সিনেমার পাঠশালা খুলছেন অমিতাভ রেজা
Published: 5th, February 2025 GMT
নন্দিত বিজ্ঞাপন নির্মাতা এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী সিনেমা পাঠশালা নিয়ে একটি ভার্চুয়াল ফিল্ম স্কুল চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন।
‘সিনেমা পাঠশালা’ নামে এই ভার্চুয়াল ফিল্ম স্কুল আগামী প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি ছয় সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কোর্স চালু করছে, যেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণের গল্প বলার কৌশল, সিনেমাটোগ্রাফিক টেকনিক এবং হাতে-কলমে চিত্রনাট্য উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে৷ কোর্সের অন্যতম আকর্ষণ হলো ‘ওয়ান-টু-ওয়ান শর্ট ফিল্ম স্ক্রিপ্ট ডেভেলপমেন্ট সেশন’। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা অমিতাভ রেজা এবং আমন্ত্রিত অতিথি প্রশিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, “সিনেমা হলো শক্তিশালী গল্প বলার একটি মাধ্যম, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমি নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পথচলায় দিকনির্দেশনা দিতে চাই।”
তিনি জানান, ক্লাস শুরু হবে আগামী মার্চ থেকে। এই কোর্সটি প্রতি বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনও স্থান থেকে আগ্রহীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেবে এই প্লাটফর্ম।
অমিতাভ রেজা এক ফেসবুক ষ্ট্যাটসে লেখেন, ‘এতদিন ধরে আমি যে ছায়ার রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি তার নাম সিনেমা। ৩০ বছরের এই যাত্রা আমার জন্য শুধু পেশা নয়, এটা আমার বাড়ি, আমার উন্মাদনা — আমার পৃথিবীকে বোঝার উপায়। গল্প বলা কখনোই শেষ হয় না; এটা একটা অনন্ত পথচলা। আর এখন, এই পথের মাঝখানে দাঁড়িয়ে, আমি খুঁজছি কিছু নতুন সহযাত্রী—যারা ছবিতে শ্বাস নেয়, যারা স্বপ্ন দেখে, আর শব্দের গভীরে হারিয়ে যায়।সই কারণেই আমি শুরু করছি ভার্চুয়াল সিনেমা পাঠশালা। নতুন এই উদ্যোগটি আমি সাজিয়েছি ছয় সপ্তাহের পাইলট অনলাইন কোর্স দিয়ে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত