ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে মহাকুম্ভ মেলায় পদদলনের শিকার হয়ে নিহত বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মৌনী অমাবস্যায় ‘অমৃত স্নান’ করার হুড়োহুড়িতে গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী— তিন নদীর সঙ্গমে বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আচমকা ধাক্কাধাক্কি শুরু হওয়ায় ভিড়ের মধ্যে আটকে পড়েন অনেকে। দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। নিহত ও আহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। 

মেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেককেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। সংখ্যাটা ১৫ এর বেশি হতে পারে।

ত্রিবেণী সঙ্গমে মৌনী অমাবস্যায় স্নান করতে দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেছিলেন মহাকুম্ভে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রয়াগরাজে ভিড় বাড়তে থাকে। প্রশাসনের তরফে বার বার ঘোষণা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে মেলা প্রাঙ্গণের অনেক ব্যারিকেড ভেঙে গিয়েছে।

মঙ্গলবার মাঝরাত থেকেই বহু পুণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিড় করতে শুরু করেন। রাত ২টার দিকে ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের কাছে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে মেলার প্রশাসন জানায়।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। ১৯ নম্বর সেক্টরে গীতা প্রেসে প্রথম আগুন লাগে। এরপর সেখান থেকে আশপাশের ৫০টি তাঁবুতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।  

জানা যায়, মহাকুম্ভ উপলক্ষে প্রয়াগরাজে এই মুহূর্তে কোটি কোটি পুণ্যার্থীর ভিড়। বিস্তীর্ণ মেলাপ্রাঙ্গণকে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করে নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সর্বক্ষণ মোতায়েন রয়েছেন দমকলকর্মী। অগ্নিকাণ্ডের পর পদপিষ্টের ঘটনা— কুম্ভমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার শ্রমিক সমাবেশে সজল- সাহেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের অংশগ্রহণ 

১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ঢাকা নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে মহানগর মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে অংশগ্রহন করেছে ।

বৃহস্পতিবার (১ মে ) দুপুর দুইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  এতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।

এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর,সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানারষ ও উপজেলা বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ