মৃত্যুর সঙ্গে ৪২ দিন লড়ে হার মানলেন সাদপন্থি সুমন
Published: 28th, January 2025 GMT
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর মিজানুর রহমান সুমন প্রামাণিক (৪০) মারা গেছেন। ৪২ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার রাত ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
তিনি ফুলবাড়ী উপজেলার বিদ্যাবাগিশ গ্রামের ছফুর আলী প্রামাণিকের ছেলে। সুমনের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
সুমনের তাবলিগ জামাতের সাথি ভাই মমিনুল ইসলাম জানান, স্কুলজীবন থেকে মাওলানা সাদ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুমন। প্রতি বছর তাদের এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় আসেন। এবারও তারা এসেছিলেন। ঘটনার দিন সুমন তাদের প্যান্ডেলে ছিলেন না। সংঘর্ষ শুরু হলে তারা আত্মরক্ষার্থে ছড়িয়ে পড়েন। পরে অনেক খুঁজলেও সুমনকে আর পাওয়া যায়নি। চার দিন পর ফেসবুকে ছবি দেখে তারা জানতে পারেন, সুমন ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি।
সুমনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছফুর আলী জানান, অকালে আমার একমাত্র ছেলে মারা গেল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
ফুলবাড়ী থানার ওসি মামুনুর রশীদ গতকাল বিকেলে জানান, সুমনের মরদেহ গ্রামে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স মন র
এছাড়াও পড়ুন:
চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?
ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।
ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।