প্রতিপক্ষ হিসেবে চিটাগং কিংস নাকি ফরচুন বরিশাল কাকে পেলে বেশি খুশি হবেন নাসুম আহমেদ? জানতে চাওয়া হয়েছিল এলিমিনেটর ম্যাচের পর। নায়ক হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাসুমের সহজ স্বীকারক্তি, ‘‘যে-ই আসুক। টি-টোয়েন্টিতে সবাই।’’

নাসুমের এমন কথার ভিত্তি খুব একটা নেই। কেননা ফরচুন বরিশাল প্রথম কোয়ালিফায়ারে কোনো পাত্তাই দেয়নি চিটাগং কিংসকে। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে তারা এরই মধ্যে ফাইনালে। আজ একই মাঠে একই সময়ে মুখোমুখি চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্স।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যারা জিতবে তারা তামিম ইকবালদের বিপক্ষে খেলবে ফাইনাল। খুলনা আছে এখন দারুণ ছন্দে। শেষ কয়েকটি ম্যাচ তাদের জন্য ছিল বাঁচা-মরার। সেখানে পরীক্ষায় পাশ করে তারা এখন ফাইনালের পথে। আর একটি জয় তাদেরকে দিতে পারে স্বপ্নের চেয়ে বড় কোনো মুহূর্ত। 

খুলনার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি এ নিয়ে দশমবার বিপিএল আসরে খেলছে। এর আগে চারবার খুলনা প্লে-অফ খেলে একবার মাত্র ফাইনালে উঠতে পেরেছে। ২০২০ সালের বিপিএল ফাইনালে রাজশাহীর কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছে। এবার খুলনার জন্য সুযোগ আরেকবার ফাইনালে ওঠার।

লিগ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল চিটাগং-খুলনা। প্রথম দেখায় খুলনা ৩৭ রানে এবং দ্বিতীয়বার চিটাগং ৪৫ রানে ম্যাচ জিতেছিল। ১-১ এ সমতা দুই দলের লড়াই। তৃতীয়বার কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার। 

২০১৩ সালের পর কখনোই ফাইনালে উঠতে পারেনি চিটাগং কিংস। সেবার রানার্সআপ হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচ বার প্লে-অফ খেলে বিদায় নিয়েছে চট্টগ্রামের দল। শিরোপা তাদের জন্য কতটা আরাধ্য বলে বোঝানো সম্ভব নয়। খুলনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন জেসন হোল্ডার ও শিমরন হেটমায়ার। চিটাগং কিংস বড় কোনো তারকাকে দলে ভেড়ায়নি। এর পেছনে কারণও আছে।

দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বলেছেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ওরকম কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা ওটাতে (বড় নাম) বিশ্বাসীও নই। শুধু বড় নাম হলেই হয় না। আমাদের যদি দেখেন যারা খেলেছে পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছে। এই কন্ডিশনের সঙ্গে ওদের অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। আমরা ওইটা বিশ্বাস করি না যে, একটা বড় নাম আনলেই ও ডেলিভারী করে দেবে। ও তো না-ও করতে পারে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ