পাওনা টাকা বুঝে না পাওয়ায় হোটেল ছাড়তে পারছিলেন না দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচরা। রাজশাহী বিপিএলের লিগ পর্ব থেকেই বাদ পড়লেও পাওনা টাকা না বুঝে নিয়ে ঢাকা ছাড়তে রাজি নন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিদেশিরা। তবে বিকেলে এক বিবৃতি দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, আজ থেকে তাদের বিদেশি ক্রিকেটার, কোচ ও কোচিং স্টাফরা ঢাকা ছাড়বেন। সেখানে কে কখন ঢাকা ছাড়বে সেটার সময়সূচিও দিয়ে দিয়েছে রাজশাহী।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্বার রাজশাহীর হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণ শেষে বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা আজ রাত থেকে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। রাজশাহীর জিম্বাবুয়াইন অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল আজ রোববার দিবাগত রাত ৩টায় ইথিওপিয়া এয়ারওয়েজে করে হারারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস থাই এয়ারওয়েজে করে ১টা ৪০ মিনিটে লাহোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।

হেড কোচ আজাজ আহমেদ আগামীকাল ঢাকা ছাড়বেন। অন্যদিকে মিগুয়েল কামিন্স আগামী বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ছাড়বেন। অন্যান্য খেলোয়াড়রা যত দ্রুত সম্ভব টিকিট পাওয়া সাপেক্ষে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।

আরো পড়ুন:

হোটেলবন্দী বার্ল-হারিসরা, পাচ্ছেন না দেশে ফেরার টিকিট

আলো ছড়িয়ে উজ্জ্বল তারা

অবশ্য বিপিএলের এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। তারা ঠিকমতো খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দিতে পারেনি। সেটা কেবল দেশি নয়, বিদেশি ক্রিকেটারদেও যথাসময়ে পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি। সে কারণে পাওনা টাকা না নিয়ে হোটেল ছাড়তে রাজি হয়নি বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা। তাইতো তারা নির্দিষ্ট সময়ের পরও স্বেচ্ছায় হোটেলবন্দি হয়ে ছিলেন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ