ফতুল্লায় আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ
Published: 29th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেলপাড়ায় আবাসিক এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশ দুষণকারী এম আলী টেক্সটাইল মিলটি দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। এসময় অনুলিপি হিসাবে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া এলাকাবাসীর পক্ষে হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ'র স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া খেলার মাঠ এলাকাটি আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। একটি আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে এম আলী টেক্সটাইল মিল নামে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে।
কারখানার মেশিনের বিকট শব্দ, বায়ু দুষন সহ নানা ধরনের সমস্যার কারণে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপন্ন করে তুলেছে। প্রতিনিয়ত কারখানা অগ্নিকান্ড সহ নানা ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে। এতে করে ঐ এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
কারখানার শব্দ দূষণ ও ভাইব্রেশনে এলাকা জুড়ে কাঁপতে থাকে। এতে করে এলাকার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হয় তেমনি এই এলাকার বাসিন্দারা মনে আতঙ্ক নিয়ে রাতে ঘুমাতে হয়।
এভাবে মানুষের জীবন চলতে পারে না। তাই এই অবৈধ এম আলী টেক্সটাইল উচ্ছেদ করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে যা এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
অভিযোগ দায়েরের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহিদুল ইসলাম দেলপাড়ার লোকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এমনটাই জানিয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।