টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর মিজানুর রহমান সুমন প্রামাণিক (৪০) মারা গেছেন। ৪২ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার রাত ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। 
তিনি ফুলবাড়ী উপজেলার বিদ্যাবাগিশ গ্রামের ছফুর আলী প্রামাণিকের ছেলে। সুমনের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। 
সুমনের তাবলিগ জামাতের সাথি ভাই মমিনুল ইসলাম জানান, স্কুলজীবন থেকে মাওলানা সাদ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুমন। প্রতি বছর তাদের এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় আসেন। এবারও তারা এসেছিলেন। ঘটনার দিন সুমন তাদের প্যান্ডেলে ছিলেন না। সংঘর্ষ শুরু হলে তারা আত্মরক্ষার্থে ছড়িয়ে পড়েন। পরে অনেক খুঁজলেও সুমনকে আর পাওয়া যায়নি। চার দিন পর ফেসবুকে ছবি দেখে তারা জানতে পারেন, সুমন ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি। 
সুমনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছফুর আলী জানান, অকালে আমার একমাত্র ছেলে মারা গেল। আমি এর সঠিক বিচার চাই। 
ফুলবাড়ী থানার ওসি মামুনুর রশীদ গতকাল বিকেলে জানান, সুমনের মরদেহ গ্রামে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স মন র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ