আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পাওয়ার প্লে’তে ভারতের সর্বোচ্চ রান কতো? ২০২১ সালে দুবাইতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৮২ রান তুলেছিল ভারত। ২০২৪ সালে হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষেও তারা ১ উইকেটে তুলেছিল ৮২ রান। কিন্তু আজ সেটাকে ছাড়িয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়ল তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাওয়ার প্লে’তে ৯৫ রান তুলেছে ভারত। অর্থাৎ মাত্র ৩৬ বলে তারা দলীয় সংগ্রহে যোগ করে ৯৫ রান। 

ব্যাট করতে নেমে যোফরা আর্চারের করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান সঞ্জু স্যামসন। ওভারের শেষের দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকান ভারতের ওপেনার। তাতে প্রথম ওভারেই তোলেন ১৬ রান। দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য স্যামসন আউট হয়ে যান। ওই ওভারে তারা ৫ রানের বেশি নিতে পারেনি। আর্চারের করা তৃতীয় ওভারে দুটি ছয় ও এক চারে ১৮ রান তোলেন অভিষেক শর্মা। মার্ক উডের করা চতুর্থ ওভারে দুটি চার ও এক ছক্কায় তোলেন আরও ১৬ রান। জেমি ওভারটনের করা পঞ্চম ওভারটি ছিল খুবই ব্যয়বহুল। তিনি অভিষেক ও তিলক ভার্মা তাকে তিনটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়ে ২৫ রান তোলেন। তারা দুজন লিয়াম লিভিংস্টনের করা ষষ্ঠ ওভারে নেন ১৫ রান। তাতে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ভারতের রান গিয়ে ঠেকে ৯৫ তে। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

অভিষেক শর্মার ঝড়ে ১০ ওভার শেষে ভারতের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৪৩ রান। অভিষেক ১৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। আর ৩৭ বলে করেন সেঞ্চুরি। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম। তার আগে রোহিত শর্মা ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

আরো পড়ুন:

আমি ন্যাচারালি এভাবেই খেলি- ২৯ ছক্কার রহস্য নিয়ে তানজিদ

৩৪৬ রানের ইনিংস খেলে ইরার রেকর্ড

শেষ পর্যন্ত তিনি মাত্র ৫৪ বলে ৭টি চার ও ১৩ ছক্কায় ১৩৫ রান করে আউট হন। তাতে ভারতের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৯ উইকেটে গিয়ে দাঁড়ায় ২৪৭।

অভিষেকের পর শিভম দুবে ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩০, তিলক ভার্মা ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪, সঞ্জু স্যামসন ১৬ ও অক্ষর প্যাটেল করেন ১১ বলে ২ চারে ১৫ রান।

বল হাতে ইংল্যান্ডের ব্রাইডন কার্স ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মার্ক উড ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড র র কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন

চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনে শেষে ডিএসইতে এ দিন ৩০০টি বা ৭৫.৩৮ শতাংশের বেশি শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দরপতন হয়েছে।

এ দিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে কিছুটা বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

আরো পড়ুন:

৭ কোটি টাকা সংগ্রহে লিও আইসিটি ক্যাবলসের কিউআইও’র আবেদন

বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আইসিএসবির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকাল থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেনের শুরু হয়। লেনদেনের শেষ হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। তবে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৪.৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬১ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২.৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২১.৯৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৫টি কোম্পানির, কমেছে ৩০০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৩টির।

ডিএসইতে মোট ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৯.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭.৯৭ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২২৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ২.১৬ পয়েন্ট কমে ৮৯৬ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৪.২৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪২টি কোম্পানির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।

সিএসইতে ২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ