সংস্কারের কথা বলে কিছু মানুষ নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপি আড়াই বছর আগেই সংস্কারের কথা বলেছে। কারণ বিএনপি বিশ্বাস করতো স্বৈরাচারের বিদায় হবেই। খেয়াল করছি, কিছু মানুষ সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করছে। আমাদের দেখতে হবে, এই সংস্কার সংস্কার বলা কোনো ষড়যন্ত্র কিনা।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সোনাগাজী ছাবের পাইলট হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার যুবদল নেতা শহীদ মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে নতুন বাড়ি উপহার উপহার দেন তারেক রহমান। এছাড়া চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের শহীদের পরিবারের মাঝেও বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, হাজার-লক্ষ মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্যই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। যদি বিচার না হয় হয়, তাহলে খুন ও গুমকারীরা আরও উৎসাহ পাবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাকে কোনোভাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এই প্রশ্নে সবাইকে এক হতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতেই হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করে, যেখানে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে, স্বচ্ছতা থাকবে। এমন একটি দেশ গড়তে কাজ করতে হবে। শহীদদের আত্মার মর্যাদা দিতে হলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতসহ ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উপদেষ্টা, সদস্য সচিব ও অন্যান্য সদস্যরা।

বুধবার দুপুরে সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া গ্রামে শহীদ মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর একটি প্রতিনিধি দল নব-নির্মিত বাড়ি উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ মাসুদ ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার যুবদল নেতা ছিলেন। ২০১৬ সালের ২২ জুন পুলিশের বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। তিনি মিথ্যা মামলায় আটকের পর ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মুমতাহিনা বিন মাসুদ নামে এক কন্যা সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব এনপ র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

২ উপদেষ্টার গড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে গতিরোধ করা, সরকারি কাজে বাধা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রোববার রাতে গোয়ানঘাট থানায় ১৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন থানার এসআই ওবায়েদ উল্লাহ। মামলার পর সোমবার ভোরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মামলার ৬নং আসামি কালিনগরের দেলোয়ার হোসেন দুলু, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান মিয়া ও ছৈলাখেল অষ্টম খন্ডের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ।

শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তারা ফেরার পথে জাফলং পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে বিএনপির সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে দুই উপদেষ্টার আটকে নানান স্লোগানে বিক্ষোভ করা হয়। ঘটনার পর গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে বহিষ্কার ও জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আজির উদ্দিনকে শোকজ করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, গতকাল রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদ্য বহিষ্কৃত গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে। দ্বিতীয় আসামি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সোহেল আহমদ, ওমর ফারুক, সুমন শিকদার, দেলোয়ার হোসেন দুলু, আব্দুস সালাম ও আব্দুল জলিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ