ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে রিফাত আহমেদ (১৫) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ছয় দিন পর সোমবার সকালে উপজেলার মির্জাকান্দা গ্রামের একটি সরিষা ক্ষেতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি রিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

রিফাত মির্জাকান্দা গ্রামের ভ্যানচালক মফিজুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বাবার অভাবের সংসার, তাই মাঝেমধ্যে রিফাতও ভ্যান চালাত। 

গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে ভ্যান নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রিফাত হত্যার ঘটনায় পুলিশ এরই মধ্যে মো.

মিরাজ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি উপজেলার চেচুয়া গ্রামে।

পুলিশ বলছে, রিফাতের সঙ্গে থাকা ভ্যানটি চুরির উদ্দেশ্যেই তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে ওই কিশোর।

এলাকাবাসী জানায়, মফিজুল ইসলামের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার ছোট রিফাত। সে পাশের গ্রামের কাতলশা শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়ত। ২৭ জানুয়ারি বিকেলে ভ্যান গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে রিফাতের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দু’দিন পরও বাড়ি না আসায় তার পরিবারের সদস্যরা ২৯ জানুয়ারি মুক্তাগাছা থানায় জিডি করে। এর পর পুলিশ রিফাতকে উদ্ধারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চেচুয়া এলাকার মিরাজ নামে এক যুবককে রোববার গভীর রাতে মুক্তাগাছা শহরের মনিরামবাড়ী এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে মির্জাকান্দা গ্রামের একটি সরিষা ক্ষেতে মাটি খুঁড়ে রিফাতের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ভ্যান চুরির উদ্দেশ্যে শিশু রিফাতকে গলা কেটে হত্যা করে মিরাজ সরিষা ক্ষেতে লাশ পুঁতে রেখেছিল। গ্রেপ্তার মিরাজ স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার ও খোয়া যাওয়া ভ্যানটি উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।                  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ