যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) গতকাল রোববার ইন্টার মায়ামির হয়ে নিয়মিত মৌসুমের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার হ্যাটট্রিকে নাশভিলের বিপক্ষে মায়ামি পেয়েছে ৫–২ গোলের বড় জয়।

দলকে জেতানোর পথে এটা ছিল মেসির ক্যারিয়ারের ৬০তম হ্যাটট্রিক। ২০২৫ সালে এটা মেসির প্রথম হ্যাটট্রিক। এর আগে সর্বশেষ ২০২৪ সালের অক্টোবরে হ্যাট্রটিক করেন ইন্টার মায়ামি তারকা।

ক্যারিয়ারে ৬০ বার এক ম্যাচে ৩ বা তার বেশি গোল করার কীর্তি গড়লেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে এ পরিসংখ্যানে পিছিয়ে মেসি। রোনালদো এখন পর্যন্ত ৬৬টি হ্যাটট্রিক করেছেন। রোনালদোকে ছুঁতে আরও ৬টি হ্যাটট্রিক করতে হবে মেসিকে।

আরও পড়ুনমেসি করলেন হ্যাটট্রিক, বড় জয়ে মৌসুম শেষ মায়ামির১৯ অক্টোবর ২০২৫

রোনালদোর চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও হ্যাটট্রিকের শুরুটা কিন্তু মেসিই আগে করেছিলেন। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়কের প্রথম হ্যাটট্রিক ২০০৭ সালে। রোনালদোর প্রথম হ্যাটট্রিক ২০০৮ সালে।

২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অন্তত একটি করে হলেও হ্যাটট্রিক করেছেন দুই কিংবদন্তি। চলতি বছর মেসি হ্যাটট্রিক পেলেও রোনালদো এখনো হ্যাটট্রিকের দেখা পাননি।

শেষ পর্যন্ত যদি রোনালদো এ বছর হ্যাটট্রিক না পান তবে ২০০৯ সালের পর এই প্রথম একটি বছর হ্যাটট্রিকবিহীন থাকবেন ‘সিআর সেভেন।’ হ্যাটট্রিক করার হারে অবশ্য রোনালদোর চেয়ে মেসিই এগিয়ে। মেসি গড়ে প্রতি ১৮.

৮ ম্যাচে একবার করে হ্যাটট্রিক করেছেন, রোনালদো গড়ে প্রতি ১৯.৬ ম্যাচে একবার করে।

আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ: মেসি-রোনালদো-নেইমার, কে থাকবেন কে থাকবেন না২৩ এপ্রিল ২০২৫

মেসি ও রোনালদো জাতীয় দলের হয়ে সমান ১০টি করে হ্যাটট্রিক করলেও পার্থক্য গড়ে দিয়েছে মূলত ক্লাব ক্যারিয়ারে হ্যাটট্রিকসংখ্যা। ক্লাবের হয়ে লিগে রোনালদোর হ্যাটট্রিক যেখানে ৪৫টি, সেখানে মেসির হ্যাটট্রিক ৩৮টি। চ্যাম্পিয়নস লিগে অবশ্য দুজনেরই হ্যাটট্রিকসংখ্যা সমান ৮টি করে। লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগের বাইরে অন্যান্য কাপ টুর্নামেন্টে মেসি হ্যাটট্রিক করেছেন ৪টি এবং রোনালদোর হ্যাটট্রিক ৩টি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

৭ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে ফিরছে জেএসএস

পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বড় আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) জাতীয় নির্বাচনের রাজনীতিতে ফিরছে। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটি।

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি—তিন আসনেই প্রার্থী দেবে দলটি। তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে জেএসএস।

২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জেএসএসের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, নির্বাচন হলে জেএসএস অংশ নেবে। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ঊষাতন তালুকদার। তবে দেশের ওই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আসনে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী দীপংকর তালুকদারকে হারিয়ে জিতেছিলেন জেএসএসের সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার।

জেএসএস সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আসনে দ্বিতীয় হয়েছিলেন জেএসএসের সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার।

জাতীয় নির্বাচনে জেএসএসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্বাচনী রাজনীতির হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রগুলো। কেননা, ৫০ বছরের বেশি পুরোনো পাহাড়ের এই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ প্রভাব রয়েছে।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাবনা কার্যত নেই। এতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মূল লড়াই হওয়ার কথা থাকলেও পাহাড়ে তা হচ্ছে না। এখানে অন্যতম মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকবে জেএসএস। ইউপিডিএফও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ঊষাতন তালুকদার। তবে দেশের ওই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা জানান, পাহাড়ের স্থানীয় ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে ভূমিকা রাখে আঞ্চলিক দলগুলো। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) না থাকায় এই দলগুলোর গুরুত্ব আরও বাড়বে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭২ সালে। সক্রিয় রাজনৈতিক দল না হলেও ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতি কল্যাণ পরিষদের’ ব্যানারে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম এন) লারমা। যিনি জেএসএসের প্রতিষ্ঠাতা।

পার্বত্য চুক্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে গঠিত হয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। ২০০৭ সালে জেএসএস ভেঙে তৈরি হয় জেএসএস (এম এন লারমা)। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফ ভেঙে তৈরি হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)।

জেএসএসের সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষাসংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি
  • ৫ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৪২%
  • কোহিনূর কেমিক্যালের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
  • মূল্যস্ফীতি আবার বাড়ল, নভেম্বরে এই হার ৮.২৯ শতাংশ
  • ৭ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে ফিরছে জেএসএস
  • প্রেমে ছিল চরম টানাপোড়েন! ‘চুলোচুলি করাটাই বাকি ছিল’—সোনাক্ষী
  • বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ-মাদ্রাসায় অনার্স শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে অন্তর্বর্তী সরকার
  • আন্তর্জাতিক তহবিল কমায় চলতি বছর শিশুমৃত্যু বাড়তে পারে ২ লাখের বেশি: গেটস ফাউন্ডেশন