ফতুল্লায় মুক্তিপন দাবিতে যুবক অপহরণ
Published: 27th, January 2025 GMT
ফতুল্লায় তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ে হাবিবুর (২১) নামের এক যুবক কে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অপহৃত যুবকের বাবা আজিজুল হক বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অজাতনামাদের আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে অপহৃত যুবক হাবিবুর দাপা পোস্ট অফিস রোডের ইউনিয়ন পরিষদ গলির ভাড়া বাসা থেকে বের হয়। রাত দশটার দিকে অপহৃত যুবকের মোবাইল ফোন থেকে অজাতনামা অপহরবকারী ফোন করে বাদী কে জানায় তিন লাখ টাকা দিলে তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে অন্যথায় আটকে রাখা হবে। অপহরনকারীরা বাদীকে জানায় যে তার ছেলেকে ফতুল্লার নবীনগর এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে। একপর্যায়ে অপহরন কারীরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে ফেলে।
বাদী আজিজুল হক জানায়, তারা একেবারেই গরীব।দাবীকৃত তিনলাখ টাকা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলার পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছে। পরবর্তীতে রোববার(২৫ জানুয়ারি) দুপুরে সে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এখনো তার ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াসিম খান জানান, অভিযোগ পেয়ে গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।