ঠস্বর। গতকাল সন্ধ্যায় ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেশের ফুটবলতীর্থে জাতীয় দলের প্রত্যাবর্তন যেন পরিণত হয়েছে এক উৎসবে। এই জয়ের নায়ক ইংল্যান্ডে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ফুটবলার হামজা চৌধুরী—ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে যাঁর। বাংলাদেশের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই দুর্দান্ত এক গোল করে তিনি আনন্দের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন সমর্থকদের মধ্যে।এই আলোয় যেন ফুটবলপাগল জাতি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এখন জাতীয় দলে একসঙ্গে ছয়জন প্রবাসী ফুটবলার—জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী, কাজেম শাহ, হামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম ও শমিত সোম। অপেক্ষমাণ আছেন আরেক তরুণ কিউবা মিচেল। তালিকায় আছেন আরও কয়েকজন। অবস্থা এমন যে খুব শিগগির জাতীয় দলের ২৩ জনের স্কোয়াডের অর্ধেকই ভরে...
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে রাজস্ব সম্পর্ক নেই। ব্যাংক থেকে সরকার যদি ঋণ নেয়, তখন প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ হয় না। রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ে চলে যাবে। রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। বাজেটে মৌলিক জায়গায় দূরত্ব রয়েছে। গুণগত দিক থেকে কোনো পরিবর্তন নেই। কাঠামোগতভাবে আগেরটাই রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা। সোমবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় প্রদত্ত বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এই বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। আগের বাজেট যেভাবে চলে আসছে, সেখান থেকে সংখ্যার তারতম্য হয়েছে। কিন্তু বাজেটের প্রিন্সিপাল একই রয়ে গেছে। বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার বের হতে পারেনি। রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। তাহলে প্রাইভেট সেক্টরে টাকার সরবরাহ থাকবে, বিনিয়োগ থাকবে, ইন্টারেস্ট কমে আসত, বিদেশি...
ক্রিকেট শুধু মাঠের খেলা নয় এটি এখন আবহাওয়া, রাজনীতি আর স্বাস্থ্যঝুঁকির সমন্বিত এক বাস্তবতা। এর প্রমাণ মিলল নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ ২০২৫ উপলক্ষে। ৬ জুন শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই বহুল প্রত্যাশিত টুর্নামেন্টের, তবে সেটি আপাতত ঝুলে গেল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এর পক্ষ থেকে টুর্নামেন্ট স্থগিতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর ক্রিকেট মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। কারণ একটিমাত্র নয়—জটিলতা সৃষ্টি করেছে একসঙ্গে কয়েকটি ফ্যাক্টর। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী রূপ ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগেই। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ আশঙ্কা করেছিল, টানা বৃষ্টিতে খেলা মাঠে গড়ানো তো দূরের কথা, স্বাভাবিক জীবনযাপনই হবে বিপর্যস্ত। এমন অবস্থায় একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণও। আরও উদ্বেগের নাম চিকুনগুনিয়া। ২০১০ সালের...
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত এবং এতে গুণগত কিংবা কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন নেই। সোমবার বিকেলে বনানীর হোটেল সেরিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই বাজেটে রাজস্ব আয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ব্যাংক হতে সরকার যদি লোন নেয়, তখন প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ হয় না। রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ে চলে যাবে। তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। বাজেটের মৌলিক দিক নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে আমির খসরু বলেন, এই বাজেটে মৌলিক জায়গায় দূরত্ব রয়ে গেছে। তিনি বলেন, গুনগত দিক থেকে আমরা কোন পরিবর্তন দেখি না। কাঠামোগত কিন্তু আগের টাই রয়ে গেছে। বিস্তারিত আসছে...
রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। রবিবার (১ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে এই দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। পরবর্তীতে স্মারকলিপিটি উপাচার্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম এ কাউসার, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, শামসুন্নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর...
গ্ল্যামার জগতের জনপ্রিয় মুখ সারিকা সাবরিন। মডেলিং ও অভিনয়ে দীর্ঘদিনের সরব উপস্থিতি তাকে করে তুলেছে দর্শকের প্রিয় তারকা। তবে সম্প্রতি এক বিস্ময়কর গুঞ্জনে সরগরম হয়েছে মিডিয়াপাড়া। সারিকা নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, আর সে কারণেই ভাঙনের মুখে তার দ্বিতীয় সংসার! এক সময়ের আলোচিত এই অভিনেত্রীর ঘরোয়া জীবনে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমন গুঞ্জন নতুন নয়। শোনা যাচ্ছিল, স্বামী আহমেদ রাহীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নাকি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। এবার যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। গুলশানের এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে সারিকার পরকীয়ার অভিযোগ। তবে এসব গুঞ্জনের জবাব দিতে আর চুপ থাকলেন না সারিকা। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমাদের দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছর চলছে। এই চার বছরে আমরা এক রাতও আলাদা থাকিনি, এটাই বাস্তবতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় চার বছরে কখনোই আমরা আলাদা থাকিনি। অনেক...
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ নয়। তাই স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে হয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধির ভিত্তি দাঁড়িয়েছে স্বল্প মজুরির শ্রম ও রপ্তানিনির্ভর শিল্পের ওপর একটি মডেল– যা অদক্ষ বা অর্ধদক্ষ শ্রমনির্ভর এবং প্রযুক্তিগতভাবে স্থিতিশীল নয়। দক্ষ মানবসম্পদের অভাব ও গবেষণা উদ্ভাবনের প্রতি অবহেলার ফলে এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে অস্থির ও ক্ষণস্থায়ী। এমনকি প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বেও এই ঐতিহ্যগত কাঠামো অপরিবর্তিত থাকায় বাংলাদেশ আজ এক গভীর ও মৌলিক পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বর্তমানে আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নামে এক যুগান্তকারী বাস্তবতায় প্রবেশ করছি, যা পূর্ববর্তী শিল্পবিপ্লবগুলোর তুলনায় অনেক বেশি দ্রুতগামী ও ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টিকারী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন, বিগ ডেটা, জিন প্রকৌশল ও রোবটিক্সের মতো প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত এই বাস্তবতায় বিশ্বজুড়ে শিল্প, কর্মসংস্থান ও জ্ঞান অর্জনের ধরন আমূলভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রে...
আলজেরিয়া আর ফ্রান্সের মধ্যকার সম্পর্ক যেন পুরোনো প্রেমিক-প্রেমিকার মতো। এককালে ভালোবাসা ছিল। এখন তা অস্বীকারও করা যায় না। আবার সম্পর্ক রাখাও যায় না। এমন কোনো সপ্তাহ যায় না যে দুই দেশের মধ্যে নতুন কোনো ঝামেলা না ঘটে। কয়েক দিন আগে আলজেরিয়া প্যারিসে তাদের এক কনস্যুলেট কর্মীকে গ্রেপ্তারের জবাবে ফরাসি দূতাবাসের কর্মীদের বহিষ্কার করেছে। এমন সব ঘটনা এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এক পক্ষ কিছু করলে অন্য পক্ষ পাল্টা জবাব দেয়।১৯৬২ সাল পর্যন্ত আলজেরিয়া ছিল ফ্রান্সের উপনিবেশ। স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে লুকানো ক্ষোভ আর অবিশ্বাস এখন এক জটিল মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ফ্রান্স-আলজেরিয়া সম্পর্কের এতটা খারাপ সময় আর কখনো আসেনি।তবে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অনেকটাই অনুচ্চারিত থেকে যাচ্ছে—কার কাকে বেশি প্রয়োজন? ফ্রান্স কি এখনো আলজেরিয়াকে শর্ত চাপিয়ে দিতে পারে? নাকি...
বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থা একটি বিস্ময়কর দ্বৈত বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি: একদিকে কিছু দৃঢ়তা ও ইতিবাচক অগ্রগতি, অন্যদিকে প্রকট বিশৃঙ্খলা ও কাঠামোগত দুর্বলতা। দীর্ঘদিনের চিহ্নিত সমস্যা, যেমন অপ্রতুল বাজেট বরাদ্দ, ব্যাপক দুর্নীতি, কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, অনুন্নত অবকাঠামো ও ভিড়ভাট্টা স্বাস্থ্য খাতকে কার্যকরভাবে পরিচালনার পথে বড় বাধা হিসেবে বিরাজ করছে।এসব সমস্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত জটিলতা পুরো ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে তুলেছে। তবে এই দৃশ্যমান বাস্তবতার আড়ালে দুটি অজানা সত্য লুকিয়ে রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত ও নিরূপণ করা গেলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার দক্ষতা ও জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে। এই দুটি হলো—সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রদানকৃত স্বাস্থ্যসেবার প্রকৃত মূল্য; এবং ব্যবস্থাগত অপচয়ের আর্থিক মূল্য। এই গোপন সত্যগুলো উন্মোচন করতে পারলে স্বাস্থ্য খাতের কার্যকারিতা ও জনমনে আস্থা বাড়ানোর জন্য বাস্তবসম্মত সংস্কারের পথ...
উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলাপ তুললে আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে কলকাতার কথা মনে না এসে উপায় থাকে না। তখন কলকাতাই ছিল আধুনিক অর্থে আমরা যাকে বাংলা সাহিত্য বলে প্রায় সর্বসম্মত স্বীকৃতি দিয়েছি, তার প্রধানতম চর্চাস্থল। সে কলকাতায় বাঙালি মুসলমানের তুলনায় উর্দুভাষী মুসলমানরা কেবল সংখ্যায় নয়, প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক থেকেও বেশ অগ্রসর ছিল। এমতাবস্থায় ‘বাংলা সাহিত্যে’র সাপেক্ষে আলাপ তুলে আমরা বাঙালি মুসলমানকে যতই আলাদা করতে চাই না কেন, দুটি সংশ্লিষ্ট ও প্রতাপশালী জনগোষ্ঠীর হিস্যা বাদ দিয়ে সে আলাপ পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।এর প্রথমটি যদি হয় বাংলা অঞ্চলের অবাঙালি মুসলমান সম্প্রদায়, অন্যটি হবে হিন্দু ভদ্রলোক সমাজ। উনিশ শতকের বাংলা ভাষাচর্চা, সাহিত্যচর্চা এবং পশ্চিমা অর্থে আধুনিকতার চর্চা প্রধানত শেষোক্ত সমাজটিই করেছিল। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এবং চর্চাকারীরা সংখ্যায় খুব কম হলেও সে চর্চার ফলাফল বর্ণাঢ্য...