বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে আহাদ আলী (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় নাগরিকরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কর্মধা ইউনিয়নের দশটেকি (নতুন বস্তি) এওলাছড়া নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে।

কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার বলেন, “মৃতদেহ মর্গে রয়েছে। হত্যাকারী ভারতীয় নাগরিক বলে জেনেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৫

নিহত আহাদ আলী একই ইউনিয়নের এওলাছড়া বস্তি এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে।

কর্মধা ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহীন আহমদ জানান, রবিবার দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় বাংলাদেশি নাগরিক আহাদ আলীর। এক পর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলী ও তার সহযোগিরা আন্তর্জাতিক সীমানা রেখার ১০৮৩ এর ৩৪ এস এর ৫ গজ ভেতরে ঢুকে আহাদ আলীকে  কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় আহাদ আলীকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীর সঙ্গে নিহত আহাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। 

কর্মধা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস‍্য সিলভার স্টার পতেঙ্গা বলেন, “আমি শুনেছি, সীমান্তে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।”

কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান হেলাল আহমেদ বলেন, “শুনেছি ভারতীয়দের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল দূরে হওয়ায় আমি সেখানে যেতে পারিনি।”

ঢাকা/আজিজ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা—দু’জায়গাতেই নিজের অভিনয়গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এবার সেই সমালোচনা নিয়ে খোলামেলা মুখ খুললেন ভাবনা। 

আরো পড়ুন:

সিনেমায় জুটি বাঁধলেন ইয়াশ-তটিনী

‘বেহুলা দরদী’ রূপে পর্দায় স্নিগ্ধা

এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে ভাবনা বলেন, “একজন লুকিয়ে লুকিয়ে লিখছে, যার নামহীন একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট—না কোনো নাম, না কোনো পরিচয়! এখন সে কোথায় বসে কী লিখছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।” 

তার মতে, ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে আসা সমালোচনা বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য কখনো তার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে না। ভাবনা বলেন, “যারা নিজেদের মুখ লুকিয়ে কথা বলে, তাদের মতামত আমার কাছে কোনো গুরুত্ব রাখে না।”

অভিনেত্রীর ভাষায়, নিজের কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখাই তার মূল নীতি। সমালোচনা বা প্রশংসা—দুটোই তিনি সামলান এক ধরনের ভারসাম্যের সঙ্গে। ভাবনা বলেন, “আমি জানি, আমি কী করছি। কারো ভালো লাগা বা খারাপ লাগা আমার কাজের মান নির্ধারণ করে না। আমি আমার পথেই থাকব, এটাই আমার বিশ্বাস।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ