ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি খুলনা-চিটাগং
Published: 5th, February 2025 GMT
প্রতিপক্ষ হিসেবে চিটাগং কিংস নাকি ফরচুন বরিশাল কাকে পেলে বেশি খুশি হবেন নাসুম আহমেদ? জানতে চাওয়া হয়েছিল এলিমিনেটর ম্যাচের পর। নায়ক হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাসুমের সহজ স্বীকারক্তি, ‘‘যে-ই আসুক। টি-টোয়েন্টিতে সবাই।’’
নাসুমের এমন কথার ভিত্তি খুব একটা নেই। কেননা ফরচুন বরিশাল প্রথম কোয়ালিফায়ারে কোনো পাত্তাই দেয়নি চিটাগং কিংসকে। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে তারা এরই মধ্যে ফাইনালে। আজ একই মাঠে একই সময়ে মুখোমুখি চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্স।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যারা জিতবে তারা তামিম ইকবালদের বিপক্ষে খেলবে ফাইনাল। খুলনা আছে এখন দারুণ ছন্দে। শেষ কয়েকটি ম্যাচ তাদের জন্য ছিল বাঁচা-মরার। সেখানে পরীক্ষায় পাশ করে তারা এখন ফাইনালের পথে। আর একটি জয় তাদেরকে দিতে পারে স্বপ্নের চেয়ে বড় কোনো মুহূর্ত।
খুলনার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি এ নিয়ে দশমবার বিপিএল আসরে খেলছে। এর আগে চারবার খুলনা প্লে-অফ খেলে একবার মাত্র ফাইনালে উঠতে পেরেছে। ২০২০ সালের বিপিএল ফাইনালে রাজশাহীর কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছে। এবার খুলনার জন্য সুযোগ আরেকবার ফাইনালে ওঠার।
লিগ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল চিটাগং-খুলনা। প্রথম দেখায় খুলনা ৩৭ রানে এবং দ্বিতীয়বার চিটাগং ৪৫ রানে ম্যাচ জিতেছিল। ১-১ এ সমতা দুই দলের লড়াই। তৃতীয়বার কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।
২০১৩ সালের পর কখনোই ফাইনালে উঠতে পারেনি চিটাগং কিংস। সেবার রানার্সআপ হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচ বার প্লে-অফ খেলে বিদায় নিয়েছে চট্টগ্রামের দল। শিরোপা তাদের জন্য কতটা আরাধ্য বলে বোঝানো সম্ভব নয়। খুলনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন জেসন হোল্ডার ও শিমরন হেটমায়ার। চিটাগং কিংস বড় কোনো তারকাকে দলে ভেড়ায়নি। এর পেছনে কারণও আছে।
দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বলেছেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ওরকম কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা ওটাতে (বড় নাম) বিশ্বাসীও নই। শুধু বড় নাম হলেই হয় না। আমাদের যদি দেখেন যারা খেলেছে পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছে। এই কন্ডিশনের সঙ্গে ওদের অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। আমরা ওইটা বিশ্বাস করি না যে, একটা বড় নাম আনলেই ও ডেলিভারী করে দেবে। ও তো না-ও করতে পারে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’