দিনাজপুরে ৬টি আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা
Published: 6th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোন দিনক্ষণ নির্ধারিত না হলেও ৩০০ নির্বাচনী আসনের প্রায় সবগুলোতেই দলটি তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। নির্বাচনী প্রস্তুতির ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের ৬টি সংসদীয় আসনেও জামায়াতের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের ঘোষিত দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের প্রার্থী মাওলানা খোদা বখস সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করলে ওই আসনে আবারও নতুন করে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থী ঘোষনার পর তৃণমূলের দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
দিনাজপুরের ৬টি আসনে জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা-
দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের জন্য ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতি, সাবেক কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে সূরা সদস্য এবং তুরাগ থানা জামায়াতের আমীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.
দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ-) আসনে জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও বিরল উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম আফজালুল আনাম।
দিনাজপুর -৩ (সদর) আসনে দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট (অব:) জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য এ্যাডভোকেট ময়নুল আলম।
দিনাজপুর -৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে সাবেক জেলা আমীর ও চিরিরবন্দর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আফতাব উদ্দিন মোল্লা।
দিনাজপুর -৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনে জামায়াতের জেলা কর্মপরিষদ সদস্য, পার্বতীপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ মো. আনোয়ার হোসেন।
দিনাজপুর -৬ (নবাবগঞ্জ-বিরামপুর-হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট) সাবেক দিনাজপুর জেলা শাখার আমির এবং জামায়াতের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
এনজে
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?