ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তানভীর তারেকের রচনা ও পরিচালনায় আসছে নাটক ‘ফাঁদের প্রেমে’। নাটকটি ১৪ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা-কানাডাভিত্তিক চ্যানেল এটিভি ইউএসএ’র ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক হিসেবে প্রচার হবে।

একই সঙ্গে আশা মাল্টিমিডিয়া চ্যানেলে সারা বিশ্বের জন্য ইউটিউব প্রিমিয়ার করা হবে তার পরদিন অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি।

রোমান্টিক থ্রিলারধর্মী এই নাটকের গল্প মূলত আমেরিকায় বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন, প্রেম ও সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে তৈরি। নাটকটির একটি বিশেষ ধারাবর্ণনায় অংশ নিয়েছেন আরও একজন অভিনয়শিল্পী।

‘ফাঁদের প্রেমে’ নাটকটির নির্মান প্রসঙ্গে পরিচালক তানভীর তারেক বলেন,‘যেহেতু দীর্ঘদিন গল্প-গদ্য লিখি, তাই নাটককে আমি মনে করি তার দৃশ্য বর্ণনা। প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় আগে আমি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, অপূর্ব, নাদিয়াকে নিয়ে একটি নাটক নির্মাণ করেছিলাম। কাকতালীয়ভাবে সেটিও ছিল ভালোবাসা দিবসেরই নাটক। এবারও নিজের লেখা ভালোবাসা দিবসের নাটক নিয়েই দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছি। আশা করি দর্শকেরা নাটকের গল্পে এক ধরনের নতুনত্ব পাবেন।’

‘ফাঁদের প্রেমে’ নাটকে একটি রোমান্টিক গান থাকছে, যার কথা, সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন তানভীর তারেক। গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন অভিজিৎ জিতু।

নাটকটির আবহসংগীত করছেন রাজেশ মজুমদার। চিত্রগ্রহণে শাহনেওয়াজ হাসিব, সম্পাদনা করছেন এস এম তুষার। এটি আশা মাল্টিমিডিয়ার প্রথম প্রযোজনা।

নাটকটি প্রসঙ্গে প্রযোজক আশা মাল্টিমিডিয়ার এশা রহমান বলেন, ‘ফাঁদের প্রেমে’ নাটকটির মাধ্যমে আমরা যাত্রা শুরু করলাম। এরই ভেতরে আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছি। পাশাপাশি নিয়মিত নাটকের প্রযোজনা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই কোয়ালিটি প্রডাকশনের মাধ্যমে দর্শকদের বিনোদন ও সোশ্যাল মেসেজ দিতে।’

‘ফাঁদের প্রেমে’ নাটকটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের একাধিক লোকেশনে ধারণ করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাঈদ বাবু, লাক্স তারকা সিফাত তাহসিন, আকাশ রহমান, আনোয়ার হোসেন, শাহ আলম দুলাল, রুমা আলম, সৌরভ ইমাম, রাজসহ একাধিক অভিনয় শিল্পী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টকট র

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ