2025-11-03@07:49:44 GMT
إجمالي نتائج البحث: 7
«ক ত র ম ন উরন»:
মস্তিষ্কের কোষের জটিল ইলেকট্রোকেমিক্যাল আচরণকে অনুকরণ করতে সক্ষম কৃত্রিম নিউরন তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসসি ভিটারবি স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্কুল অব অ্যাডভান্সড কম্পিউটিংয়ের বিজ্ঞানীরা। নতুন এই উদ্ভাবনের ফলে চিপের আকার বহুগুণে ছোট হওয়ার পাশাপাশি শক্তি খরচও অনেক কমে যাবে। আর তাই এই উদ্ভাবনকে নিউরোমরফিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি বলা হচ্ছে।কৃত্রিম নিউরন দিয়ে তৈরি চিপ প্রচলিত প্রসেসর বা সিলিকনভিত্তিক নিউরোমরফিক চিপের মতো নয়। নিউরনের মতো মস্তিষ্কের নিউরোকেমিক্যালস কাজের পদ্ধতি অনুকরণ করতে পারে বলে চিপটিকে এখনকার প্রচলিত সিলিকনভিত্তিক প্রযুক্তির পরিপূরক বলা হচ্ছে।সিলিকনভিত্তিক প্রযুক্তি বর্তমানে প্রায় সব আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রে শক্তি জোগায়। এর পরিবর্তে বিজ্ঞানীরা নিউরন তৈরির জন্য একটি ডিফিউসিভ যন্ত্র তৈরি করেছেন। যন্ত্রটি কৃত্রিম নিউরন চিপ তৈরি করতে পারে, যা আমাদের মস্তিষ্কের মতো কাজ করবে। যন্ত্রটি মানব মস্তিষ্কের মতো শরীরের...
ইংল্যান্ড ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য নাম ডেভিড ‘সিড’ লরেন্স চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইংল্যান্ড ও গ্লস্টারশায়ারের সাবেক এই পেসার মৃত্যুকালে ৬১ বছর বয়সী ছিলেন। গত বছর মোটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হন লরেন্স। তবে অসুস্থতা তাকে থামাতে পারেনি। রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে গেছেন এই সাবেক ক্রিকেটার। এমন মানবিক অবদানের জন্য চলতি মাসেই পেয়েছিলেন রাজকীয় সম্মাননা ‘এমবিই’। ডেভিড লরেন্স ইতিহাস গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম জন্মসূত্রে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে। ১৯৮৮ সালে লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। যদিও মাত্র পাঁচটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলেই থেমে যায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। গ্লস্টারশায়ারের হয়ে ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ২৮০টি ম্যাচ খেলে ৬২৫ উইকেট নিয়েছেন লরেন্স। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হলেও হাল ছাড়েননি। ১৯৯৭ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরে খেলেন চারটি ম্যাচ। এরপর পেশাদার...
কর্মক্ষেত্রে নতুন কাজ আয়ত্ত করা, গানের সুর মুখস্থ বা অপরিচিত রাস্তায় চলাচল করা– যা কিছুই হোক, আমাদের মস্তিষ্ক যখন নতুন তথ্য গ্রহণ করে, তখন তা এক বিস্ময়কর স্নায়বিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। প্রতিবার যখন আমরা নতুন কিছু অনুশীলন করি, তখন স্নায়ুকোষের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র যোগাযোগ সূক্ষ্মভাবে সেগুলো সামঞ্জস্য করে এবং নিউরন জ্ঞান সঞ্চয়ের জন্য একাধিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে। ‘সিন্যাপস’ নামে পরিচিত কিছু সংযোগ সংকেতগুলো গ্রহণ করে; অন্যরা অতিরিক্ত শব্দ দূর করতে ভূমিকা রাখে। সম্মিলিতভাবে এসব পরিবর্তনকে ‘সিন্যাপটিক প্লাস্টিসিটি’ বলা হয়। কয়েক দশক ধরে স্নায়ুবিজ্ঞানীরা কয়েক ডজন আণবিক পথ তালিকাভুক্ত করেছেন, যা সিন্যাপসকে প্রভাবিত করে। রহস্যময় বিষয় হলো– মস্তিষ্ক অত্যন্ত রহস্যময়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় কোন সিন্যাপসকে ফের গ্রহণ করতে হবে, কোনটি ছেড়ে দিতে হবে। প্রতিটি সিন্যাপসের কেবল তার নিজস্ব স্থানীয় কার্যকলাপে...
সায়েন্স ফিকশন কিংবা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে এক সময় দেখা মিলত মস্তিষ্কের ব্যবচ্ছেদ। মানব মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কয়েকটি টিস্যু বা নিউরন ওলট-পালট করে তাদের কবজা করে নিত কাহিনির নায়ক কিংবা খলনায়করা। এই পুরো বিষয়ের অবতারণা হয়েছিল ব্রেইন ম্যাপিং বা মানব মস্তিষ্কের মানচিত্রকে কেন্দ্র করে। বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষের সময়ে এসে নিজেদের দীর্ঘ পরিশ্রম ও গবেষণায় কল্পনার এ বিষয়কে এবার সত্যি করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একটি ইঁদুরের মস্তিষ্কের ধূলিকণার সমান অংশ ব্যবহার করে তৈরি করা হলো এক ত্রিমাত্রিক মানচিত্র। যে মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে নিউরনগুলো কীভাবে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত এবং কীভাবে তারা কাজ করে। খবর সিএনএনের মাত্র এক ঘনমিলিমিটার মস্তিষ্কের টিস্যুতে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন ৮৪ হাজার নিউরন এবং ৫০ কোটির বেশি সংযোগ বা সিন্যাপ্স। এই অংশে নিউরনের তারের জাল প্রায় ৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার লম্বা,...
ডলফিনের বুদ্ধি, সামাজিক আচরণ ও মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ডলফিনের মস্তিষ্ক অন্য অনেক প্রাণীর তুলনায় বেশ বড় ও জটিল। ডলফিনের সেরেব্রাল করটেক্স বা মস্তিষ্কের বহিরাবরণ ভাঁজযুক্ত যা জাইরিফায়েড নামে পরিচিত। মস্তিষ্কের এই গঠনের কারণে ডলফিন জটিল চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান ও যোগাযোগ করতে পারে। আর তাই দেখতে ভীষণ আদুরে ডলফিনকে সমুদ্রের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী বলা হয়।মানুষ ও অন্যান্য উচ্চ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রাণীর মস্তিষ্কে স্পিন্ডল নিউরন নামের বিশেষ কোষ রয়েছে। এই কোষ আবেগ, সামাজিক আচরণ, বিচার ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত। ডলফিনের মস্তিষ্কেও এই স্পিন্ডল নিউরন রয়েছে। এ ছাড়া ডলফিনের শ্রবণ ও শব্দ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বেশ শক্তিশালী। শুধু তা–ই নয়, দলবদ্ধভাবে শিকার করার পাশাপাশি একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে ডলফিন।আরও পড়ুনডলফিন কি সত্যিই নিজেদের নাম ধরে ডাকতে পারে ২৩...
বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের মস্তিষ্কের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এক মানচিত্র তৈরি করেছেন। এটির মস্তিষ্কের যে অংশের মানচিত্র তাঁরা তৈরি করেছেন, সেখানে বার্তা পাঠানোর সময় ৮৪ হাজার নিউরনকে (স্নায়ুকোষ) সংযুক্ত করে এমন তারের একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। এ চিত্র দেখতে মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের মতোই।এ মানচিত্র তৈরিতে গবেষকেরা ইঁদুরের মস্তিষ্কের ছোট এক খণ্ডাংশ ব্যবহার করেছেন, যেটি আকারে একটি পপিবীজের সমান। গবেষণায় তাঁরা হাজার হাজার এসব নিউরন শনাক্ত ও এগুলো শাখা–প্রশাখার মতো ছড়িয়ে থাকা ফাইবারের মতো কীভাবে যুক্ত থেকে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করে, তা নিরূপণ করেছেন। যোগাযোগের এ প্রক্রিয়ায় সিন্যাপস নামে পরিচিত বিস্ময়কর ৫০ কোটি সংযোগস্থলের অস্তিত্ব লক্ষ করেছেন গবেষকেরা।এ-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত গতকাল বুধবার বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, সে রহস্য উদ্ঘাটনে এ গবেষণাকে একধাপ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা...
কালো রঙের হাতি দেখে অভ্যস্ত আমরা। আর তাই সামনে দেখা না গেলেও সহজে হাতিকে কল্পনা করা সম্ভব। এবার হলুদ রঙের হাতির কথা ভাবুন তো! দেখবেন, আপনি মনে মনে ঠিকই হলুদ রঙের হাতি দেখছেন। এমন বিমূর্ত চিন্তা প্রাণিকুলের মধ্যে শুধু মানুষই করতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের মনের মধ্যে অনেক কিছু চলতে থাকে। নানা চিন্তাভাবনা সব সময়ই মানুষের মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখে। মানুষের বিমূর্ত চিন্তাভাবনার কৌশল অন্য সব প্রাণী থেকে আলাদা। শারীরিকভাবে দৃশ্যমান নয় এমন সব ভাবনা বা বস্তু সম্পর্কে ধারণা চিন্তাভাবনার একটি উচ্চ স্তরের রূপ বলা হয়।প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কের কোষের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা বিমূর্ত চিন্তাভাবনা করার কৌশল বের করেছেন। মস্তিষ্কের নিউরন কীভাবে এমন কৌশলে কাজ করেছে তা বের করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। স্পেনের হসপিটাল ডেল মার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের...
