2025-11-02@09:18:31 GMT
إجمالي نتائج البحث: 293

«ব স তবত»:

    চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিস্তর অভিযোগ ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন, বেআইনি আটকসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর শৃঙ্খলা ধ্বংস করে সেগুলোকে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছিল।অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডসহ গুম ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করেছে, সেটি নিশ্চিতভাবেই ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। কিন্তু এ সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, কারা হেফাজতে মৃত্যু, মব সহিংসতায় মৃত্যুসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোও সমানভাবে উদ্বেগজনক।মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’–এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৪ মাসে ৪০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি—৯টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল; আর গত তিন মাসে ঘটেছে ১১টি। ৪০ জনের মধ্যে গুলিতে মারা গেছেন ১৯ জন, নির্যাতনে মারা গেছেন ১৪...
    অধ্যাপক আলী রীয়াজের নতুন বই ‘অ্যা ফ্র্যাকচারড পাথ: চ্যালেঞ্জেস অব ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকাশিত হয়েছে। এ মাসেই দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) বইটি প্রকাশ করেছে।ইউপিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বইটির বিষয়বস্তুও উল্লেখ করা হয়েছে।গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, দেশে গণতন্ত্র আর জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি নৈরাজ্য গ্রাস করবে? পৃথিবীর আরও যেসব রাষ্ট্র  নানা সময়ে এমন সংকটের মুখে পড়েছে, তারা কীভাবে উত্তরণ করেছে? কোন কোন রাষ্ট্র উত্তরণে আদৌ সক্ষম হয়নি? বইটিতে লেখক অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত অর্ধশতকে যে দেশগুলো এই রূপান্তরে সফল বা ব্যর্থ হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা লেখক এই বইটিতে বিশ্লেষণ করেছেন।অন্যদিকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালনের...
    বিদেশে উচ্চশিক্ষা আর কেবল ধনী পরিবারের সন্তানদের স্বপ্ন নয় এখন এটি সম্ভব পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে। এমন অনুপ্রেরণামূলক বার্তা নিয়েই নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে “Higher Education, Possibilities and Dream” শীর্ষক শিক্ষা সেমিনার। বৃস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে IELTS World ও Smart World Consultancy। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি এবং ডেইলি নারায়ণগঞ্জ অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মনির মুন্না। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,...
    সূর্যের আলো পৃথিবীর প্রাণ ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই সূর্যের আলো বা রোদের তীব্রতা কমানোর জন্য বায়ুমণ্ডলের ওপর ক্ষুদ্র কণা নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। বৈজ্ঞানিকভাবে সূর্যের আলো ঠেকানোর এই কৌশলকে স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন বা এসএআই বলা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, বায়ুমণ্ডলের ওপরে নিক্ষেপ করা ক্ষুদ্র কণাগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে ঠান্ডা করবে। যদিও বাস্তবে এমন কাজ করা মোটেও সহজ নয়। স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন পদ্ধতির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য এরই মধ্যে শতাধিক সিমুলেশন মডেল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বেশির ভাগ মডেলেই নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্ষুদ্র কণা ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এসএআইর সাফল্য বা ব্যর্থতাকে প্রভাবিত করতে পারে এমন সব কারণকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্লাইমেট স্কুলের বিজ্ঞানী ভি ফে ম্যাকনিল জানান, এসএআইয়ের...
    গণমাধ্যম সংস্কার নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও এর ফলাফল খুব কম বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার আদর্শের কথা বলি। কিন্তু আদর্শের কথা না বলে আমাদের সংস্কারের ব্যবহারিক জায়গায় আসতে হবে।’ ‎ প্রথম আলো আয়োজিত ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথাগুলো বলেন দেওয়ান হানিফ। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ‎দেওয়ান হানিফ বলেন, ‘আর্থিকভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা খুব কম। এ কারণে সাংবাদিকদের অনেকেই সাংবাদিকতার বাইরে আরও অনেক কিছু করেন।’ তিনি বলেন, ‘সম্পাদকেরা অনেক কিছু করেন, যেটা তাঁর পেশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আদর্শগত জায়গা থেকে আমরা চিন্তা করছি।...
    গণমাধ্যমকে সরকারি বা যেকোনো অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হলে কারও কাছে করুণা চেয়ে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, এর জন্য আলাদা করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথাগুলো বলেন। আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা চাইছি, সংবাদমাধ্যমকে সরকারি বা যেকোনো অশুভ প্রভাবমুক্ত একটা মুক্ত সংবাদপত্র বা মিডিয়ার জগৎ হিসেবে তৈরি করা হোক। আমি মনে করি, এটা কারও কাছে কোনো করুণা চেয়ে হবে না, কারও কাছে সাপোর্ট চেয়ে হবে না। এটা একটা মুভমেন্ট, মানে সংবাদপত্র বা মিডিয়ার স্বাধীনতার আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে কী রকম করে গড়ে তোলা...
    বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় হিসেবে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকেও দায়ী করছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম।তিনি বলেছেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমার সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো রাজনৈতিক ভিত্তির ওপরে নির্ভর করে বিভক্ত থাকবে, তত দিন পর্যন্ত স্বাধীন সাংবাদিকতা হবে না।’‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন মাহ্‌ফুজ আনাম। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।মাহ্‌ফুজ আনাম বলেন, ‘আমি যতই স্বাধীন সাংবাদিকতার কথা বলি, কিন্তু আমি একটা বিশিষ্ট দলের আনুগত্যে আমি সাংবাদিক ইউনিয়ন করি; তো পাঠক কি আমাকে বিশ্বাস করবে? কেন বিশ্বাস করবে?’দর্শক, পাঠক, শ্রোতার কাছে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতার দিকটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর (পাঠক, দর্শক...
    বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করা হবে। এই বিভাগ তৈরি করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে। এর উদ্দেশ্য ছিল এমডি নিয়োগ ও পর্ষদে পছন্দের লোক বসিয়ে লুটপাট করা। বিএনপি আগের বার ক্ষমতায় এসে এটি তুলে দিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা এটি আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবার এটি বিলুপ্ত করবে।আর্থিক খাতে সংস্কার করা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংককে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। শুধু স্বায়ত্তশাসন যথেষ্ট নয়, পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। এ ছাড়া বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সংস্কার করা হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেছেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ইকোনমিক রিফর্ম সামিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই ভাগ করে কী...
    ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো সংযোগগুলোর একটি। আধুনিক সীমানা নির্ধারণের বহু আগে থেকেই দুই দেশ বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের মাধ্যমে যুক্ত ছিল। কিন্তু ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে কখনো বিভিন্ন সাম্রাজ্যের দখলদারির কারণে, কখনো ভারত-পাকিস্তান ভাগের কারণে, কখনো শীতল যুদ্ধের বৈশ্বিক ব্লক পলিটিকসের কারণে এ সম্পর্ক চাপে পড়েছে। এখন এ সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে আছে নতুন ভূরাজনৈতিক সমীকরণের কারণে। তবে এর মধ্যেও দুই ভূখণ্ডের সম্পর্ক কখনোই পুরোপুরি ভেঙে যায়নি; বরং তা নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেকে নতুনভাবে সাজিয়ে নিয়েছে। চলতি অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির দিল্লি সফর তারই একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ। এ সফর দেখাচ্ছে, পুরোনো ঐতিহাসিক সম্পর্ক হারিয়ে যায়নি; বরং অঞ্চলের অনিশ্চিত ও পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যেও ভারত-আফগানিস্তান আবার সম্পর্ক পুনর্গঠন করছে এবং সেটিকে নতুন রূপে...
    জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষে মত জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এমন কোনো পদ্ধতির মধ্যে যেন না যাওয়া হয়, যা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারির দাবির প্রেক্ষাপটে আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণ অধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জনগণের কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার (সাংবিধানিক ক্ষমতা) গণভোটের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে বলেই সংসদ এর বাইরে যেতে পারবে না। এখন যদি আবেগপ্রবণ হয়ে রাজনৈতিকভাবে গণভোট করার জন্য বাক্য ব্যয় করা হয়, বিভিন্ন আদেশ কার্যকর করা হয়, তাহলে এগুলো নিয়ে সামনে প্রশ্ন উঠতে পারে। সেটা না করে সবার ঐক্যের ভিত্তিতে যাতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’বিএনপিসহ...
    সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল যেন দুই মেরুর টানাটানিতে পরিণত হয়েছে। একদিকে রয়েছে নিউ লেফট বা নতুন বামপন্থী চিন্তাধারা। এই চিন্তাধারার প্রতিনিধিত্ব করছেন যোগেন্দ্র যাদবের মতো বুদ্ধিজীবীরা। তাঁরা দাবি করছেন, নিম্নবর্ণ ও বঞ্চিত শ্রেণির সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষোভই রাজনীতির মূল ভিত্তি হওয়া উচিত।অন্যদিকে রয়েছে ডানপন্থী সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ—রাম মাধবের মতো চিন্তকদের বয়ানে যার মূল সুর হচ্ছে হিন্দুত্ব, সভ্যতার গৌরব ও সংস্কৃতিনির্ভর জাতিসত্তা।দুদিকেই রয়েছে জোরালো বয়ান, প্রবল যুক্তি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভারত কি অনন্তকাল এ দুই চরমের দোলাচলে দুলতেই থাকবে? নাকি, তৃতীয় এমন কোনো পথ আছে, যা দুই দিকের চরমপন্থী শক্তিকে সংযত করে তাদের সীমা লঙ্ঘন থেকে মুক্ত একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নিয়ে যেতে পারে?আমার মনে হয় আছে। সেই পথ হলো ‘র‍্যাডিক্যাল সেন্ট্রিজম’ বা ‘কট্টর মধ্যপন্থা’।র‍্যাডিক্যাল সেন্ট্রিজম কোনো কুসুমকোমল আপসনীতি নয়; বরং এটি সাহসী...
    বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগের জগতে ঘটছে এক বড় প্রজন্মগত পরিবর্তন। এর নেতৃত্ব দিচ্ছে জেন–জি (জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২) ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের (জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬) বিনিয়োগকারীরা। বিশেষত্ব হলো, তাঁরা বিনিয়োগ শুরু করছেন কম বয়সে; নিয়মিত ঘেঁটে দেখছেন পোর্টফোলিও। সেই সঙ্গে আগের যেকোনো প্রজন্মের তুলনায় তাঁরা বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়ছেন আরও দ্রুতগতিতে।এই পরিবর্তনের সবচেয়ে স্পষ্ট চিত্র দেখা যাচ্ছে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে। সেখানে তরুণ, শিক্ষিত ও সম্পদশালী জনগোষ্ঠীর দ্রুত বিস্তারের কল্যাণে পুরো আর্থিক দৃশ্যপট নতুন রূপ নিচ্ছে।এই পরিবর্তনের মূল কারণ এই প্রজন্মের বিনিয়োগ বিষয়ক মানিসকতার ভিন্নতা। বেবি বুমার (জন্ম ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সাল) প্রজন্ম যেখানে অবসর, মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষা বা ভবিষ্যতের নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে বিনিয়োগ করত, সেখানে নতুন প্রজন্মের লক্ষ্য অনেক বেশি তাৎক্ষণিক ও গতিশীল।নতুন প্রজন্ম বিনিয়োগ করছে নতুন আয়ের উৎস তৈরির জন্য—ভ্রমণ, পরিবারের...
    শিরোনামটি বাংলাদেশের আপামর জনগণের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার প্রতিফলন বললে খুব একটা ভুল হবে না। আপাতদৃষ্টে মনে হতে পারে, এ আর এমনকি! কিন্তু এই কথার মর্মার্থ অনেক গভীর। বিআইজিডির ‘দুর্দিনের ডায়েরি’ নামক গবেষণায় উঠে আসে যে করোনা মহামারির পরে যাঁরা নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন, তাঁদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভের একটি কৌশল ছিল রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ভাতা, অনুদান, সুলভ মূল্যে পণ্য ক্রয় ইত্যাদি সেবা নেওয়া। এই সেবা নেওয়া প্রক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশজুড়ে ছিল রাজনৈতিক যোগসূত্রতা। নতুন দরিদ্র কিংবা হতদরিদ্র, সবাই এই রাজনৈতিক যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। এর বিপরীতে অনেকে আবার সরকারি সহায়তার রাজনৈতিক বণ্টন নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, এই গবেষণার সময় ছিল ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে।২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিআইজিডি এবং...
    বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ফলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাড়িভাড়া আরও সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ আগামী জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ পাবেন। তবে কারও বাড়িভাড়া দুই হাজার টাকার কম হবে না।মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে ঢাকায় আন্দোলন করে আসছিলেন বেসরকারি...
    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একইসাথে তিনি আশাবাদী যে তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে অবদান রাখবেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানায়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইসঙ্গে, আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাড়ি ভাড়া আরো সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরো পড়ুন: জুবায়েদ হত্যা: ২৫ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা, ১৯ অক্টোবর বাস্তবায়ন জোবায়েদ হত্যা: ছাত্রী বর্ষাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষা...
    মল্লিকাদি’রূপী ফরিদা পারভীন যে আরেকটা পরিচয়ে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকতায় পৌঁছেছেন সেটা আমরা আবিষ্কার করলাম ধীরে ধীরে। কৈশোরে এসে আমাদের কাছে উন্মোচিত হলো―বিস্ময়, গর্ব ও গৌরবের অন্য এক অধ্যায়। কুষ্টিয়াকে বলা হয় লালনের পুণ্যভূমি। কিন্তু সেই অর্থে তিনি সর্বজনে পরিচিত ছিলেন না। আদৃত হতেন না নাগরিক জীবনের কোথাও। লালনের গানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলা হতো ‘ফকির-ফাকরার গান’।  শিষ্যরা পরিচিত ছিলেন আখড়ার ফকিররূপে। সমাজের ওপরতলার মানুষের চশমায় ওদের দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল গঞ্জিকাসেবনকারী, নেশাখোর-অভব্য বলে। শুধু কি তাই? এমন কথাও চাউর ছিল যে, ওখানে গেলে জাত খোয়াতে হয়। ধর্ম নাশ হয়। সমাজচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ ওটা নাকি অসামাজিক মানুষের সংঘ, আখড়া। ওরা নাস্তিক, বিধর্মী, বিপথে যাওয়া মানুষ। ওরা হঠকারী, সমাজ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এক কথায় সমাজের কর্তাবাবুরা যা কিছু মন্দ, যা কিছু...
    দিনাজপুর শহরের গুঞ্জাবাড়ি এলাকার দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটের বাস্তবতা একই সঙ্গে অনুপ্রেরণা এবং হতাশা তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক রাবেয়া খাতুন ৩৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাওয়াদাওয়া, গোসল, পড়ালেখা, ঘুম—সবকিছু্ই দেখভাল করছেন। কিন্তু এর বিনিময়ে সরকারি কোনো বেতন পান না। শুধু তিনি নন, অন্য শিক্ষকদেরও একই অবস্থা। এটি রাষ্ট্রীয় অবহেলার নমুনা ছাড়া আর কী হতে পারে?প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়েছিল স্থানীয় মানুষের উদ্যোগ ও বদান্যতায়। ১৯৮৯ সালে শুরু করে স্থানীয় দান ও তৎকালীন রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠানটি একসময় পাঁচতলা ভবন, স্কুল ভ্যান সার্ভিস, কম্পিউটার শিক্ষা ও সেলাই প্রশিক্ষণের মতো কার্যক্রম নিয়ে উত্তরাঞ্চলের বাক্‌ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের আশা ও ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। ভবনের দরজা ভাঙা, কক্ষগুলো জরাজীর্ণ, দ্বিতীয় তলার কক্ষে ১০টি কম্পিউটার...
    জন্মদাগ কখনো মুছে ফেলা যায় না। মুছে ফেলতে পারেন, যদি জন্মদাগ থাকা অঙ্গটাই ফেলে দেন। সেটা কি কেউ ফেলে?মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম তার ‘জন্মদাগ’ নিয়েই ভুগছে। সেই দাগ কালো মাটির উইকেট। তবে কালো মাটির বলেই যে এই উইকেট নিয়ে এত নেতিবাচক আলোচনা, বিষয়টি তা নয়। সমস্যা অন্য জায়গায়। এককথায় বললে বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই এক অপ্রিয় বাস্তবতা সেটি। সেদিকে তাকানোর আগে চলুন একটু ঘুরে আসা যাক শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্মলগ্ন থেকে।ক্রিকেট এল মিরপুরেফুটবলের সঙ্গে অনেক লড়াই-বিবাদের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিরপুর স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটের জন্য বরাদ্দ দেয়। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে এ মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছে। তার আগে প্রায় দেড় বছর ধরে চলেছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।এক সকালে গিয়ে দেখা গেল, মাঠের একেবারে মাঝখানে বিশাল আয়তাকার গর্ত। চারদিকে বাউন্ডারি ওয়ালের মতো ইটের গাঁথুনি আউটফিল্ড থেকে...
    মার্টিন হাইডেগারের মতে, ভাষা কেবল মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যম নয়, একই সঙ্গে তা জগতে মানুষের অস্তিত্বের বাস্তবতা নির্মাণে জরুরি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠে, মানুষের অস্তিত্ব ব্যাপারটি কেমন তাহলে, যদি তা ভাষার ভেতর দিয়েই নির্মিত হয়? মানুষের অস্তিত্ব মূলত দুই রকম—ভাবগত আর জৈবিক ও পরিপ্রেক্ষিতগত বিবেচনায় বস্তুগত। বস্তুগতভাবে মানুষের জীবন বাঁচিয়ে রাখার বিষয়টিই সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে; কিন্তু ভাবজগতও বস্তুজগতের সঙ্গী; অর্থাৎ ভাবজগতের ধারণাসমূহও মানবকেন্দ্রিক দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতগত দিক থেকে উৎসারিত হয়। তা ছাড়া এসব ধারণা এককভাবে ভাবগত; অর্থাৎ বিমূর্ত হলেও বিচিত্র ধরনের নৈর্ব্যক্তিক বস্তুদৃঢ়তার ওপর ভিত্তি করেই তার নির্মাণ হয়। তাই ভাষা ও ভাবজগৎগত ভাব সঞ্চারণের জন্য পরিপ্রেক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।এতগুলো কথা বলা হলো লালন শাহর গানের ভাষা ও ভাষায় বিধৃত ভাবজগতের পরিপ্রেক্ষিত অনুসন্ধানের জন্য। তাঁর গানের ভাষা নির্মাণের আলোচনায়...
    সরকার সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়ি ভাড়াসহ শিক্ষকদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকার শ্রদ্ধাশীল ও সংবেদনশীল।নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী বছর আরো সম্মানজনক একটি কাঠামোর দিকে এগোনোর সুযোগ তৈরি হবে।” আরো পড়ুন: ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, যান চলাচল বন্ধ রাজশাহীতে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব রেহেনা পারভীনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, “শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রাণ। শুরু থেকেই আমি শিক্ষকদের বেতন, প্রশিক্ষণ ও মর্যাদা...
    শূন্যতা মানুষকে নতুন রূপে গঠনের সুযোগ এনে দেয়। স্বাধীনতা-উত্তর নতুন বাংলাদেশ গঠনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে সেটা বারবার পরাভুত হয়েছে। দেশ গঠনের স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক আমলে নিলে বলতে হয়, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কবি-জন্ম অস্থির আর পিচ্ছিল সময়ে। ফলে দেখা যাবে রাজপথ থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে কিংবা অবক্ষয়ী ক্ষমতা বদলের লড়াই থেকে কবিতার ভাষা নির্মাণে শূন্যতার বিপরীতে রুদ্রর কবি-জন্মে এক লৌকিক উচ্চকিত স্বর। অনমিত স্বরের কারণে কেউ কেউ রুদ্রকে ‘স্লোগানের কবি’ বলে বাতিল করতে চান। বস্তুত কবিতা স্বাপ্নিক আকাঙ্ক্ষার ভাষা হয়ে উঠলে স্লোগান কিংবা প্রবাদে রূপান্তরিত হয়। ফলে ‘স্লোগান হলে কবিতা ক্লিশে হয়ে যায়’—তর্কটি পুরোনো ও ক্লিশে। এমন চিন্তা কিছুটা পশ্চাৎপদ। মানুষ বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে ভবিষ্যত নির্মাণ করতে পারে না। সেটা সম্ভবও নয়। কবি হিসেবে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ...
    শ্যাতো দ’ইকেম ২০১০—এই পানীয়ের এক বোতল যেন বিলাসিতার সংজ্ঞা। এতে আছে খুবানি, টোস্ট করা বাদাম, লেবুর খোসা, রসালো লেবু আর সাদা ট্রাফল—সব মিলিয়ে স্বাদ-গন্ধের নিখুঁত সমারোহ।অনেক দিন ধরেই বিশ্বের এই সেরা মিষ্টি ওয়াইনটির দাম বেড়েছে। ২০২৩ সালে এসে এর দাম ছিল ২০১০–এর দশকের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। তখন কেবল ওয়াইন নয়—বিলাসিতা মানেই ছিল বাড়তি মূল্য। পুরোনো গাড়ি, পুরোনো হুইস্কি, বিশাল অট্টালিকা—সবকিছুর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পদবিষয়ক প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাঙ্কের তৈরি ‘লাক্সারি ইনভেস্টমেন্ট ইনডেক্স’ প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।কিন্তু হঠাৎ করেই যেন দৃশ্যপট বদলে গেল। ২০২৩ সালের শীর্ষ থেকে ওই সূচক এখন ৬ শতাংশ কমেছে। বোর্দোর বিখ্যাত ওয়াইন যেমন লাফিত রথচাইল্ড ও মারগোর দাম কমেছে ২০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত জেট ও বিলাসবহুল নৌকার দাম কমেছে...
    প্রপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন বা পদ্ধতি বাংলাদেশে বর্তমানে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ছোট-বড় প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই পিআর পদ্ধতির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ও জনমত গঠনের প্রচেষ্টা চোখে পড়ার মতো।বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা যত পুরোনো, ততই নতুন করে বারবার আলোচনার টেবিলে ফিরে আসে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব। তবে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে এবারই সর্বোচ্চ আলোচনায় রয়েছে পিআর পদ্ধতি।দেশের একশ্রেণির রাজনীতিবিদের দাবি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংখ্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে ছোট দলগুলোকেও প্রতিনিধিত্বের সুযোগ তৈরি করে দেবে এবং নির্বাচনী রাজনীতিকে আরও যুগোপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলবে। তাঁদের দাবি, দলীয় স্বৈরতন্ত্রের লাগাম টেনে ধরে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনকাঠামোর বিকল্প নেই।আরও পড়ুনবাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন কতটা...
    এক সংযোগের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগের একাধিক সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।সেবাগুলোর মধ্যে আছে মোবাইলে ভয়েস, ডেটা, উচ্চগতির ইন্টারনেট ও স্ট্রিমিং। বিটিসিএল এই সেবাগুলোকে নাগরিকের হাতের মুঠোয় আনতে চায়।কিন্তু বিটিসিএল এমভিএনও, ট্রিপল প্লে ও কোয়াড প্লের মতো যেসব সেবা চালু করতে চাইছে, তার জন্য এখনো কোনো নির্দেশিকা (গাইডলাইন) নেই। তা ছাড়া এসব সেবা দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন আছে বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও।বিটিসিএলের এসব উদ্যোগের কথা ফেসবুকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ট্রিপল প্লে ও কোয়াড প্লে নিয়ে আসছে বিটিসিএল। এতে মোবাইল ভার্চ্যুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটর (এমভিএনও), মোবাইল সিম, আলাপ ও জিপন সেবা থাকবে। পাশাপাশি...
    সৃজনশীল সাহিত্য, বিশেষত ছোটগল্প দ্বিবিধ প্রক্রিয়ায় রচিত হয়, বানিয়ে ও ঘটিয়ে। বানিয়ে তোলা ছোটগল্পের আবেদন অপ্রতুল। ধ্রুপদী সাহিত্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক সাংঘর্ষিক না হলেও প্রীতিপ্রদ ও টেকসই নয়। অপরদিকে, ঘটিয়ে তোলা ছোটগল্প পাঠককে ঘটনার সাথে একাত্ম করে নিবিড় পর্যবেক্ষক কিংবা সহযাত্রীতে রূপান্তর করে। ঘটিয়ে তোলা কৌশলের অর্থবহ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রক্ষিত হয়, সাহিত্যের শিল্পমান। প্রশ্ন হলো, এই বিষয়ে অবতারণা কেন? আর তার শানেনযুলই বা কী?  সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্প পাঠান্তে বানিয়ে তোলা ও ঘটিয়ে তোলার প্রসঙ্গ হাজির হয়েছে। তাঁর গল্প মূলত: ঘটিয়ে তোলা পদ্ধতির আশ্রয়ে রচিত। তিনি জ্ঞাত হোক কিংবা অজ্ঞাতসারে এ পদ্ধতির যথার্থ ও স্বার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। যা এই সময়ের গল্পভুবনের বাইরে স্বাতন্ত্র্য এক সত্তায় উদ্ভাসিত হয়েছে পাদপ্রদ্বীপের আলোয়। ছোটগল্পের সারাৎসার বলতে প্রচলিত ও অর্থবহ যে ধারণা, বোধ...
    বাংলাদেশে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কতটা প্রাসঙ্গিক আছেন আজও? মানে একাডেমিয়ার চোখে নয়, পাঠকের চোখে, তার সমসাময়িক যেকোনো লেখকের তুলনায়। ‘লালসালু’, ‘কাঁদো নদী কাঁদো’, ‘চাঁদের আমাবস্যা’ বা ‘বহিপীর’—এসব বই যদি এখনো সাহিত্য পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখে, তা কেন রেখেছে?ওয়ালীউল্লাহর রচনা নিয়ে অনেক রকমের আলাপ চালু আছে বাজারে। গবেষকেরা করেন সেই আলাপ। পাঠচক্রগুলোয় হয় কথাবার্তা। কয়েক প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা তাঁর লেখা পড়ে চলেছেন পরীক্ষা পাসের জন্য। এসব সত্ত্বেও ওয়ালীউল্লাহ পাঠ্যপুস্তকের বর্ণহীন জগতে লুপ্ত হননি বোধ করি। এদিক থেকে একাডেমিয়ায় জায়গা পাওয়া আর যেকোনো লেখকের তুলনায় তিনি ভাগ্যবান। এই প্রাসঙ্গিকতার অনেক কারণ আছে। যেমন প্রথম কারণটি একই সঙ্গে ক্লিশে ও তার অ্যান্টিডোট দুইই।এ সময়ের গড় পাঠক ও তরুণদের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে একবিংশ শতাব্দীতে লেখকের সমাজসচেতনা, সমাজের প্রতি দায়, ভাষা ও টেকনিকের নিরীক্ষা এসবের...
    ২০২২ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘শাটিকাপ’ বানিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন রাজশাহীর তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। অপেশাদার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে নির্মিত সিরিজটি দেখে দর্শকেরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। বছর দুয়েক পর ২০২৪ সালে নির্মাণ করেন আরেক সিরিজ ‘সিনপাট’। সিরিজ বানিয়ে ওটিটিতে নিজের ভিত শক্ত করেছেন তাওকীর। বেশ কয়েকটি পুরস্কারও ঝুলিতে ভরেছেন এই তরুণ নির্মাতা।এবার ক্যারিয়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নিয়ে আসছেন তাওকীর, নাম ‘দেলুপি’। সিনেমার দৃশ্যধারণ শেষ, এ বছরই মুক্তির পরিকল্পনার কথা রয়েছে। সিনেমার নামকরণ নিয়ে তাওকীর জানান, ‘দেলুপি’ নামটি এসেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়ন থেকে। সেই অঞ্চলের মানুষের জীবন, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাল্পনিক বাস্তবতা হিসেবে দেলুপির গল্প লেখা। যা শুধু এই অঞ্চলের নয়; বরং একই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারবে। সিনেমার শুটিং...
    তীব্র গ্যাস–সংকটের কারণে সার কারখানাগুলো যখন সক্ষমতার ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে, তখন এ খাতে গ্যাসের দাম এক ধাপে ১৬ টাকা থেকে প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করার সুপারিশ কোনো বিবেচনাতেই যৌক্তিক হতে পারে না। কারণ, এর প্রভাব শুধু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এতে নিশ্চিত করেই সারের দাম বাড়বে এবং কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। টানা মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে এবং জীবনযাত্রায় নানা সংকট তৈরি হচ্ছে, সে সময়ে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সেটা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’–এর মতোই হবে।প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, সোমবার সার কারখানায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে শুনানি করে বিইআরসি। পেট্রোবাংলা ও ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়। শুনানিতে বেশির ভাগ আমন্ত্রিত সংগঠন অনুপস্থিত ছিল না। সারের দাম...
    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক তিয়ানজিন সফর ছিল সাত বছর পর তাঁর প্রথম চীন সফর/। তিনি সেখানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নেন। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদির উপস্থিতি একধরনের বহুরৈখিক সংহতির ছবি তুলে ধরে। এই ছবি দেখে মনে হতে পারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে অস্বস্তিতে ফেলতে পরিকল্পিতভাবে সব সাজানো হয়েছিল।কিন্তু এই রাজনৈতিক প্রদর্শনীর আড়ালে লুকিয়ে আছে আরও জটিল বাস্তবতা। আর সেই বাস্তবতাকে ভারতের অত্যন্ত সতর্কতা ও সুস্পষ্ট কৌশলের সঙ্গে মোকাবিলা করা জরুরি।আসলে মোদির এই সফর ছিল একধরনের কূটনৈতিক পুনর্মিলনের ইঙ্গিতবাহী বার্তা। প্রায় এক ঘণ্টার সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে মোদি ও সি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে এবং হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী দেবতা শিবের তীর্থস্থান কৈলাস–মানস সরোবরে যাত্রা আবারও চালু...
    বর্তমান বিশ্বে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’ শব্দটি এমনভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যেন এটি জীবনের সব সমস্যার একমাত্র সমাধান। বিজ্ঞাপন, স্বাস্থ্যপণ্য, এমনকি অনেকে চিকিৎসা পরামর্শেও একে ক্যানসার প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিজ্ঞানের কঠোর পরীক্ষায় এ ধারণা টিকে নেই। বাস্তবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একটি সাধারণ রাসায়নিক ধারণা। এটি এমন উপাদানকে বোঝায়, যা শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকাল বা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ক্যানসার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করার সমার্থক নয়। আরো পড়ুন: কত বছর বয়সের পরে মেরুদণ্ডের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে? গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি মানবদেহের প্রতিটি কোষে শ্বাস-প্রশ্বাস, শক্তি উৎপাদন ও অন্যান্য বিপাকীয় কার্যক্রমের ফলেই কিছু ফ্রি র‍্যাডিকাল তৈরি হয়, যা অতিরিক্ত হলে কোষের ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য দেহে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে।...
    সপ্তাহে কত দিন কাজ করা কর্মী ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য ভালো—চার দিন, পাঁচ দিন নাকি ছয় দিন? এটা নিয়ে নানা মত রয়েছে। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান পাইলট প্রকল্প আকারে, আবার কেউ কেউ স্থায়ীভাবে চার দিনের কর্মসপ্তাহ শুরু করেছে। কেউ এর পক্ষে, কেউ এর বিপক্ষে। চার দিনের কর্মসপ্তাহ আসলে স্বপ্ন, বাস্তবতা নাকি অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি—এটা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়নস (এসিটিইউ) চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালুর প্রস্তাব করার পর শুরু হয়েছে এই বিতর্ক। সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমিয়েও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যায়, এমন ধারণা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও দ্বিমত রয়েছে দেশটির ব্যবসায়‍ীদের মধ্যে। চারদিনের অফিসে কর্মী। ইংল্যান্ডের ছবিটি সম্প্রতি তোলা।
    বাংলাদেশের সমাজে একটি দীর্ঘমেয়াদি অথচ পরিচিত সমস্যা হলো- প্রবীণ সমস্যা। প্রবীণ বা বার্ধক্য একটি জটিল ও বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা, যা ব্যক্তিজীবন, পরিবার, গ্রাম, শহর, উন্নত, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত সব অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানো ও তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যিকার অর্থে একটি জাতির উন্নয়নের প্রকৃত মাপকাঠি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নয়, বরং তা নির্ধারিত হয় সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তার দায়িত্ববোধ থেকে। আরো পড়ুন: আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই: আসিফ নজরুল টিসিবির পণ্য তালিকায় যোগ হবে চা, লবণ, ডিটারজেন্ট ও সাবান  জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের তথ্য (২০২৪) অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার...
    খাগড়াছড়ির সহিংস ঘটনার পেছনে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) হাত রয়েছে— এমন ইঙ্গিত করে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘‘খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানারে যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের ৬ নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা প্রত্যেকে ইউপিডিএফের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের অপরিপক্ক আন্দোলনের কারণে খাগড়াছড়িতে এমন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। ফলে আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিয়েছে। আন্দোলন একটি ইস্যুতেই থাকা উচিৎ।’’ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাঙামাটি শহরের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।  আরো পড়ুন: গোপালগঞ্জের ঘটনায় সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করবে: সেতু উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতার বিষয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য নাকচ ভারতের পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘‘পাহাড়িরা সব সময় একটি স্লোগান দেয় পাহাড় থেকে ‘সেনা হঠাও’।...
    খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণসহ সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির নেতারা বলেছেন, সরকারের চরম উদাসীনতায় পার্বত্য অঞ্চল থেকে সমতল পর্যন্ত গোটা দেশ নারী, এমনকি শিশুদের জন্যও আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিপিবি এসব কথা বলেছে। বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন অবিলম্বে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদকারীদের আটক ও নির্যাতনের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।সিপিবি নেতারা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো তাদের শপথ রক্ষা করবে ও পেশাদারত্ব বজায় রাখবে—এটাই দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। তাই প্রতিবাদ দমনের পরিবর্তে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখতে হবে। আর এটি নিশ্চিত করার...
    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “বাংলাদেশে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট (কঠিন)। পার্টিকুলারলি যেই অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশ যাচ্ছে, তাতে কাজ আদায় করে নেওয়া কঠিন। কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুব সুবিধা, আর বেশিরভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে আমরা এখন এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি।” শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন এ এম এম নাসির উদ্দিন। আরো পড়ুন: কোনো দলের পক্ষে কাজ করা যাবে না: সিইসি প্রবাসী ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে: সিইসি  নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন আরো বলেন, “আপনারা ওয়াদা করেছিলেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং প্রফেশনালি কাজ করবেন। আইন মেনে কাজ করবেন।” ...
    ‘বয়স বাড়ছেআমাকে ফিরিয়ে দাও শৈশবের তারাগুলোযেন আমি বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পাইতোমার কাছে ফিরে আসি পরিযায়ী পাখিদের সঙ্গে উড়ে... ’(‘আমার মায়ের প্রতি’, মাহমুদ দারবিশ, জোসেফ মাসেদের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় তর্জমা: মাজহার সরকার)একজন নির্বাসিত লেখকের যন্ত্রণা এবং মা ও মাতৃভূমির কাছে ফেরার আকুতি ওপরের পঙ্‌ক্তিগুলোয় গভীরভাবে টের পাওয়া যায়। ফিলিস্তিনের আল-বিরওয়া গ্রামে ১৯৪১ সালে জন্ম নেওয়া বিশ্বখ্যাত কবি মাহমুদ দারবিশ অন্য ফিলিস্তিনিদের মতোই ইসরায়েলি দখলদারত্বের ত্রাসে বাস্তুচ্যুত হন। ১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েলি সৈন্যদের নির্মম বর্বরতা নেমে আসে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর। জোর করে দখল করে নেওয়া হয় তাদের নিজস্ব ভূমি, জায়গা-জমি; ধ্বংস করে দেওয়া হয় ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। খোদ জাতিসংঘের হিসাবেই প্রায় ৯ লাখ ফিলিস্তিনি মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়।মাহমুদ দারবিশের শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় গ্রামও এ আক্রমণ থেকে রেহাই...
    দেশের আর্থিক খাতের পরিসর ছোট—এই নিয়ে অর্থনীতিবিদদের ওজর-আপত্তি অনেক দিনের। আর্থিক খাত বলতে আছে কেবল ব্যাংক। শেয়ারবাজারের অবস্থা এতটা করুণ, অনেক মানুষ সেখানে যাওয়ার সাহসই পান না। বন্ডের বাজার মূলত সরকারি। বিশেষ করে সঞ্চয়পত্র। বেসরকারি বন্ডের পরিসর আরও ছোট।এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, সঞ্চয়পত্র ট্রেডেবল বা লেনদেনযোগ্য করা দরকার। সন্দেহ নেই, আর্থিক খাতের পরিসর বড় করার লক্ষ্যে এ কথা বলেছেন তিনি।সঞ্চয়পত্রও একধরনের বন্ড। বন্ড হলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের প্রতিশ্রুতিপত্র; কিন্তু এই শর্তের নিরাপত্তার ধরন বিভিন্ন। অনুন্নত দেশে যেখানে বন্ড বাজার চালু নয় কিংবা এখনো অতটা বিকশিত হয়নি, সেখানে মূলত সরকার বন্ড ইস্যু করে থাকে। তাকে সরকারি বন্ড বলে। যুক্তরাষ্ট্রে একে বলে ট্রেজারি বন্ড। সরকারি বন্ডের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি বলে এতে প্রদেয় সুদহার বা কুপন রেট সাধারণত...
    চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। জনগণের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়, দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা ভেঙে রাষ্ট্র গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন কতটা ঘটছে? আজও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান হচ্ছে না। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ বাস্তবতারই প্রতিফলন ঘটেছে।জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬০তম অধিবেশনে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখনো মতপ্রকাশ ও তথ্যের স্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষিত নয়। বিশেষ করে নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ, যেমন সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল করা হলেও নতুন খসড়া আইনগুলোর মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিসর আবারও সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।এসব আইন প্রণয়নের ফলে সাধারণ নাগরিকের বাক্‌স্বাধীনতা...
    শিরোনাম পড়ার সাথে সাথে পাঠকের উল্টোও মনে হতে পারে— কেন এলিয়ট পড়ব না? একবিংশ শতাব্দীতে তিনি কি অপ্রাসঙ্গিক? আমাদের বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তিনি কি সাহিত্য সমাজের কাছে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছেন? T S Eliot at 101 প্রবন্ধে আমেরিকার কথাসাহিত্যিক সিনথিয়া ওজিক যখন বলেন, ‘প্রতিক্রিয়াশীল এলিয়টকে অস্বীকার করা এখন আমাদের আবশ্যিক কর্তব্য‘, তখন কি আমাদের সবার মতামত ওজিকের অনুগামী হয়? এই আহ্বানের পর ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে। এলিয়টকে সেভাবে বর্জনের সুনির্দিষ্ট কোনো আলামত লক্ষ্য করা গেছে কি? অ্যান্থনি জুলিয়াস কিংবা হ্যারল্ড ব্লুমরাও এলিয়টের তীব্র সমালোচক ছিলেন। ব্লুমতো ওয়ালেস স্টিভেন্সকে এলিয়টের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছেন। কিন্তু শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রে কখনোই একজন আরেকজনের বিকল্প হয়ে ওঠেন না। এলিয়টকেও তাই অন্য কোনো সাহিত্যিক দ্বারা প্রতিস্থাপন করা যায়নি; সম্ভব ছিল না।  শতবর্ষ আগে...
    নাওমি শিহাব নাই (জন্ম: ১২ মার্চ ১৯৫২) সমকালীন আমেরিকান কবিতার উল্লেখযোগ্য নাম। একই সঙ্গে নাওমি শিশুদের জন্য সাহিত্য রচনা করেন এবং কবিতার বই সম্পাদনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। পিতা ফিলিস্তিনের আর মা আমেরিকার। পিতার সূত্রে জীবনের একটি অংশ তিনি জেরুজালেমে কাটিয়েছেন। আর মায়ের সূত্রে কাটিয়েছেন টেক্সাসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি থিতু হয়েছেন আমেরিকায়।নাওমির কবিতার বৈশিষ্ট্য তাঁর ঘটনাবহুল জীবনের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। পিতা-মাতার সূত্রে নির্বাসন ও অভিবাসন—এই দুই বিষয় নাওমির জীবনের ক্রূর বাস্তবতা। এই বাস্তবতায় শুরু থেকেই তিনি দুই ভিন্ন সংস্কৃতির ভেতর বড় হয়েছেন। এ কারণে দুই দিক থেকে প্রাপ্ত জীবনবাস্তবতা, বহুসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞতা নির্মিত বোধ, নির্বাসন আর অভিবাসনের বেদনা এবং মানবতার এক সর্বজনীন অভিব্যক্তি তাঁর কবিতায় লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া প্রাণী ও মানুষের বৈশিষ্ট্য এবং সম্পর্ক—এই দুইয়ের সমন্বয়ের বাস্তবতা কেমন...
    বাংলাদেশে রাজনীতির আলোচনায় ‘হাইপ’ (অতি উচ্ছ্বাস) তৈরি হওয়া নতুন কিছু নয়। যখন কোনো বিষয় হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে, তখন আমরা সবাই এ ধরনের উচ্ছ্বাসে ভেসে যাই। কিন্তু উত্তেজনা কমে গেলে আমরা কয়জনই–বা ফিরে তাকাই, বাস্তবতার আলোকে বিষয়গুলো নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করি?মনে পড়ে, গত বছর কিছু মানুষের মধ্যে এক অদ্ভুত হাইপ তৈরি হয়েছিল—‘ড. ইউনূসকে আমরা পাঁচ বছর চাই।’ সে সময়কার উত্তেজনা, বিতর্ক আর রাজনৈতিক দলগুলোর বিভাজন কী ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, সেটা এখন অনেকেই নতুন করে বুঝতে পারছেন। অথচ তখন আমরা কেউই সেটাকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখিনি। এখন ফিরে তাকালে বোঝা যায়, হাইপের ঢেউ যত বড় হয়, বাস্তবতার ভিত ততটা মজবুত হয় না।সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনকে শুধু হাইপ দিয়ে দেখলে ভুল হবে। এই নির্বাচন সত্যিই কি ভবিষ্যতের জাতীয়...
    এলাকার ডাকসাইটে সুন্দরী ও করিতকর্মা নারী আম্বিয়ার বিবাহ। এই নিয়ে বচসা। পরীরদিঘির লোকজন চান, তরুণ মন্তু মিয়াই বিয়ে করুক। কিন্তু পাড়ার মোড়ল তিন স্ত্রীর স্বামী মকবুলের চাওয়া, বিবাহটা তিনিই করবেন।এই নিয়ে গন্ডগোল। একপর্যায়ে বিয়েই ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। শুধু যার বিয়ে সেই আম্বিয়া কাকে বিয়ে করতে চায়, সেই মতামতটাই নেওয়া হলো না।জহির রায়হানের যাঁরা পাঠক, তাঁরা নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন, কালজয়ী এই কাহিনি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের। বাস্তবে এই কাহিনি শুধু পরীরদিঘিরই নয়, এ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এটা পুরোপুরি মিলে যায়। এখন যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত না ধর্মীয়--কোন শিক্ষক বেশি দরকার, এই নিয়ে বেশ ভালোই বচসা চলছে, শুধু শিক্ষকদেরই বোধহয় মতামত নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের...
    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান। তাঁর মতে, এ পরিবর্তনের প্রথম ধাক্কা আসবে গ্রাহকসেবা খাতে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘দ্য টুকার কার্লসন শো’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অল্টম্যান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, বর্তমানে ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে যে বিপুল গ্রাহকসেবা দেওয়া হয়, তার একটি বড় অংশ শিগগিরই এআই আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করবে। ফলে এ খাতের অনেক কর্মী চাকরি হারাবেন।’অল্টম্যান মনে করেন, গ্রাহকসেবার পর প্রোগ্রামাররাও এআইয়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বলছে, গড়ে প্রতি ৭৫ বছরে চাকরির ধরনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে, প্রায় অর্ধেক চাকরি নতুনভাবে রূপান্তরিত হয়। তবে আমার ধারণা, এবার পরিবর্তনটা অনেক দ্রুত ঘটবে। একধরনের আকস্মিক ভারসাম্য বদলের মতো।’ তবে এই পরিবর্তন মানে মানুষের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি নয়। অল্টম্যানের মতে,...
    ‘বদ নজর’ ইসলামে একটি বাস্তব সত্য, যা মানুষের ঈর্ষা, হিংসা বা অতিরিক্ত প্রশংসার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করতে পারে। কোরআন ও হাদিসে বদ নজরের বাস্তবতা এবং এর থেকে সুরক্ষা লাভের উপায় উল্লেখ করা হয়েছে।তাই মুসলমানদের জন্য বদ নজর থেকে রক্ষার দোয়া ও আমল জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বদ নজরের বাস্তবতাআল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে, তারা যখন কোরআন শোনে তখন প্রায় তাদের দৃষ্টির দ্বারা তোমাকে পতিত করবে। আর তারা বলে: ‘সে তো অবশ্যই পাগল।’” (সুরা কলাম, আয়াত: ৫১)রাসুল (সা.) বলেছেন: “চোখ লাগা (বদ নজর) সত্য।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৮৮)আরও পড়ুনশিশুদের বদ নজর থেকে বাঁচাতে১৫ আগস্ট ২০২৫বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়ারাসুল (সা.) বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি প্রসিদ্ধ দোয়া হলো:১. বদ নজর থেকে শিশুদের রক্ষার দোয়ারাসুল...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) এবারের নির্বাচন এতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উত্তেজনাপূর্ণ হবে, তা ছিল অভাবনীয়। মূলত চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানই সেটি সম্ভব করেছে। একইভাবে নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের যে ভূমিধস বিজয়, সেটিও ছিল অভাবনীয়, অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিতও। নির্বাচনের দিন ও আগের দিন রাত পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে এবং ফলাফল ঘোষণার পর অনেকের প্রতিক্রিয়া দেখে, তেমনটিই মনে হলো।ডাকসু নির্বাচনে এবার রেকর্ডসংখ্যক ভোট গ্রহণও ছিল অভাবনীয়। শিবির–সমর্থিত প্যানেলের বিপক্ষে ছাত্রদল, বামপন্থী ও এনসিপি–সমর্থিত সংগঠনের প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচারণায় একটি বিষয় লক্ষণীয় ছিল, বেশিসংখ্যক ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করা। তাঁদের ধারণা ছিল, শিবির–সমর্থিত প্যানেলের ভোট ‘ফিক্সড’, মানে তাদের ভোটব্যাংক নির্দিষ্ট। সেটাকে ছাপিয়ে যেতে পারে বেশিসংখ্যক ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়েই।অবাক করা বিষয় হচ্ছে, শিবিরই বরং এটির সবচেয়ে বেশি সুফলভোগী হয়েছে। প্রাপ্ত ভোটে কয়েকটি...
    অংশগ্রহণকারীবদিউল আলম মজুমদারজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য;সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)সুকোমল বড়ুয়াঅধ্যাপক,পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মেঘনা গুহঠাকুরতাগবেষক ও সাবেক অধ্যাপক,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রফিকুল ইসলামসাবেক পরিচালক,ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশবিশপ ফিলিপ অধিকারীসভাপতি, ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশপ্রশান্ত ত্রিপুরাকান্ট্রি ডিরেক্টর, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টশুভ্র দেব করপরিচালক, সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর ফ্রিডম অব রিলিজিয়ন অর বিলিফ, বাংলাদেশরুমানা আমিনডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমজো ডিভাইনঅধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব বাথ, যুক্তরাজ্য ও গবেষকমাথিল্ডা মেট্রটগবেষক ও সিনিয়র লেকচারার, ইউনিভার্সিটি অব বাথ, যুক্তরাজ্যইলিরা দেওয়ানমানবাধিকার কর্মী           মোর্শেদ হোসেনকোঅর্ডিনেটর, শান্তি সহায়ক দল (পিএফজি), ফেনীনাজমুন নাহার নূপুরসদস্য, শান্তি সহায়ক দল (পিএফজি), লাকসামএস কে এ হাসিবকোঅর্ডিনেটর, শান্তি সহায়ক দল (পিএফজি) বাগেরহাটনরেন পাহানসদস্য, শান্তি সহায়ক দল (পিএফজি), নওগাঁজারিন মুনতাহাসদস্য, তরুণ শান্তিদূতদের দল (ওয়াইপিএজি), ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াফিরোজ চৌধুরীসহকারী সম্পাদক, প্রথম আলোআলোচনাবদিউল আলম মজুমদারজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য;সম্পাদক,...
    মার্কিন রাজনৈতিক পরিসরে যখন কেউ ফিলিস্তিনের মানবিক বিপর্যয়ের কথা তোলে, তখনই প্রশ্ন আসে, ‘৭ অক্টোবরের হামাসের বিষয়টা কী হবে?’ এ প্রশ্ন যেন একটি অস্ত্র, যা দিয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলা মানুষদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়, বিশেষত মার্কিন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। অথচ এর পাল্টা জবাব হতে পারে, ‘৬ আগস্টের বিষয়টা তাহলে কী হবে?’১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় প্রথম পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। তিন দিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দ্বিতীয় বোমা ফেলা হয়। এই দুই হামলায় আনুমানিক দুই লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল। এর আগেই ১৯৪৫ সালের মার্চে ‘অপারেশন মিটিংহাউস’ নামে পরিচিত ভয়াবহ অগ্নিবোমা হামলায় টোকিওতে কয়েক হাজার মানুষ মারা যান এবং এক মিলিয়নের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।আজ গাজার গণহত্যার সময় যে ‘সংখ্যার রাজনীতি’ আমরা দেখছি, তা এক...
    ক্ষমতা বিষয়টি নিছকই এক রাজনৈতিক বা সামাজিক কাঠামো নয়; এটি তীব্রভাবে শাসকের মনস্তত্ত্বের সঙ্গেও যুক্ত, যা শাসকের ব্যক্তিত্বের গভীরতম স্তরকে উন্মোচিত ও বিবর্ধিত করে। যখন একজন নেতার মনস্তত্ত্ব—তাঁর অন্তর্নিহিত আঘাত, তাঁর আত্মমগ্নতা এবং নিরাপত্তাহীনতা একটি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণ করতে শুরু করে, তখন রাষ্ট্র আর জনগণের থাকে না, হয়ে ওঠে সেই নেতার ব্যক্তিগত মনস্তাত্ত্বিক নাটকের মঞ্চ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনকালকে এই ভয়ংকর রূপান্তরের এক ‘পাঠ্যপুস্তকীয়’ উদাহরণ বললে ভুল বলা হবে না। রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিভিন্ন উদাহরণের আলোকে দেখা যাক, কীভাবে একজন নেতার মনস্তত্ত্ব একটি জাতিকে প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয়, সামাজিক বিভাজন ও চূড়ান্ত নৃশংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।আরও পড়ুনফ্যাসিবাদী শাসকের পতন হলেও ফ্যাসিবাদ যেভাবে থেকে যায়৩১ অক্টোবর ২০২৪‘লার্জার দ্যান লাইফ’ সিনড্রোমকর্তৃত্ববাদী শাসনের মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি হলো একটি ‘কাল্ট অব...
    জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে অর্থ ব্যবস্থাপনার চাহিদা ভিন্ন। শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত আমাদের আর্থিক বাস্তবতা, দায়বদ্ধতা ও আকাঙ্ক্ষা বদলায়। বাংলাদেশে যেখানে অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুযোগও বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনা ও অর্থ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনাকে একটি গাছের সঙ্গে তুলনা করা যায়, যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিকড় গড়ে, ডালপালা ছড়িয়ে পূর্ণতা লাভ করে। বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা যায়, তবে সারা জীবন আর্থিক নিরাপত্তা এবং মানসিক শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। চলমান বাস্তবতায় এটিকে সাতটি ধাপে ভাগ করে পরিকল্পনা করা যেতে পারে।আরও পড়ুনআর্থিক সাক্ষরতায় বাংলাদেশ কতদূর এগোল০৩ মার্চ ২০২৫প্রথম ধাপ (০-১৮ বছর): আর্থিক সাক্ষরতার ভিত্তিজীবনের শুরুতেই আর্থিক...
    সময়টা এখন পুরোপুরি ডিজিটাল। হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন, ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট—এই বাস্তবতা ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। দূরের মানুষকে কাছে টেনে আনা, কাজের গতি বাড়ানো, জ্ঞান আহরণের সহজ পথ তৈরি করা—এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে। তবে এই একই জীবন আমাদের সম্পর্কের ভেতর অদ্ভুত এক ফাঁকও তৈরি করছে। প্রশ্ন উঠছে—আমরা কি আসলেই কাছের মানুষকে কাছে পাচ্ছি, নাকি কেবল পর্দার ভেতরে হারিয়ে ফেলছি?সংযোগের নতুন দিকডিজিটাল জীবনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সহজ সংযোগ। প্রবাসে থাকা সন্তান প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনলাইনে হার্ভার্ডের লেকচার শুনছে, কিংবা চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা ফেসবুক পেজ থেকে পুরো ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলছে—এসব চিত্র এখন আমাদের কাছে সাধারণ।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, ২০২৫ সালের শুরুতে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩...
    রাজনৈতিক পদক্ষেপের তাৎক্ষণিক প্রভাবের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবটাই বেশি। খুব কমসংখ্যক দল কিংবা রাজনীতিবিদ এ বাস্তবতাকে মাথায় নিয়ে তাঁদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলে যাঁরা থাকেন, তাঁরা কখনোই দূরবর্তী ভবিষ্যতের কথা ভাবেন না। নগদ পাওনার কারবার করতে গিয়ে তাঁরা নিজের ও দলের পতন ডেকে আনেন, সমর্থক গোষ্ঠীকেও সংকটের মধ্যে ফেলে দেন। অতীত থেকে যে কেউ শিক্ষা নেন না—এ আপ্তবাক্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যতিক্রমহীনভাবে সত্য।সাম্প্রতিক ইতিহাস প্রমাণ দেয়, বাংলাদেশ গণ–অভ্যুত্থানের দেশ। প্রতিটি অভ্যুত্থানই এখানে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস মিইয়ে যেতেও খুব বেশি দেরি হয় না। দেখা যায়, জনগণের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভূতের মতো গেড়ে বসা প্রবল কোনো প্রতিপক্ষকে সরাতে পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে অনন্য ঐক্য তৈরি হয়। কিন্তু যে মুহূর্তে সেই প্রবল...
    দেশের একসময়কার ফুটবল–উন্মাদনা হারিয়ে গেলেও এ খেলায় নতুন এক জোয়ার এনেছেন নারী ফুটবলাররা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক সাফল্যের কাব্য লিখে চলেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রেখে তারা এখন এশিয়ার ফুটবল অঙ্গনে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এই সোনালি সাফল্যের আড়ালেই লুকিয়ে আছে এক চরম হতাশার গল্প। সাফল্যের বিপরীতে নারী ফুটবলারদের পরিচর্যার ঘাটতি বারবার সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। দেশের হয়ে সম্মান বয়ে আনা নারী ফুটবলারদের সামান্য পাওনাটুকুও মাসের পর মাস আটকে থাকছে। ম্যাচ ফি থেকে শুরু করে বেতন, পুরস্কারের টাকা—সবকিছুই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর দায়িত্বহীনতার বেড়াজালে আটকা পড়ে আছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যগুলো সত্যিই পীড়াদায়ক। একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আসা নারী ফুটবলাররা এখনো তাঁদের প্রাপ্য ম্যাচ ফি পাননি। যেখানে এক মিনিটের জন্য মাঠে...
    ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই ভারতের মিত্র। ইরান থেকে তেল কেনে ভারত, ইসরায়েল থেকে নেয় প্রযুক্তি। কিন্তু ইরান ও ইসরায়েল যখন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে, তখন কার পক্ষ নেবে ভারত? নাকি ‘নীরবতা’ বেছে নেবে? আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই জটিল আর ধূসর দুনিয়ায় আলো ফেলেছে অরুণ গোপালনের থ্রিলার সিনেমা ‘তেহরান’। জন আব্রাহাম অভিনীত থ্রিলারটি দর্শককে নিয়ে যায় এমন এক দুনিয়ায়, যেখানে নৈতিকতা ও বাস্তবতার মধ্যে সূক্ষ্ম সীমারেখা আঁকা হয়েছে। বাস্তব ঘটনার ছায়া ধরে তৈরি এই সিনেমা শুধু অ্যাকশন নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও মানবিক গল্পের উপাখ্যান।একনজরে সিনেমা: ‘তেহরান’ ধরন: স্পাই-থ্রিলার পরিচালনা: অরুণ গোপালন অভিনয়ে: জন আব্রাহাম, নীরু বাজওয়া, মানুষি ছিল্লার স্ট্রিমিং: জি-ফাইভ দৈর্ঘ্য: ১১৫ মিনিট ‘তেহরান’ সিনেমার গল্পের মূল উৎস ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে ঘটে যাওয়া একটি হামলা, যেখানে ইসরায়েলি কূটনীতিকের গাড়িতে বোমা...
    ‘কাজলরেখা’, সেই যে ময়মনসিংহ গীতিকার কাহিনি। রাজার শরীর থেকে প্রতিদিন একটি করে সুচ তুলে আনছিল সেই তরুণী। অবশেষে যেদিন রাজার চোখ থেকে সুচ তুলে নেওয়ার কথা, সেদিনই ঘটল বিপত্তি। কৌশলে দাসী এসে দখল করল কাজলরেখার স্থান।সংগ্রামী কাজলরেখাকে নিয়েই এবার শিল্পকর্ম করলেন দেশের নারী চিত্রশিল্পীরা। ‘কাজলরেখার দেশে’ নামে তাঁদের যৌথ শিল্পকলা প্রদর্শনী শুরু হলো গতকাল শনিবার ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কের সফিউদ্দীন শিল্পালয়ে।এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন গ্যালারিতে চলছে শিল্পকলার বিভিন্ন মাধ্যমের প্রদর্শনী। এতে আছে ভাস্কর্য ও আলোকচিত্র। শিল্পকলার এসব আয়োজনের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে ঋতুপ্রকৃতি, সামাজিক বাস্তবতা, মানুষের জীবনসংগ্রাম এবং শিল্পীর শিল্পবোধ ও উপলব্ধির নান্দনিক প্রকাশ।‘কাজলরেখার দেশে’প্রদর্শনী আয়োজন করেছে নারী শিল্পীদের সংগঠন ‘কন্যা’। এটি কন্যার দশম একক প্রদর্শনী। গতকাল সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী অধ্যাপক আবুল বার্‌ক্‌ আলভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা...
    বর্তমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে গেছে। বিশ্ববাণিজ্যে প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। তারা কেবল শুল্কহার বা বাণিজ্যচুক্তির মাধ্যমেই নয়, বরং ভূরাজনৈতিক কৌশল ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমেও বৈশ্বিক অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণ করছে।তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রভাব সব সময় অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন নয়; এর পেছনে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার, কৌশলগত জোট এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জটিল সমীকরণও কাজ করে।ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি সব সময় বাণিজ্যঘাটতির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না; বরং রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দ ও কূটনৈতিক অগ্রাধিকারই প্রভাব ফেলে বেশি।এ বাস্তবতায় বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির জন্য নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি, ভারতের সঙ্গে তুলনামূলক অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের কৌশল—সবকিছু নিয়ে সমসাময়িক বিশ্লেষণ জরুরি হয়ে পড়েছে।আরও পড়ুনট্রাম্পের শুল্ক আরোপ,...
    তখনো ডিজিটাল জমানা আসেনি। গ্রামগঞ্জে ভিসিআর চালিয়ে চলচ্চিত্র দেখানোর চল; টিকিট পাঁচ টাকা। নব্বইয়ের দশকে স্কুল পালিয়ে সিরাজগঞ্জের জামতৈল বাজারে ‘নুন শো’তে দেখা ‘শোলে’ কিশোর মনে যতটা আঁচড় কেটেছিল, আজ এত বছর পরেও তা খুব একটা ফিকে হয়নি। ৫০ বছর। কোনো চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা পরিমাপে সময়ের এই হিসাবের চেয়ে জুতসই মাপকাঠি আর কীই–বা হতে পারে! এখনো দর্শককে যেভাবে আবিষ্ট করে রেখেছে ‘শোলে’—আবেগে, মুগ্ধতায় তার তুলনা কেউ কেউ ক্ল্যাসিক সাহিত্য বা শিল্পের সঙ্গে টানতে পারেন। এককথায় একে বলিউডের ‘আলটিমেট ফিল্ম’ বললে এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। ‘শোলে’ শুধু চলচ্চিত্রই নয়, এটি ভারতীয় সিনেমার মিথ। রমেশ সিপ্পি পরিচালিত চলচ্চিত্রটিকে শুরুতে সাধারণ অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার বলেই মনে করা হয়েছিল। তবে কালের চাকায় সমানতালে দৌড়ে এসে এটি এখন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী এক নির্মাণ। এর সঙ্গে জুড়ে...
    প্যারিস সেন্ত জার্মেইর (পিএসজি) বহুদিনের স্বপ্ন ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা। নেইমার, মেসি, এমবাপ্পে— তারকা সমাবেশে সাজানো দলও যেখানে ব্যর্থ হয়েছিল, সেখানে গত মৌসুমে সেই ইতিহাস গড়েছিল প্যারিসের ক্লাবটি। ট্রেবল জয়ের এই অভিযানে গোলবারের নিচে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে, সেই সাফল্যের মাত্র এক মৌসুম পরই সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছে দুই পক্ষ। আজ বুধবার (১৩) আগস্ট উয়েফা সুপার কাপে টটেনহ্যামের বিপক্ষে স্কোয়াডে নাম না থাকার পর ২৬ বছর বয়সী এই তারকা নিজেই বিদায়ের ইঙ্গিত দেন। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া আবেগঘন বার্তায় তিনি জানান, প্রথম দিন থেকেই পিএসজির জার্সিতে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। কিন্তু ক্লাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর তিনি দলের অংশ হবেন না। এমন বাস্তবতা তাকে হতাশ করেছে। ২০২১ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন দোন্নারুম্মা।...
    দেশের বহু জাতি ও সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে বহু জাতি আছে, বহু সংস্কৃতি আছে, তাদের অনেক আবেদন-নিবেদন আছে কিন্তু সেগুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সরকার সব পক্ষকে নিয়ে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতার কথা বলছে, সেটা আমরা এক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি না।’’   আন্তর্জাতিক ও জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত যুব দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে আঞ্চলিক পরিষদের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সন্তু লারমা বলেন, ‘‘এই দেশে বাংলা জাতিসহ ৫২টি জাতি বসবাস করে। এতে বুঝা যায়, বাংলাদেশ একটা বহু ভাষাভাষী ও বহু সংস্কৃতির দেশ।...
    জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা সামনের মুখ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের প্রান্তিক করে তোলার একটি চেষ্টা প্রবলভাবে দৃশ্যমান। নারীর অধিকার রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাও এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। সংসদে নারী আসন ও নারীর মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা শুধু দুঃখজনকই নয়, সমাজের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বিকাশের পথেও বড় একটি ধাক্কা। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলগুলো নারীদের জন্য আগের মতোই ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য।বাংলাদেশের জন্মের ৫৩ বছর পার হয়ে গেলেও রাজনীতিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব একেবারে তলানিতে রয়ে গেছে, আর সেই প্রতিনিধিত্বটাও আবার মোটাদাগে আলংকারিক। মুখে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বললেও আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে চিন্তার দিক থেকে চরম রক্ষণশীল ও পুরুষতান্ত্রিক—এই বাস্তবতা তারই প্রতিফলন। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা...
    জলবায়ু সংকট নিয়ে নানামুখী গবেষণা হলেও সেটার ফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছায় না। গবেষণা শেষ হলেও অভীষ্ট গোষ্ঠীর জীবনে সেটি কী পরিবর্তন এনেছে, সেটার কোনো মূল্যায়ন হয় না। বাস্তবতা হলো, গবেষণার পর এসব বিষয়ে কোনো খবর রাখা হয় না। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের সভাকক্ষে এক প্রারম্ভিক কর্মশালায় (ইনসেপশন ওয়ার্কশপ) এসব কথা বলেন বক্তারা।নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন ‘মেঘনা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের ফসলের বৃদ্ধি ও উৎপাদনের ওপর জলবায়ুর প্রভাব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ুসহিষ্ণু ফসল নির্বাচন’ প্রকল্পের বিষয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট (বিসিসিটি)।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) গাজী মো. ওয়ালি–উল–হক বলেন, অনেক...
    বাংলাদেশের ভৌগোলিক বাস্তবতায় প্রাকৃতিক বন্যা অনিবার্য হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃত্রিম বন্যা এক ভয়াবহ নগর-দুর্যোগে রূপ নিয়েছে। অতিবৃষ্টি বা উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের মতো প্রাকৃতিক কারণের সঙ্গে এর সম্পর্ক সামান্য; বরং এর জন্ম মানুষের অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা থেকে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, প্রাকৃতিক জলাধার ও খাল ভরাট, ড্রেনেজব্যবস্থার অদক্ষতা এবং বাঁধ ও খালের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব—সব মিলিয়ে কৃত্রিম বন্যা যেন এক পূর্বনির্ধারিত বিপর্যয়।বক্তব্য বনাম বাস্তবতা আস্থার সংকট: প্রতিবছর বর্ষার আগে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে শোনা যায় দৃষ্টিনন্দন প্রতিশ্রুতি— ‘ড্রেনেজ উন্নয়ন চলছে’, ‘খাল উদ্ধার অভিযান হবে’, ‘বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে’। কিন্তু বর্ষা শেষে দেখা যায়, প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি নগণ্য। ঢাকার জলাবদ্ধ এলাকা আগের মতোই পানিতে ডুবে থাকে; একই অবস্থা চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও বরিশালের মতো শহরগুলোতেও। যদিও এ বছর চট্টগ্রাম শহরে...
    চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর নতুন একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটি নতুন প্রজন্ম আবির্ভূত হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা একাত্তরকে অতিক্রম করেছি এবং চব্বিশে পৌঁছেছি। ‘একাত্তরের পক্ষে না বিপক্ষে’- এই বাইনারির (দুই ধারার) ওপর ভিত্তি করে তৈরি রাজনীতিকে গ্রহণ করতে কেউ আগ্রহী নয়। যারা এখনো এই পুরোনো রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা দেশকে একটি অচল রাজনৈতিক কাঠামোতে ফিরিয়ে নিতে চায়। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। ‘‘’৭১ এবং ’২৪’’ শিরোনামে ইংরেজি ভাষায় পোস্টটি লিখেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতা নাহিদ ইসলাম।পোস্টে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ লিখেছেন, ‘আমরা আগেও বলেছি—চব্বিশ হচ্ছে একাত্তরের ধারাবাহিকতা। একাত্তরের আকাঙ্ক্ষা সাম্য, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার—এগুলোই চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী এবং গণতান্ত্রিক গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুনরায়...
    আগামীকাল শনিবার জাতীয় পার্টির যে সম্মেলন হবে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবহিত করে প্রতিনিধি পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জি এম কাদেরবিরোধী অংশের প্রধান নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কাউন্সিল আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করেছি এবং কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধি আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’ কাউন্সিল উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে আজ শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। কাউন্সিল করে আমরা গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত ধারা বাতিল করে দেব। কোনো একক নেতৃত্বে নয়, জাতীয় পার্টি চলবে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে।’গত ৩০ জুলাই জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে...
    আদালতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগ নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বাদ দিয়ে দলের কাউন্সিল ডেকেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজধানী গুলশানের ইমানুয়েলন্স পার্টি সেন্টারে পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করবেন  দলটির এক সময়ের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আদালতের আদেশ ও নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা মেনে দলের কাউন্সিল ডাকা হয়েছে দাবি করে ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “আগামীকাল সম্মেলন হবে, পল্লীবন্ধু এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল। যার  নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নাম্বার ১২। আমরা আদালতের আদেশ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কাউন্সিল  আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করেছি এবং কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধি আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।” আরো পড়ুন: জিএম কাদেরের সাংগঠনিক...
    রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনায় বুধবার (৬ আগস্ট) ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে না পৌঁছানোয় ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। ভারত ছাড়াও রাশিয়ান তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা চীন। কিন্তু ট্রাম্প চীন বা রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রাখা অন্যান্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ ঘোষণা করেননি। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য কেবল ভারতের ওপর কেন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, এ বিষয়ে বুধবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “মাত্র ৮ ঘণ্টা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়। আপনি আরো অনেক কিছু দেখতে পাবেন...আপনি আরো অনেক সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা (রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ‘দ্বিগুণ’ শুল্ক আরোপ করার একদিন পর কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, কৃষক ও জেলেদের স্বার্থে ভারত কোনোভাবেই আপস করবে না। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। দিল্লিতে ‘এম এস স্বামীনাথন জন্মশতবার্ষিকী’ উপলক্ষে এক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, “আমাদের কাছে কৃষকদের স্বার্থই সবার আগে। ভারত কখনো কৃষক, মৎস্যজীবী বা খামারিদের স্বার্থে আপস করবে না। আমরা জানি, এর জন্য বড় মূল্য দিতে হতে পারে, তবুও আমরা তৈরি।” যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর ইতিমধ্যেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে। এরপর গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর আরো ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। আরো পড়ুন: ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের...
    ‘অনেক কিছু হতে পারত, অনেক কিছুই থাকতে পারত…’ কথাটা বলে নুরুল হাসান যেন দ্রুত সরে যেতে চাইলেন প্রসঙ্গ থেকে। বছর তিনেক আগেও টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুরোনো প্রজন্ম পেরিয়ে বাংলাদেশ খুঁজছিল নতুন কাউকে। ক্যারিয়ারে তখন রঙিন সময় নুরুলেরও। অথচ ছয় মাস পর ছিটকে যান টি–টোয়েন্টি দল থেকেই। এরপর এখন পর্যন্ত আর ফেরা হয়নি।এই বাস্তবতা নুরুল মেনে নিয়েছেন সহজ এক ভাবনায়, ‘উত্থান–পতন তো জীবনেরই অংশ।’ দুই বছর ধরে জাতীয় দলে তিনি নেই কোনো সংস্করণেই। তবে এই পরিস্থিতিতেও নিজেকে হারিয়ে যেতে দেননি একটা মন্ত্র মেনে। কাল প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে সে কথাই বলেছেন তিনি, ‘যেখানে যতটুকু খেলছি, সব সময় চাই নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে আর দলের জন্য অবদান রাখতে। হয়তো কখনো সফল হই, কখনো ব্যর্থ—কিন্তু সততা আর পরিশ্রম দিয়ে কতটুকু...
    ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধোলাইপার-জুরাইন এলাকায় অবস্থিত জমজ দুই সিনেমা হল ‘গীত’ ও ‘সংগীত’ আবারো বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ক্ষতি ও দর্শক সংকটে ভুগতে থাকা এই দুই হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সাময়িকভাবে হলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  শনিবার (২ আগস্ট) আদর আজাদ-পূজা চেরি অভিনীত ‘টগর’ সিনেমা প্রদর্শনের পরই হল দুটি বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে। নতুন ও মানসম্পন্ন দেশি সিনেমার অভাব, পাশাপাশি দর্শক অনুপস্থিতিই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ বলে জানিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ।  তাদের ভাষ্য, “পরিস্থিতি উন্নত হলে, বিশেষ করে আগামী ঈদে যদি ভালো সিনেমা মুক্তি পায়, তাহলে আবারো চালু করা হতে পারে।”  আরো পড়ুন: বাবা হলেন শ্যামল মাওলা সংসার ভাঙার কারণ জানালেন শোলাঙ্কি এই বন্ধের ঘোষণা নতুন নয়। এর আগেও, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে...
    চলতি অর্থবছরে আমদানি করা প্রসাধনী ও টয়লেট্রিজের ওপর কাস্টমস শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে এবং তা কার্যকরের পথে। সরকারি নীতিনির্ধারকেরা হয়তো ভাবছেন এতে দেশীয় শিল্প সুরক্ষা পাবে।কিন্তু আন্তর্জাতিক গবেষণা ও বাজারপ্রবণতা বলছে, বাস্তবতা ভিন্ন। অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও প্রসাধনসামগ্রীর চাহিদা কমে না, বরং অনেক ক্ষেত্রে বাড়ে। এ ঘটনাকে অর্থনীতিবিদেরা ‘লিপস্টিক ইফেক্ট’ নামে অভিহিত করেছেন।লিপস্টিক ইফেক্ট একটি অর্থনৈতিক তত্ত্ব, যা ব্যাখ্যা করে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় মানুষ কেন কম দামি বিলাসবহুল পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ২০০১ সালে এস্তে লডারের চেয়ারম্যান লিওনার্ড লডার ধারণাটি প্রথম সামনে আনেন। তিনি লক্ষ করেন, মন্দার সময়েও লিপস্টিকের বিক্রি বেড়েছে। জেপি মরগান প্রাইভেট ব্যাংকের আচরণগত বিজ্ঞানের প্রধান জেফ ক্রিসলার বলেন, ‘মানুষ ১০ ডলারের ১০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করতে পারে, কিন্তু বাড়ির ক্ষেত্রে তা অসম্ভব।’২০০৮-১০ সালের বিশ্বমন্দার সময়...
    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেছেন, ‘আমি চেষ্টা করেও আর নিজের চাহিদা দমন করতে পারছি না। একাকিত্ব, চারপাশের প্রলোভন আর নিজের ভেতরের দ্বন্দ্ব আমাকে ধীরে ধীরে কষ্ট দিচ্ছে।’শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘আমি অন্যায় কিছু করিনি, করতেও চাই না। তবে তাঁর প্রবল আকাঙ্ক্ষা আমার ওপর ভর করেছে। আমি জানি, পাপ সম্পর্কে রাসুল (সা.) কতটা কঠোর সাবধানবাণী দিয়েছেন। আমি জান্নাত পেতে চাই। কিন্তু এই চাপ আর নিতে পারছি না।’আর নিশ্চয়ই আমি মানুষকে কষ্টের মধ্যে সৃষ্টি করেছি।সুরা বালাদ, আয়াত: ৪তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি শব্দে একজন তরুণ মুসলিমের গভীর সংকট, আত্মসংযমের চেষ্টা ও একটি পরিচ্ছন্ন জীবনের আকাঙ্ক্ষা ধরা পড়ে। আমাদের সমাজে এই বাস্তবতা নতুন নয়, কিন্তু খুব কমই প্রকাশ্যে আলোচনা হয়।ইসলাম মানব প্রকৃতিকে অস্বীকার করে না। বরং এর মধ্যেই পবিত্রতা ও সৌন্দর্য খুঁজে নেয়। কোরআনে আল্লাহ...
    সাত কলেজকে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সাম্প্রতিক যে আলোচনা চলছে, তা একদিকে যেমন উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত বিকেন্দ্রীকরণের ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে এটি সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য এক অজানা আশঙ্কাও তৈরি করছে। উচ্চশিক্ষাকে কতটা সহজলভ্য রাখা যাবে, এ প্রশ্ন এখন সময়ের দাবি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং সরকারি বাঙলা কলেজ। এসব কলেজ বর্তমানে হাজারো সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য স্বল্প খরচে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র ভরসা।আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫এই সাতটি কলেজ যদি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়, তবে আগের মতো ভর্তি সিটের বিশাল সুযোগ আর থাকবে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো সাধারণত...
    বিশ্বরাজনীতিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি একটি বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ইস্যু। পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, বহু বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে, ইরান নাকি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আজ পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি, যা এ দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করে। অন্যদিকে ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।প্রশ্ন হলো, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাইত, তাহলে গত দুই দশকে তা তৈরি করেনি কেন? আর যদি তা না-ই চায়, তাহলে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে কেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে ইরানের ধর্মীয় অবস্থান, কৌশলগত চিন্তা, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির দ্বিচারিতা একত্রে বিশ্লেষণ করতে হবে।আরও পড়ুনইরান এবার...
    বরগুনার বিষখালী নদীর পাড়ে বেড়ে উঠেছেন লাইলী বেগম। বাবার মৃত্যুর পর ভাইয়েরা অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান, তখন কন্যা হয়েও লাইলী সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। অভাব, ক্ষুধা আর সমাজের অবহেলা তার নিত্যসঙ্গী হয়। তারপরও থেমে যাননি লাইলী।   জীবনের চাকা ঘুরাতে, মাছ ধরা থেকে বর্গাচাষ—সবই করেছেন লাইলী। গত ২১ বছর ধরে নদী ও সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বরগুনা জেলার সরকারিভাবে নিবন্ধিত একমাত্র নারী জেলে তিনি। এই লাইলীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘উত্তরের বৈঠা’। এটি নির্মাণ করেছেন আনোয়ার হোসেন। পরিচালক আনোয়ার হোসেন আরো পড়ুন: জসীমের কবরে রাতুলকে সমাহিত করে দুই ভাইয়ের আবেগঘন পোস্ট নীনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে কী বলেছিলেন ক্রিকেটার ভিভ? এ নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক আনোয়ার হোসেন। তরুণ এই...
    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশির ঘরের ছবিতে দেখা গেছে, প্রবাসে কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থের হিসাব কিছু কাগজপত্র আকারে একটি দেয়ালের হ্যাঙ্গারে ঝোলানো রয়েছে। স্পষ্ট বুঝা যায় যে, সেগুলো ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরিত অর্থের রসিদ ছিল। পাশেই ঝোলানো রয়েছে পরিধানের জন্য কয়েকটি সাধারণ পোশাক। এই দৃশ্যটি একজন প্রবাসীর জীবনের এক কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। যেখানে দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও কষ্টের পর উপার্জিত অর্থ শেষে প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়ায়। কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। দিনের পর দিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে, উন্নত জীবনের আশায় তারা নিজেদের প্রিয়জন ও মাতৃভূমি ছেড়ে পাড়ি জমান প্রবাসে। এখানে এসে তারা দিনরাত পরিশ্রম করেন, অনেক সময় অমানবিক পরিবেশেও কাজ করতে বাধ্য হন। তাদের উপার্জিত প্রতিটি পয়সা আসে কঠোর সংগ্রাম এবং...
    বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যাঁর নাম অবধারিতভাবে চলে আসে, তিনি বদরুদ্দীন উমর। একাধারে শিক্ষক, লেখক, চিন্তক ও রাজনৈতিক কর্মী—তিনি বামপন্থী ধারার এক ব্যতিক্রমী ও গভীরতম প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবন ও রাজনৈতিক চিন্তার অনুপম পাঠ হলো মহিউদ্দিন আহমদের লেখা বামপন্থার সুরতহাল: বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পরিক্রমা।প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ১৯২ পৃষ্ঠার এই বই এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে রচিত হলেও এটি নিছক কথোপকথন নয়। বরং এখানে মিলেছে আত্মজৈবনিক প্রসঙ্গ, রাজনৈতিক ইতিহাস, তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং বাংলাদেশের বাম রাজনীতির বহু অজানা অধ্যায়ের প্রাণবন্ত বিবরণ। বইটি যেমন ব্যক্তি বদরুদ্দীন উমরের ভাবনার ভেতর প্রবেশের দরজা খুলে দেয়, তেমনি পাঠককে নিয়ে যায় ইতিহাসের উত্থান-পতনের অভ্যন্তরেও।‘অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল’ হয়ে ওঠার পথেবদরুদ্দীন উমরের চিন্তাজগৎ বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো ‘অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল’, যার উৎপত্তি ইউরোপীয় মার্ক্সবাদী...
    যেখানে বাংলাদেশের নারীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা, প্রযুক্তি, এমনকি প্রতিরক্ষা খাতেও অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছেন, সেখানে রাজনীতির মঞ্চে তাঁদের পদচারণ এতটা দুর্লভ কেন? প্রশ্নটি সহজ হলেও এর উত্তর জটিল ও বহুস্তরবিশিষ্ট।বাংলাদেশে একটি কথার প্রচলন আছে—‘রাজনীতি মেয়েদের জন্য নয়।’ এটি নিছক কোনো আপ্তবাক্য নয়, বরং একটি প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবতা, যা বহু নারী প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় টের পান। দেশের রাজনীতির পরিসর এখনো পরিবারকেন্দ্রিক ও পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত।রাজনীতিতে সক্রিয় বেশির ভাগ নারী নেত্রীই কোনো প্রভাবশালী পুরুষ সদস্যের আত্মীয় বা রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। সাধারণ নারীর জন্য এই অঙ্গনে প্রবেশের পথ প্রায় রুদ্ধই বলা চলে।বাংলাদেশের অধিকাংশ পরিবারে রাজনীতিকে নারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, অশোভন ও অগ্রহণযোগ্য পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেয়েদের বাইরে কাজ করার ক্ষেত্র এখনো সীমিত; সেখানে রাজনীতির মতো সংঘাতপূর্ণ অঙ্গনে প্রবেশকে পরিবার থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়।...
    জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরের এক বছর নিয়ে লিখতে হলে আসলে একটু থমকে যেতে হয়। গত জুলাই থেকে এই জুলাই—কী কঠিন, দুঃসহ আর নিদারুণ দিন পার করলাম আমরা। চব্বিশ বছরের জীবনে ১৫ বছর ধরেই নির্যাতন, নিপীড়ন, অন্যায়, গুম, খুন, ভোট চুরি, ধর্ষণ দেখে এসেছে আমার মতোই আমাদের প্রজন্মের বাকিরা। সেই জেন-জির হাত ধরে সারা দেশের শ্রমিক-শিক্ষক-জনতা একযোগে সফল করেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থান! জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা ছিলেন সামনের কাতারে
    ২০২৪ সালের ৯ জুলাই, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের নিযুক্ত অন্তত ১১ জন বিশেষজ্ঞ গাজায় দুর্ভিক্ষ নিয়ে একটি জরুরি সতর্কবার্তা (মেডে কল) জারি করেন। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা ঘোষণা করছি যে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃত ও লক্ষ্যভিত্তিক ক্ষুধা জ্বালিয়ে রাখা একটি গণহত্যামূলক সহিংসতার রূপ এবং এর ফলে গাজাজুড়ে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই, যেকোনোভাবে সড়কপথে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে, ইসরায়েলের অবরোধ শেষ করতে এবং একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে।” এই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন মাইকেল ফাখরি, যিনি খাদ্যাধিকারের বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদনকারী (র‌্যাপোরটিয়ার); পেদ্রো অ্যারোহো-আগুদো, যিনি নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন-সংক্রান্ত মানবাধিকার বিষয়ের বিশেষ প্রতিবেদনকারী এবং ফ্রানচেসকা আলবানিজে, যিনি ১৯৬৭ সাল থেকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদনকারী। তাদের মতে, মধ্য গাজায় চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা...
    মনোবতী পার্বত্য চট্টগ্রামের জুমিয়া নারী। তিনি চার নাতি-নাতনির দাদি। মনোবতী ভেবেছিলেন, জীবনের শেষবেলাটা হবে বিশ্রামের—গান, নাচ আর উৎসবের সময়, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এখনো প্রতিদিন খেতে কাজে যেতে হয় তাঁকে। পরিশ্রম করতে হয় বেশ। এ বছর মনোবতীর জীবনের অন্যতম কঠিন বছর।জুমে শসার আবাদ করেছেন মনোবতী। তিনি বললেন, শুরুতে বৃষ্টি কম ছিল। তাই শসাখেতে বেশি সার দিতে হয়েছিল। এরপর হুট করে কয়েক দিনের মধ্যে এত বেশি বৃষ্টি হলো যে শসাখেত নষ্ট হয়ে গেল। এখন মনোবতীর আশঙ্কা, তাঁর ধানও বুঝি একইভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।বৈরী প্রকৃতি, আবহাওয়ার এলোমেলো আচরণ, হঠাৎ বৃষ্টি কিংবা তীব্র খরা—এসব মনোবতীর মতো কৃষিনির্ভর মানুষদের এখন বড় বেশি ভাবাচ্ছে।শুধু পাহাড়ের বাসিন্দারা নন, উপকূলীয় অঞ্চল কিংবা খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষও প্রকৃতির এই বৈরী আচরণের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এ সমস্যা অবশ্য বৈশ্বিক। পুরো...
    ভূরাজনীতির মঞ্চে ছায়া আর নীরবতা দিন দিন প্রধান বিষয় হয়ে উঠছে। এ প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে চলমান সশস্ত্র লড়াই প্রক্সি যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিকে সবচেয়ে পরিষ্কারভাবে সামনে নিয়ে আসছে। ১৫ জুলাই ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রায়ান বারলেটিক নতুন এক বিতর্কের সূত্রপাত করেছেন। তাঁর অভিযোগ হলো ওয়াশিংটন সম্ভবত নীরবে বেলুচ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট করে চীনা প্রকৌশলী ও পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করতে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।যদিও তাঁর এই দাবির সত্যতা নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক রয়েছে। তার পরও তথ্য–প্রমাণ থেকে এই বাস্তবতা দৃশ্যমান হচ্ছে যে বেলুচ সশস্ত্র সংগ্রাম এখন আর নিখাদ অভ্যন্তরীণ সংগ্রাম নেই। এটি এখন দুই পরাশক্তির কৌশলগত টানাপোড়েনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে বেলুচিস্তানে অন্তত এক ডজন সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় ৫০...
    যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষিতে পিছিয়ে পড়ার কারণে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে যে গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তা নিরসন করতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে যে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছেন, এর ব্যাপ্তি শুধু বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই, সেটি একই সঙ্গে অরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভূকৌশলগত বিষয়। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করতে না পারায় প্রতিযোগী অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুবিধাজনক শর্তে চুক্তি করতে পারলেও বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে।বাস্তবতা হলো, এই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে না পৌঁছাতে পারলে আগের ১৫ শতাংশের সঙ্গে নতুন আরও ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে দেশটির বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে। নিশ্চিতভাবেই আমাদের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে এর বড় অভিঘাত এসে লাগবে।...
    বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর হতে চলেছে। গত এক বছরে সরকারের কার্যক্রম নিয়ে শক্ত কথা বলার সময় এসেছে বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘মিষ্টি কথা, ভালো কথা, ভালো উদ্যোগ ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু হয়েছে। আমরাও অনেক ধরনের আশাপ্রদ, অনেক কিছু দেখেছি। আজকের ফ্রেমিং আমার দৃষ্টিতে হতে হবে, পাওনার হিসাব এবং উত্তরণের পথরেখা। আজকে পাওনার হিসাবটা খুবই জরুরি। বিচার, সংস্কার, নির্বাচন—এই বিষয়গুলোতে এক বছরে কী কী হলো, সেই পাওনার হিসাবটা আজকে মূল কথা হতে হবে।’ আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে হোসেন জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই গোলটেবিলের আয়োজক প্রথম...
    কালো জাদু, প্রেম আর প্রতিশোধের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অথচ চেনা বাস্তবতার গল্প নিয়ে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘নসিব’। নির্মাণ করেছেন আলোচিত নির্মাতা তানিম রহমান অংশু, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, তানজিন তিশা এবং প্রিয়ন্তী উর্বী। গত ১০ জুলাই ‘গান চিল ড্রামা অ্যান্ড সিনেমা’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাওয়া এই নাটকটি ইতোমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ইউটিউবের কমেন্ট সেকশনে ভেসে আসছে একের পর এক ইতিবাচক মন্তব্য। গল্পে যা দেখা যায়, ‘নসিব’-এ ইয়াশ রোহান একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে, যার সংসার স্ত্রী প্রিয়ন্তী উর্বীর সঙ্গে। সেই সংসারেই একসময় হানা দেয় অজানা অশুভ শক্তি। ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে উর্বীর আচরণ-সাধারণ থেকে হয়ে ওঠে রহস্যময় ও অস্বাভাবিক। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ইয়াশের জীবনে আসেন তানজিন তিশা। তবে তিনি একেবারেই সাধারণ নন-তার আশেপাশে...
    বাংলাদেশ সময়ের এক চমৎকার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। যেখানে তরুণ প্রজন্ম শুধু জনসংখ্যার বড় অংশ নয়, সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের কাণ্ডারি। তবে তরুণদের যে স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও বাস্তবতা, তার মধ্যে এখনও বিস্তর ব্যবধান রয়েছে।  শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বা কর্মযজ্ঞে নেমে পড়ার এখনই উপযুক্ত সময়। তাদের ঠিক করতে হবে তারা কী হতে চায়। দেশ ও সমাজের ভবিষ্যতের পাশাপাশি নিজেদের ভবিষ্যৎও ঠিক করে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী, আগামী ২০৩৭-৩৮ সাল পর্যন্ত জনমিতিক লভ্যাংশের সুফল ভোগ করবে বাংলাদেশ। এ সময় পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যার বেশির ভাগই কর্মক্ষম থাকবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় সাফল্য অর্জনে তরুণদের সার্বিক ক্ষমতায়নে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে এই তরুণেরা একসময় দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।   জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ছাত্ররা অসাধ্যকে সাধন করেছে। যেভাবে আন্দোলন করে তারা গর্বিত ইতিহাসের...
    জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, দেশে রিটার্ন দাখিলকারীদের মধ্যে প্রতি ১০০ জনে ৭০ জনই শূন্য আয় দেখিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেন। কিন্তু এই তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না অর্থ উপদেষ্টা, সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তাদের মতে, এত বড় সংখ্যক মানুষ করযোগ্য আয় না থাকার কথা বাস্তবসম্মত নয়। যারা শূন্য কর দেখাচ্ছেন, তাদের প্রকৃত আয় ও সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখা দরকার।  প্রশ্ন উঠেছে, তারা কি সত্যিই করযোগ্য আয়ের বাইরে, নাকি আয় গোপন করে কর ফাঁকি দিচ্ছেন? বর্তমানে বাংলাদেশে কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ সেই অনুপাতে বাড়ছে না। কারণ রিটার্ন জমাদানকারীদের একটি বড় অংশ ‘জিরো ট্যাক্স’ দিচ্ছেন, অর্থাৎ কর পরিশোধ করছেন না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৫ লাখ রিটার্ন দাখিলকারী থাকলেও তাদের...
    ২০২৫ সালের ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে এক অভূতপূর্ব সংকট সৃষ্টি করেছে।আগামী ১ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হলে বাংলাদেশ তার অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজারে বিপুল প্রতিযোগিতাগত দুর্বলতার মুখে পড়বে। অথচ এই সংকট প্রতিরোধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সময়োচিত ও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ দৃশ্যমান ছিল না।দেশের তৈরি পোশাকশিল্প—যা প্রায় ৪০ লাখ কর্মজীবী মানুষকে, বিশেষত নারী শ্রমিকদের জীবিকার উৎস হিসেবে কাজ দেয়—এখন এক গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে।বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ওপর শুল্কহার ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।অন্যদিকে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক (যা আগের ১৫ শতাংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর শুল্ক বোঝায়) দেশটির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে তুলবে।আরও পড়ুনট্রাম্পের ‘পাল্টা...
    পরিবেশ অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, পরিবেশ অধিকার এখন কেবল পরিবেশের বিষয় নয়, এটা মানুষের জীবনের অধিকারের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। তাই সংবিধানে একে মৌলিক অধিকার হিসেবে যুক্ত করার সময় এসেছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত ‘এসসিএলএস আইন অলিম্পিয়াড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের এ কে খান অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় দেশের অন্যতম বৃহৎ আইনভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘এসসিএলএস আইন অলিম্পিয়াড ২০২৫’। প্রতিযোগিতার এবারের থিম ছিল ‘পরিবেশ আইন ও জলবায়ু ন্যায়বিচার’। চবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সংগঠন সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস) অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো....
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার নতুন পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে তা বাস্তবায়নের সময়সীমা ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। প্রথমে ১৪টি ও পরে গতকাল আরও সাতটি দেশকে পাঠিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে না পারলে তাদের ওপর নতুন হারে শুল্ক বসবে। এই পরিস্থিতিতে যেসব দেশকে ট্রাম্প চিঠি দিয়েছেন এবং যাদের এখনো দেননি, তারা সবাই কমবেশি চেষ্টাচরিত্র করছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই উচ্চশুল্কের খড়্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এই দফায় কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি। এর আগে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা যেমন করেছে, এবার কেউ তা করেনি। খবর আল জাজিরা। সেই সঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট বা যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাতের প্রতিক্রিয়াও তেমন তীব্র কিছু নয়, বরং তারা যেন ধৈর্যের খেলা খেলছে। বাজারের...
    আমি যেটা ভাবি, সেটাই যে সব সময় ঠিক তা নয়। তরুণদের আমি কিছু শেখাতে চাই না। কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, আমি মনে করি এই পরামর্শ তাদের প্রয়োজন নেই। আমি বরং তোমাদের আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলব, স্রেফ একজন বড় ভাইয়ের মতো।১৫ বছর আগে আমি ব্যবসা শুরু করেছি। প্রথমত কখনোই ভাবিনি, এ রকম একটা মঞ্চে নিজের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলার সুযোগ হবে। যখন আমি ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার ২৪ জন বন্ধুকে বাসায় নিমন্ত্রণ করেছিলাম। পাক্কা দুই ঘণ্টা আমার ভাবনাটা ওদের বোঝানোর পর আমি বুঝতে পারলাম, ওরা কিছুই বোঝেনি! ২৪ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন আমার পাশে থাকতে রাজি হয়েছিল।আজকালকার তরুণদের যেসব যোগ্যতা থাকে, আমার সেসবের কিছুই ছিল না। লোকে আমাকে বলত, ‘কী যোগ্যতা আছে...
    এই মুহূর্তে অনেকেই মনে করছেন বিএনপি আগামী নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে দেশ শাসন করবে। ভাবনাটা হয়তো বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে একধরনের উচ্ছ্বাসের জন্ম দেয়, ও বিরোধীদের মধ্যে উষ্মা। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিএনপির জন্য এই রাজনীতি এত সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। এমনকি একটা গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে আশা, তা খুব সহজে অর্জিত হবে বলে মনে হচ্ছে না। আসুন দেখি এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির রাজনীতির ভবিষ্যৎ সংকট কী?বিএনপির এখন প্রধান সংকট হলো বিএনপির জনপ্রিয়তা। আওয়ামী লীগের অবর্তমানে বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় দল বলে প্রতীয়মান হয়। এই জনপ্রিয়তাই বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যথেষ্ট। অর্থাৎ যেহেতু বিএনপি বড় দল, তেমনি বিএনপির ওপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এ প্রসঙ্গে আমরা আরনেস্তো লাক্লাউয়ের পপুলিস্ট ডিমান্ড বা জনতুষ্টিবাদী...
    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল তরুণদের কতটা ভোট পেতে পারে– এ নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং-সানেম। গত সোমবার প্রকাশিত জরিপটিতে অংশ নিয়েছেন ২০০ তরুণ; সবার বয়স ১৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। জরিপের ফল বলছে, আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি। ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জামায়াতে ইসলামী। তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তৃতীয়; ভোট ১৫ দশমিক ৮৪। এ ছাড়া ওই তরুণরা মনে করেন, বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেলে ১৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট পাবে। অন্যান্য ইসলামিক দলের বাক্সে যেতে পারে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মাত্র ৯ মাস...
    ভঙ্গুর একটি যুদ্ধবিরতি তেহরানের আকাশে পরিচিত হয়ে ওঠা বিস্ফোরণের শব্দ আপাতত বিরতি দিয়েছে। আমার জন্ম হয়েছিল ১৯৮৮ সালে, ইরাক-ইরান যুদ্ধ থামার এক বছর আগে। আমাদের প্রজন্মের কাছে যুদ্ধ ছিল অতীতের বিষয়। এই গ্রীষ্ম আসার আগে তা ছিল অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় একটা বিষয়।১২ দিন ধরে, আমরা রাজধানীতে বসবাস করেছি ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন হামলার মধ্যে। আমরা যা দেখেছি, তা আমাদের চিরদিনের জন্য বদলে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, প্রতিবেশীদের মৃতদেহ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘর এবং মানুষের সীমাহীন উদ্বেগ।‘ইরানি জনগণ’ বলার মধ্যে একধরনের স্বস্তি কাজ করে। এতে মনে হয় যেন আমরা সবাই একটি ঐক্যবদ্ধ গোষ্ঠী। কিন্তু অধিকাংশ সমাজের মতো, ইরানিদের মধ্যেও বিভিন্ন মতপার্থক্যের মানুষ রয়েছেন। এমন অনেক মানুষ ছিলেন, তাঁরা (অন্তত যুদ্ধের সূচনালগ্নে) এটা দেখে খুশি হয়েছিলেন তাঁদের অপছন্দের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতৃত্বকে...
    বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে কোন দেশগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? এককথায় এ প্রশ্নের উত্তর হলো, রপ্তানি-নির্ভর দেশগুলো। এ পরিস্থিতি যে সৃষ্টি হবে, চীন অনেক আগেই তা অনুমান করতে পেরেছিল। সে কারণে তারা অভ্যন্তরীণ ভোগ বৃদ্ধিতে জোর দিয়ে আসছে এক দশকের বেশি সময় ধরে।সেদিক থেকে বাংলাদেশ একধরনের সুবিধাজনক পর্যায়ে আছে। বাস্তবতা হলো, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পণ্য ও বাণিজ্যিক সেবা রপ্তানির শতকরা হিসাবে গত কয়েক বছর স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের সারিতে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। ২০১০ সালের পর আমরা মাত্র এক ধাপ এগিয়েছি।ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ অনুসারে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি জিডিপির অনুপাত ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি সত্ত্বেও ২০১০ সালের পর এই অনুপাত কমেছে। জিডিপিতে বাণিজ্যিক পরিষেবা রপ্তানির হিস্যা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে...
    ক্লাব ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায় ভেবেই হয়তো বিদায় বলেছিলেন পেশাদার ফুটবলকে। কিন্তু বাস্তবতা যেন লিখে দিলো এক নতুন চিত্রনাট্য। অবসর ভেঙে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর গোলপোস্টে নিজের দক্ষতা দেখিয়ে এখন ক্লাবটির পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। এবার তিনি চুক্তি নবায়ন করেছেন আরও দুই বছরের জন্য, অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত থাকছেন কাতালানদের হয়েই। সোমবার (৭ জুলাই) বার্সেলোনা ক্লাবের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল বিবৃতিতে সেজনির সঙ্গে নতুন চুক্তির ঘোষণা আসে। এর আগে মে মাসে সেজনি জানিয়েছিলেন, বার্সার প্রস্তাব নিয়ে তিনি ও তার স্ত্রী পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সেই ভাবনাই বাস্তবতায় রূপ পেল। গত বছর আগস্টে জুভেন্টাস ছেড়ে সেজনি ঘোষণা দেন অবসরের। কিন্তু বার্সার প্রথম গোলকিপার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান গুরুতর চোটে পড়লে মৌসুমের মাঝপথে তাকে ফেরাতে হয়। পরিস্থিতি সামাল...
    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি উপাচার্যের সঙ্গে যে অঘটন ঘটেছে, তা দুঃখজনক। সমকালে প্রকাশ, সেখানে উপাচার্যের রুমে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেছে– ‘আপনাকে আমরা বসিয়েছি।’ বস্তুত এর মধ্যেই দেশের উপাচার্য নিয়োগের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। সেখানকার ঘটনার প্রেক্ষাপট যদিও ভিন্ন, তারপরও আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি, শিক্ষক রাজনীতি– এ দুটি প্রক্রিয়া শুধু মতপ্রকাশ বা অধিকার চর্চার মাধ্যম নয়। বরং অনেকাংশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির গোপন ও দৃশ্যমান কাঠামো হিসেবে কাজ করে। একসময় ছাত্র রাজনীতি ছিল আদর্শভিত্তিক আন্দোলনের প্রতীক। শিক্ষকদের রাজনীতি ছিল নীতিনির্ধারণে প্রগতিশীল অংশগ্রহণের নাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এগুলো অনেকাংশে দলীয় আনুগত্য, সুবিধাবাদ, নিয়োগ বাণিজ্য এবং প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য নির্বাহী হলেও দুর্নীতির একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে তিনি একটি অংশমাত্র। এই কাঠামোয় জড়িত থাকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর, রাজনীতি, শিক্ষক সমাজ, আর্থিক দপ্তর এবং...
    কক্সবাজার শুধু ‘পর্যটন নগরী’ নয়; পরিবেশগতভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চল। এ জেলার বিস্তীর্ণ উপকূলজুড়ে সমুদ্র, খাঁড়ি, পাহাড়, বন, কৃষিজমি, বসতি– সবই একে অপরের সঙ্গে গভীর জৈব ভূতাত্ত্বিক বন্ধনে যুক্ত। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক সমন্বয় দীর্ঘকাল ধরে এখানকার জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানুষের জীবন-জীবিকার ভারসাম্য বজায় রেখেছে। কিন্তু এই ভারসাম্য আজ নানাবিধ সংকটে ভুগছে। বন ও কৃষিজমি ধ্বংস করে হোটেল, চিংড়ি ঘের, লবণ খামার ও অবকাঠামো নির্মাণের ফলে ভূপ্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে প্রায় ৩৪ শতাংশ এলাকা উচ্চ বা খুব উচ্চ পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষত উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির গঠনের কারণে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর বনভূমি উজাড় হয়েছে। এতে ভূমিক্ষয় বেড়েছে এবং খাঁড়ির প্রাকৃতিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।  এই প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে পর্যটনের অতিরিক্ত...
    বিস্ময়কর গ্রাম ‘পুনিয়ারটন’। এই গ্রামের চারপাশ ঘিরে আছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা। গোমতী নদীপারের এই গ্রামটি প্রশাসনিকভাবে কুমিল্লার মুরাদনগরে হলেও বাস্তব জীবনে পুনিয়ারটন যেন তিতাসের মাঝখানে এক ছিটমহল! এখানকার মানুষজনও তাই বাস করেন এক ছিটমহলীয় পরাবাস্তবতায়। তিতাস উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে লেগেছে নানা উন্নয়নের ছোঁয়া। কিন্তু পুনিয়ারটন সবকিছু বঞ্চিত। ছোট্ট এই জনপদটি পড়ে আছে সবার চোখের আড়ালে, মনোযোগের বাইরে। নেই রাস্তাঘাট, বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে একটি স্কুল পর্যন্ত। জানা গেছে, পুনিয়ারটন গ্রামটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে শত বছরের বেশি আগে। এর দক্ষিণ পাশ দিয়ে গোমতী নদী প্রবাহিত। উত্তর দিকে তিতাসের কাউনিয়ার বিল, পূর্বদিকে কলাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকনগর গ্রাম ও পশ্চিমে ঘোষকান্দি গ্রাম।  মাত্র ৭০০ মানুষের বসবাস এই প্রত্যন্ত গ্রামে। নেই কোনো পাকা রাস্তা এবং ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা। বর্ষা মৌসুম এলে গ্রামে বৃষ্টি নয়,...
    চারশো বছরের পুরোনো যৌনপল্লি এক রাতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়-এই বাস্তবতাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমা ‘রঙবাজার’। তামজিদ অতুলের গল্প অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। লাইভ টেকনোলজিস প্রযোজিত ‘রঙবাজার’-এর শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। সিনেমার অধিকাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও আলোচিত যৌনপল্লি দৌলতদিয়ায়। নির্মাতা বলেন, ‘‘রঙবাজার’ দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে এটি সব শ্রেণির দর্শকের জন্য নয়, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মনস্তত্ত্বকে কেন্দ্র করেই নির্মাণ। তাই সঠিক সময় বেছে নেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছিল।’ দুর্গাপূজার সময়টিকে নিজের জন্য ‘বিশেষ’ উল্লেখ করে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘গত বছর মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সামগ্রিক অবস্থা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়। এবার পূজায় মুক্তি দিতে চাই। কারণ, এই উৎসবেই আমার “পদ্মাপুরাণ” মুক্তি পেয়েছিল।...
    চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই জানা গেল, অনুদান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম অনেক আগেই পদত্যাগ করেছেন। এ তথ্য মম নিজেই জানিয়েছেন।   ১ জুলাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩২টি চলচ্চিত্রকে মোট ১৩ কোটি টাকার অনুদান প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পরদিন থেকেই এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এ পরিস্থিতিতে জানা গেল—অনুদানের এই তালিকা প্রণয়ন বা অনুমোদনের সঙ্গে জাকিয়া বারী মমর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।  এ বিষয়ে জাকিয়া বারী মম বলেন, “অনুদানের এই তালিকা তৈরি কিংবা ঘোষণার সময়, আমি এই কমিটির অংশ ছিলাম না। ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে ২৫ মে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর। প্রায় এক মাস ধরে আমি এই কমিটির সঙ্গে নেই।”  আরো পড়ুন: ...