কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অফিসে গুলি চালিয়েছে ‍ মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা। অফিসের সীমানা প্রাচীরের বাইরে থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। 

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শিহাবুর রহমান ও কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস প্রাঙ্গণে ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন’ এর কর্মী সম্মেলন চলছিল। আজ দুপুর ২টার দিকে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা সীমানা প্রাচীরের বাইরে থেকে অফিস প্রাঙ্গণের দিকে গুলি চালায়। সীমানা প্রাচীরের পেছনে গড়াই নদীর দিক থেকে সন্ত্রাসীরা এসে গুলিবর্ষণ করে সেদিক দিয়েই পালিয়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরো পড়ুন:

মসজিদের সিঁড়িতে ব্যবসায়ীকে গুলি

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, “আমাদের অনুষ্ঠান চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, “আজ দুপুর ২টার দিকে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস প্রাঙ্গণে গুলি করে পালিয়ে যায়। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা আমরা ধারণা করতে পারছি না। কি কারণে এই ঘটনা তাও জানি না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শিহাবুর রহমান বলেন, “দুপুরে দিকে গুলির ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ